শিরোনাম:
ঢাকা, বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫, ৮ শ্রাবণ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » রাজনীতি | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ছাত্র-আন্দোলন এবং বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
প্রথম পাতা » রাজনীতি | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ছাত্র-আন্দোলন এবং বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
২১ বার পঠিত
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ছাত্র-আন্দোলন এবং বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ

---বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ-প্রতিহিংসাপরায়ন অন্তর্বর্তি অথর্ব সরকার -বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগ্রামের ইতিহাসে ছাত্র-জনতার ভূমিকা সবচেয়ে প্রাণবন্ত অধ্যায়। ভাষা আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান, কোটা সংস্কার থেকে সাম্প্রতিক মাইলস্টোন বিক্ষোভ-প্রতিবারই তারা দেশের নীতি নির্ধারককে সচেতন করেছে, অগ্রগতি ঠেকিয়ে রাখার দুর্বল ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং বৃহত্তর গণমানুষের আন্দোলনকে নতুন ত্বরনা যুগিয়েছে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
বাংলার জনজাগরণে ছাত্ররা সর্বদা বলিষ্ঠ কন্ঠ হয়ে উঠেছে।
১৯৫২’র ভাষা শহীদ দিবসে ঢাকায় গুলির মুখে পড়া প্রথম তরুণেরা দেখিয়েছিল জাতীয় পরিচয়ের অটল সংকল্প।
১৯৯০-এর নির্দেশ না মানা সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জীবন বাজি রেখে স্বৈরতন্ত্রের পতন এনে দিয়েছিল।
২০১৮-এর কোটা সংস্কার আন্দোলনে তারা প্রকৃত ন্যায়ের দাবিতে সংগঠিত হয়ে আদর্শ বসিয়েছিল অন্যায় ও পদ্ধতিগত পক্ষপাতের বিরুদ্ধে।
এই সব গল্প প্রমাণ করে-যখন তাদের দাবি সুস্পষ্ট, নেতারা যুগোপযোগী, কর্মপরিকল্পনা সংগঠিত, তখন ছাত্র-জনতা শুধু প্রতিবাদ নয়, সংস্কার ঘটাতে পারে।
বর্তমান চ্যালেঞ্জ
তবে আজকের বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার সামনে কয়েকটি অন্তর্নিহিত বাধা রয়ে গেছে:
ক্ষুদ্রকেন্দ্রিক নেতৃত্ব: স্থায়ী সংগঠন নেই, ফলে প্রতিবাদের গতিধারায় স্থায়িত্ব অনিশ্চিত।
আন্দোলনের স্বচ্ছতা: একক সিদ্ধান্তে দ্রুততর অগ্রগতির বদলে নানা পক্ষের টানাপোড়েন লড়াইকে ঝাঁপিয়ে নিতে বাধা দেয়।
শাসক-শিক্ষার্থী দ্বন্দ্ব: চরম পর্যায়ে মোতায়েনের ফলে সংঘর্ষের পর শিক্ষাঙ্গনের মৌলিক চাহিদা ও ন্যায্যতা স্থায়ী অগ্রাধিকার পায় না।
মিডিয়ার রোল: সংবাদ পরিবেশনায় পক্ষপাত প্রবণতা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে পৌঁছাতে বাধা দেয়।
