
বৃহস্পতিবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৫
প্রথম পাতা » » জরিপ এলাকা গরীব”" সিদ্ধিরগঞ্জে বিডিএস জরিপ’র রেকর্ড হস্তান্তরে সার্ভেয়ার হাফিজ-মারুফ গংদের ঘূষ বাণিজ্য রুখবে কে?
জরিপ এলাকা গরীব”" সিদ্ধিরগঞ্জে বিডিএস জরিপ’র রেকর্ড হস্তান্তরে সার্ভেয়ার হাফিজ-মারুফ গংদের ঘূষ বাণিজ্য রুখবে কে?
“”জরিপ এলাকা গরীব”"
সিদ্ধিরগঞ্জে বিডিএস জরিপ’র রেকর্ড হস্তান্তরে সার্ভেয়ার হাফিজ-মারুফ গংদের ঘূষ বাণিজ্য রুখবে কে?
এম এ মাইকেলঃ
* অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে- দুদক
* জরিপ এলাকা গরিব
* সাংবাদিকদের জন্য আমাদের বরাদ্দ থাকে
* নিজেদের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয় স্বীকার
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার ভূমি সংক্রান্ত জটিলতা কমানো মামলা মোকদ্দমা হ্রাস করা এবং অন-লাইনে ভূমি সংক্রান্ত কাগজগুলো সহজ করার উদ্দেশ্যে ডিজিটাল জরিপ’র কার্যক্রম শুরু হয় নারায়ণগঞ্জ জেলার সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিসের আওতাধীন খোদ্দঘোষপাড়া মৌজায়। উল্লেখ্য ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের স্টাবলিসমেন্ট অফ ডিজিটাল ল্যান্ড ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম(EDLMS) প্রকল্পের আওতায় ডিজিটাল (BDS) জরিপ কার্যক্রম চলমান। অন্যদিকে খোদ্দঘোষপাড়া মৌজার আওতাধীন সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিস কর্তৃক বিভিন্ন ক্যাম্প এর দায়িত্বরত সার্ভেয়ার গংরা ভূমীর মালিকদের কাগজপত্র শতভাগ সঠিক থাকার পরেও ভূৃমী মালিকদের বাধ্য করছেন তাদের দাবি কৃত মোটা অংকের উৎকোচ দেওয়ার জন্য।সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা খোদ্দঘোষপাড়া মৌজার ডিজিটাল জরিপ রেকর্ড সার্ভেয়ার হাফিজুর রহমান সার্ভেয়ার মারুফ হোসেন মন্ডল সার্ভেয়ার সোলায়মান হোসেন সার্ভেয়ার আরমান গংদের বিরুদ্ধে রমরমা ঘূষ বাণিজ্যের অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। অভিযোগের সূত্র ধরে সরেজমিনে ডিজিটাল জরিপ (বিডিএস) রেকর্ড প্রদান করা বিভিন্ন ক্যাম্পে ঘুরে এবং ভূমি মালিকদের সাথে কথা বলে সার্ভেয়ার হাফিজুর,মারুফ হোসেন মন্ডল,সোলায়মান হোসেন,আরমান গংদের ভূমি মালিকদের থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নেওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিস ভূমি মালিকদের জ্ঞাতার্থে ভূমি জরিপ সংক্রান্ত জরুরী বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে যে ১৯৫০ সনের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহণ ও প্রজাস্বত্ব আইনের ১৪৪ ধারা এবং ১৯৫৫ সনের প্রজাস্বত্বের বিধিমালার ২৭ ও ২৮ বিধি মোতাবেক ভূমি মালিকগণকে সরে জমিনে উপস্থিত হয়ে জরিপ কর্মকর্তা কর্মচারীদের নিকট মালিকানা সম্পর্কে কাগজপত্র প্রদর্শনপূর্বক রেকর্ড করানোর জন্য অনুরোধ করা হয়।
কিন্তু অতীব দুঃখের বিষয় ভূমি মালিকরা তাদের ভূমির যাবতীয় কাগজপত্র জরিপ ক্যাম্পে নিকটস্থ সার্ভেয়ারের সম্মুখে উপস্থাপনা করার পর উক্ত ভূমির মালিকদের থেকে ১০ হাজার টাকা থেকে শুরু করে লক্ষ টাকা উৎকোচ নেওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়।
উল্লেখ্য ইতিপূর্বে সিদ্ধিরগঞ্জে উপজেলা সিমরাইল মৌজায় ডিজিটাল রেকর্ড হস্তান্তরের সময় সার্ভেয়ার মারুফ হোসেন মন্ডল সার্ভেয়ার হাফিজুর রহমান গংরা ভূমীদের মালিকদের থেকে মোটা অংকের উৎকোচ নিয়েছেন বলে ভূমী মালিকরা প্রতিবেদককে জানান।সিমরাইল মৌজার অন্তর্ভুক্ত ছোট বড় বহু কারখানা রয়েছে উক্ত কারখানার মালিকদের থেকে ডিজিটাল রেকর্ড হস্তান্তরের সময় বিভিন্ন অজুহাতে কারখানার ভূমি মালিকদের থেকে সার্ভেয়ার হাফিজুর-মারুফ গংরা হাতিয়ে নিয়েছেন কাড়ী কাড়ী টাকা।