
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ » ট্রাম্পকে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী: বিদেশি সামরিক উপস্থিতি মেনে নেব না
ট্রাম্পকে আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী: বিদেশি সামরিক উপস্থিতি মেনে নেব না
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বাঘরাম বিমানঘাঁটি নিয়ে করা মন্তব্যের কড়া জবাব দিয়েছেন আফগানিস্তানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানের ভূমিতে কোনো বিদেশি সামরিক উপস্থিতি ইসলামিক আমিরাত মেনে নেবে না।
আফগানিস্তান থেকে সব বিদেশি সেনাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে কয়েক বছর আগেই
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোম্যাসি ইনস্টিটিউটের এক সমাবর্তন অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে আমির খান মুত্তাকি বলেন, ‘ইসলামিক আমিরাত ও আফগানিস্তানের জনগণ বিদেশি সামরিক উপস্থিতির জন্য এক ইঞ্চি জমিও ছাড় দেবে না। ট্রাম্পকে এ বার্তা শুনতে হবে। অন্য দেশগুলোকেও বুঝতে হবে যে আমরা কেবল রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক চাই। আফগানিস্তানে বিদেশি সেনা মোতায়েন নিয়ে আমরা কোনো আলোচনাও করি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত তিন বছরে আমরা বিভিন্ন দেশের সঙ্গে ইতিবাচক সম্পর্ক বজায় রেখেছি, অগ্রগতি অর্জন করেছি এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক অব্যাহত রেখেছি। তাই বিশেষ করে আঞ্চলিক দেশগুলোকে বলব, এ প্রক্রিয়াকে স্বীকৃতি দিয়ে এগিয়ে আসুন, যাতে অন্যরাও সেই পথ অনুসরণ করতে পারে।’
রাশিয়ার পক্ষ থেকে ইসলামিক আমিরাতকে স্বীকৃতি দেওয়ার ইঙ্গিতের কথা উল্লেখ করে মুত্তাকি বলেন, আঞ্চলিক দেশগুলোরও উচিত তাদের সরকারকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেওয়া।
আফগানিস্তানের অন্তর্বর্তী সরকার একটি ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে উল্লেখ করে মুত্তাকি বলেন, ‘আমাদের নীতি ভারসাম্যপূর্ণ। আমরা সব দেশের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক চাই। এমনকি যেসব দেশ এখনও আমাদের সঙ্গে সম্পূর্ণ সম্পর্ক গড়েনি, যেমন যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমা দেশগুলো, তাদের সঙ্গেও আমরা ইতিবাচক সম্পর্ক চাই।’
এদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প একাধিকবার দাবি করেছেন যে চীন বর্তমানে বাঘরাম বিমানঘাঁটি নিয়ন্ত্রণ করছে। তিনি বলেন, ‘আমি সুযোগ পেলে বাঘরাম ঘাঁটি (যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রণে) রেখে দিতাম, কারণ এটি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী রানওয়ে। আর এখন এটি চীনের দখলে।’ তবে আমির খান মুত্তাকি ট্রাম্পের এই দাবি দৃঢ়তার সঙ্গে প্রত্যাখ্যান করেছেন।
বক্তব্যের শেষে ইসলামিক আমিরাতের নেতা ও প্রধান বিচারপতির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করায় আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) তীব্র নিন্দা জানান মুত্তাকি। তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের প্রতি আমাদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই এবং তাদের কোনো রায় আফগানিস্তানে কার্যকর নয়