
রবিবার, ৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
প্রথম পাতা » » তারেক রহমানের দেশে ফেরা নির্বাচনী প্রচারণার অর্ধেক পথ অতিক্রমের সমান সালাহউদ্দিন:
তারেক রহমানের দেশে ফেরা নির্বাচনী প্রচারণার অর্ধেক পথ অতিক্রমের সমান সালাহউদ্দিন:
পক্ষকাল ডেস্ক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন এবং তার সেই প্রত্যাবর্তনের দিনটিই হবে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণার অর্ধেক পথ পেরোনোর সমতুল্য বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সালাহউদ্দিন আহমেদ
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ইনকাম ট্যাক্স ল’ ইয়ার্স ফোরাম আয়োজিত এক আলোচনায় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, তারেক রহমান খুব শিগগিরই দেশে ফিরবেন। সেদিন নির্বাচনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়ে যাবে। আমি বলছি না সেদিনই নির্বাচন হবে, তবে তার ফিরে আসার মধ্য দিয়েই বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণার অর্ধেক শেষ হয়ে যাবে।
তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তনকে ‘অবিস্মরণীয় ঐতিহাসিক ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, জনগণের প্রত্যাশা পূরণে নির্বাচনের মাধ্যমে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা এবং সংসদীয় ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা এখন সময়ের দাবি।
বিএনপির এই নেতা অভিযোগ করে বলেন, কিছু গোষ্ঠী আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বানচাল করতে অস্থিরতা সৃষ্টি করার চেষ্টা করছে। তিনি বলেন, দেশবিরোধী চক্র পরিস্থিতি অস্থিতিশীল করতে তৎপর।
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথম ভাগে, রমজানের আগে অথবা তারও আগে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, যারা বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করছেন, তাদের বলতে চাই-নির্বাচনী আবহ ইতোমধ্যেই দেশে ছড়িয়ে পড়েছে।
সালাহউদ্দিন আওয়ামী লীগকে অভিযুক্ত করে বলেন, দলটি মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও গণতন্ত্রকে ধ্বংস করেছে।
তিনি কটাক্ষ করে বলেন, আজ তাদের অবস্থা এমন, এক জায়গায় গিয়ে ‘জয়’ বলে, দেড় মাইল দৌড়ে গিয়ে বলে ‘বাংলা’। এই আওয়ামী লীগ আর দাঁড়াতে পারবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ সাংবিধানিক পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে বিতর্কের জবাবে সালাহউদ্দিন বলেন, অতিরিক্ত সাংবিধানিক আদেশ বা বিশেষ প্রজ্ঞাপনের কোনো প্রয়োজন নেই। এগুলো তখনই বিবেচনা করা হয় যখন সাংবিধানিক কাঠামো ভেঙে পড়ে। আজ আমাদের সংবিধান অক্ষুণ্ণ আছে, রাষ্ট্র তার অধীনেই চলছে। তাহলে কেন এমন কিছু প্রয়োজন হবে? আর কাকে খুশি করার জন্য এমন কিছু করা হবে?