সিমরাইল মৌজার ভূমি মালিকদের সাথে করা সেই অনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছেন খোদ্দঘোষপাড়া মৌজার ভূমি মালিকদের সাথে। খোদ্দঘোষপাড়া মৌজার বিভিন্ন ভূমি মালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় সার্ভেয়ার হাফিজুর রহমান সার্ভেয়ার মারুফ হোসেন মন্ডল সার্ভেয়ার আরমান সার্ভেয়ার সোলায়মান গংদের কাছে ভূমীর মালিকানার সকল কাগজপত্র শতভাগ সঠিকভাবে উপস্থাপনা করার পরে ভ্রাম্যমান রেকর্ড প্রদান ক্যাম্পের গোপন কক্ষে নিয়ে ভূমি মালিকদের কাছে মোট অংকের উৎকোচ দাবি করেন বলে একাধিক ভূমী মালিক এই প্রতিবেদককে জানান।খোদ্দঘোষপাড়া বেশ কয়েক জন ভূমি মালিক এই প্রতিবেদকে জানান যে বিডিএস জরিপ রেকর্ড হস্তান্তর অস্থায়ী ক্যাম্পে যাওয়ার পর ভূমির মালিকগণদের অস্থায়ী ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বলেন জরিপ এলাকা গরিব,,! এই মোতাবেক টাকা ছাড়া/উৎকোচ দেওয়া ছাড়া কোন ভূমি মালিক একটি বিডিএস রেকর্ড হাতে এমন নজির নেই।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় খোদ্দঘোষপাড়া মৌজার আওতাধীন জনৈক ব্যাংক কর্মকর্তার কাছে বিডিএস রেকর্ড হস্তান্তরের জন্য এক লক্ষ আশি হাজার টাকা উৎকোচ দাবি করেন সার্ভেয়ার হাফিজুর রহমান,অন্য এক ভুক্তভোগী প্রতিবেদককে জানান কার কাছে চার লক্ষ টাকা দাবি করা হয় বিডিএস রেকর্ড হস্তান্তর করার জন্য ওই মার্কেট মালিক আক্ষেপের সুরে বলেন নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা সহকারী সেটেলমেন্ট অফিস কর্তৃক প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে ভূমি মালিকগণদের জ্ঞাতার্থে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে স্পষ্ট আকারে উল্লেখ রয়েছে ভূৃৃমী মালিকরা অস্থায়ী রেকর্ড হস্তান্তর ক্যাম্প (বিডিএস জরিপ ক্যাম্পে) ভূমি মালিকানার সকল কাগজপত্র উপস্থাপন করে বিডিএস রেকর্ড সম্পন্ন করার জন্য।কিন্তু প্রত্যেকটি অস্থায়ী ভূমি রেকর্ড হস্তান্তর জরিপ ক্যাম্পের দায়িত্বগত সার্ভেয়ার গংরা তাদের মনোনীত অস্থায়ী জরিপ ক্যাম্প কলিগদের মাধ্যমে ভূমি মালিকদের থেকে হাতিয়ে নিচ্ছেন কাড়ি কাড়ি টাকা যাহা অত্যন্ত বেদনাদায়ক।
পরবর্তীতে ভূমি মালিকদের এই সকল অভিযোগের বিষয়ে জানতে সার্ভেয়ার হাফিজুর রহমান,সার্ভেয়ার মারুফ হোসেন মন্ডল,ও মুন্সি শাহজাহান’র মুঠোফোনে যোগাযোগ করার পরে তারা তিনজন প্রতিবেদকের সাথে সাক্ষাৎ করে প্রথমেই বলেন সারাদেশে আমাদের বহু সাংবাদিক বন্ধু-বান্ধব রয়েছে সবার সাথে আমাদের সুসম্পর্ক সেই ধারাবাহিকতায় আপনার সাথেও সুসম্পর্ক এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক করতে আমরা আমাদের সার্ভেয়ারদের প্রতিনিধি হিসেবে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এখানে এসেছি,সারা বাংলাদেশের সার্ভেয়ার সমিতির সভাপতি সার্ভেয়ার হাফিজুর রহমান আরও বলেন আমরা আপনার সাথে প্রতিযোগিতায় যাব না ভুলত্রুটি আমাদের আছে আমরা স্বীকার করছি তাই আমরা আপনার সাথে বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাই।সার্ভেয়ার সমিতির সভাপতি সার্ভেয়ার হাফিজুর রহমানের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বলতে তিনি কি বুঝাতে চেয়েছেন তা বোধগম্য নয়।পরবর্তীতে সার্ভেয়ার সমিতির এক নম্বর সহ-সভাপতি মুন্সী শাহজাহান এই প্রতিবেদককে বলেন সাংবাদিক ভাই আমরা যখন যেই এলাকায় কাজ করি ওই এলাকার সাংবাদিকদের জন্য একটা বরাদ্দ রাখি সব সময়! মুন্সী শাজাহান সাংবাদিকদের জন্য বরাদ্দ রাখার কথা বলে নিজেদের অনিয়ম দুর্নীতির স্বীকারোক্তি নিজেরাই প্রকাশ করলেন নয় কি? তাই প্রশ্ন জাগে এই সকল স্বঘোষিত দুর্নীতিবাজ গংদের দুর্নীতির রূখবে কে? এহেন দুর্নীতিবাজ দেশ ও জাতির শত্রু। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলা (সিদ্ধিরগঞ্জ উপজেলা) খোদ্দঘোষপাড়া মৌজায় বিডিএস জরিপ রেকর্ড হস্তান্তর অস্থায়ী ক্যাম্প গুলোর দায়িত্বে থাকা সার্ভেয়ার হাফিজুর রহমান সার্ভেয়ার মারুফ হোসেন মন্ডল গংদের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন(দুদক) উপ-পরিচালক জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ আকতারুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন অভিযোগ পেলে তদন্তের মাধ্যমে দুদক আইনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে,,,,