এই বাধাগুলো অতিক্রম না করলে, নতুন প্রজন্মের উচ্ছ্বাস খেলেগুলোর মধ্যে হারিয়ে যাবে; পরিবর্তনের লক্ষ্য আংশিক রূপেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
সুপারিশ: টেকসই সংস্কারে ছাত্র-জনতার অংশীদারিত্ব
১. স্বকুশলী প্লাটফর্ম গঠন
জাতীয় পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ কাউন্সিল; সেক্টরভিত্তিক (শিক্ষা, পরিবেশ, স্বাস্থ‌্য) সাবকমিশন।
২. স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও সময়সীমা
প্রতিটি দাবির জন্য বাস্তবায়নযোগ্য ধাপ ও দায়িত্বশীল কমিটি নির্ধারণ।
৩. আন্তঃসংশ্লিষ্ট সংলাপ
মন্ত্রণালয়, রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি ও মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত টেবিল মিটিং।
৪. দায়িত্বশীল প্রতিবেদন
আন্দোলনের অগ্রগতি, বাধা ও সাফল্য মাসিক ভিত্তিতে অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ।
৫. নৈতিক শিক্ষা প্রচার
সহিংসতা পরিহার, কথার স্বচ্ছতা, দলীয় স্বার্থের উপরে সমাজকল্যাণ অগ্রাধিকার।
উপসংহার
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হবে দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন, ঐক্যবদ্ধ ও ন্যায়ের পক্ষে অটল ছাত্র-জনতার হাত ধরে। রাজনীতির আয়তনে তারা যদি আরও সুসংগঠিত, স্বচ্ছ ও সহমতপূর্ণ হতে পারে, তবে শুধু ভবিষ্যৎই নয়, আজকের বাংলাদেশও বদলে যাবে-শিক্ষা পরিবেশ থেকে শুরু করে নীতি-নির্ধারণের টেবিল পর্যন্ত। বাস্তবায়িত প্রতিটি ইস্যু শিক্ষার্থীদের জাতীয় দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান, যার ফলস্বরূপ সফল সংস্কারই হবে আমাদের সার্থক অঙ্গীকার।
এর সাথে যোগ করে দাও ব্যররথ্য অন্তর্বতি সকারকে ক্ষমতা থেকে স্বেচ্ছায় ক্ষমতা ছেড়ে জনগনের নির্বাচিত সরকার গঠন করা
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতা: সম্ভাবনা, চ্যালেঞ্জ ও রাজনৈতিক আহ্বান
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ছাত্র-জনতা নানা সময় পরিবর্তনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বালিয়ে দিয়েছে। ভাষা আন্দোলন থেকে শুরু করে ১৯৮০-৯০-এর গণঅভ্যুত্থান, ২০১৮ সালের কোটা সংস্কার-প্রতিবারই শিক্ষার্থীরা দেশের নীতি নির্ধারককে ঘুম থেকে ডেকে দিয়ে গাফিলতি শুধরে নিতে বাধ্য করেছে। এ প্রেক্ষাপটে তাদের বর্তমান ভূমিকা ও দাবিগুলো প্রয়োজনীয়ভাবে সাজাতে হবে।
ঐতিহাসিক অনুপ্রেরণা
১৯৫২: ভাষা আন্দোলনে শহীদ যuvarahরা জাতীয় চেতনার ভিত্তি গেঁথে দেন।
১৯৯০: স্বৈরতন্ত্র পতনে ছাত্র-জনতার অবিসংবাদিত ভূমিকা ছিল মূল চালিকাশক্তি।
২০১৮: কোটা সংস্কার আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা ন্যায়বিচারের স্বপক্ষে সামাজিক দ্বিধা ভেঙে দেন।
প্রমাণিত যে, সংগঠিত ছাত্র-জনতা শুধু ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমানকেও পালটে দিতে পারে।
আধুনিক চ্যালেঞ্জ
সংগঠনগত স্থায়িত্বের অভাব
স্বতন্ত্র জনমিলন ছাড়া আন্দোলনের গতিধারা সাময়িক হয়ে পড়া
রাজনৈতিক-শাসকশ্রেণী বিরোধের ফলে ন্যায্য দাবি বাকসুদ্ধ থেকে হারিয়ে যাওয়া
তথ্য পরিব্যাপ্তিতে মিডিয়ার পক্ষপাত ও বিভ্রান্তি
এই বাধাগুলো অতিক্রম না হলে যে কোনো আন্দোলন অর্ধস্ফূর্তিগ্রস্ত থেকে যায়।
সুপারিশ: টেকসই আন্দোলন ও অংশগ্রহণ
জাতীয় স্তরের ঐক্যবদ্ধ ছাত্র পরিষদ গঠন
দাবিবল শক্তিশালী করতে স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও সময়সীমা নির্ধারণ
মন্ত্রণালয়, রাজনৈতিক দল, নাগরিক সংস্থা ও মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত সংলাপ
আন্দোলনের অগ্রগতি, বাধা ও সাফল্য মাসিক ভিত্তিতে প্রতিবেদন প্রকাশ
সহিংসতা পরিহার ও সামাজিক দায়বদ্ধতা উদযাপন
রাজনৈতিক আহ্বান: অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব
দেশ যেন স্বাভাবিকভাবে নির্বাচিত ব্যবস্থায় ফিরে আসে, তাই অবিলম্বে অন্তর্বর্তী সরকারকে
ক্ষমতা থেকে স্বেচ্ছায় পদত্যাগ
তার জায়গায় জনগণ নির্বাচিত সরকার গঠন করতে হবে
একতার ভিত্তিতে গঠন করা গণপরিবর্তনই পারে দেশের ট্রিক ও আইনি স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে।
ছাত্র-জনতার ঐতিহ্য ও উদ্যম দেশের জন্ম দিয়েছে গণতান্ত্রিক সংস্কারের। আজকের এই মুহূর্তেও তাদের আবেগ ও ন্যায্য দাবিকে গুরুত্ব দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের পদত্যাগ এবং নির্বাচিত শাসনব্যবস্থা পুনঃপ্রতিষ্ঠার আহ্বান জানানোর সময় এসেছে। এভাবে জাতির বৃহত্তর কল্যাণ নিশ্চিত হবে এবং বাংলাদেশ ফিরে পাবে তার প্রকৃত গণতন্ত্র।

ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ ছাত্র-আন্দোলনসমূহ
বিভিন্ন মহাদেশ ও যুগে শিক্ষার্থীরা অসংযত অন্যায় চ্যালেঞ্জ করে, প্রতিষ্ঠান রূপান্তরিত করেছে এবং বৃহত্তর সামাজিক পরিবর্তনের ছাত্ররা শুরু করেছিল । নীচে কিছু নজিরবিহীন ছাত্র-নেতৃত্বাধীন আন্দোলনের সংক্ষিপ্ত বিবরণ রইল:
উত্তর আমেরিকা
আন্দোলন বছর স্থান কারণ ও ফলাফল
গ্রিনসবোরো সিট-ইন ১৯৬০ গ্রিনসবোরো, নর্থ ক্যারোলিনা চারজন কালো কলেজছাত্রী সেগ্রিগেটেড লাঞ্চ কাউন্টরে বসে আইনি ব্যবস্থা মোকাবিলা করেন; কেন্দ্র পাল্টায় এবং জনসাধারণের স্থানে বর্ণবৈষম্য ধীরে ধীরে নির্মূল শুরু হয়।
কেন্ট স্টেট শুটিংস ১৯৭০ নকেন্ট, ওহাইও আমেরিকার ক্যাম্বোডিয়া অভিযানবিরোধী বিক্ষোভের সময় ওহাইও ন্যাশনাল গার্ড ছাত্রদের ওপর গুলি চালায়; চারজন নিহত হয়ে থেকে যুদ্ধবিরোধী ভাবমূর্তি জোরালো হয়।
মার্চ ফর আওয়ার লাইভস ২০১৮ ওয়াশিংটন ডিসি ও সারাদেশ পার্কল্যান্ড স্কুল শুটিংয়ের বেঁচে যাওয়া শিক্ষার্থীরা কঠোর গোলাবারুদ নিয়ন্ত্রণ আইন দাবি করে; যুক্তরাষ্ট্রে দুইয়োগে বৃহত্তম যুব-নেতৃত্বাধীন বিক্ষোভের সৃষ্টি করে।
ইউরোপ
আন্দোলন বছর স্থান কারণ ও ফলাফল
মে ‘৬৮ আন্দোলন ১৯৬৮ প্যারিস, ফ্রান্স বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার বিরোধে বাকবিতণ্ডা থেকে শুরু করে সাধারণ ধর্মঘট ও কর্মবিরতি, মিলিয়নগ্রামের সামগ্রিক গণআন্দোলনে পরিণত হয়; সরকার মৌলিক সামাজিক ও শিক্ষা সংস্কারে ব্যবস্থা নেয়।
ভেলভেট বিপ্লব ১৯৮৯ প্রাগ, তৎকালীন চেকোস্লোভাকিয়া শান্তিপূর্ণ ছাত্র প্রতিবাদে কম্যুনিস্ট শাসন পদাঘাতিত হয়; কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সরকার পতিত, গণতান্ত্রিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
লাতিন আমেরিকা
আন্দোলন বছর স্থান কারণ ও ফলাফল
ট্লাতেলোলকো গণহত্যা ১৯৬৮ মেক্সিকো সিটি, মেক্সিকো অলিম্পিক্সের আগে রাজনৈতিক সংস্কার দাবিতে হাজার হাজার ছাত্র কেন্দ্রীয় প্লাজায় সমাবেশ করলে সেনাবাহিনী ফায়ারিং চালায়; অফিসিয়ালি শতাধিক নিহত হলেও শতাধিক অদৃশ্য। প্রতিরোধের символে পরিণত হয়।
কর্দোবা বিশ্ববিদ্যালয় সংস্কার ১৯১৮ কর্দোবা, আর্জেন্টিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণতন্ত্রীকরণ, স্বায়ত্তশাসন ও শিক্ষার্থী প্রতিনিধিত্ব দাবি করে বিক্ষোভ; ‘বিশ্ববিদ্যালয় বিপ্লব’ ছড়িয়ে লাতিন আমেরিকার উচ্চশিক্ষার কাঠামো পাল্টে দেয়।
আফ্রিকা
আন্দোলন বছর স্থান কারণ ও ফলাফল
সোয়েটো আন্দোলন ১৯৭৬সোয়েটো, দক্ষিণ আফ্রিকা আফ্রিকান ভাষা হিসেবে আফ্রিকান্স ভাষার বাধ্যতামূলক পাঠের প্রতিবাদে ছাত্রদের বিক্ষোভ; পুলিশের বর্বরতা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে গর্জে ওঠা প্রতিবাদকে ত্বরান্বিত করে এবং আপনাধিক বৈদেশিক চাপ সৃষ্টি করে।
এশিয়া ও বৈশ্বিক
আন্দোলন বছর স্থান কারণ ও ফলাফল
তিয়ানআনমেন স্কোয়ার আন্দোলন 1989 বেইজিং, চীন রাজনৈতিক সংস্কার, স্বচ্ছতা ও গণতন্ত্র দাবি করে ছাত্ররা বিক্ষোভ করলে সেনাবাহিনী শক্ত প্রয়োগ করে; ‘ট্যাঙ্ক ম্যান’ ছবিটি বিশ্বব্যাপী প্রতিরোধের প্রতীক হয়ে দাঁড়ায়।
বৈশ্বিক জলবায়ু ধর্মঘট ১৫০+ দেশে গ্রেটা থানবার্গের স্কুল ধর্মঘটের প্রেরণায় লক্ষ লক্ষ শিক্ষার্থী জলবায়ু সংকট মোকাবিলার দাবিতে রাস্তায় নামে; বিশ্বব্যাপী পরিবেশবাদী এজেন্ডায় নাটকীয় জোর জোগায়।
প্রত্যেকটাই প্রমাণ করে যে, ছাত্র-জনতা শুধু ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমানকেও পরিবর্তনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বালাতে পারে।
ছাত্র-জনতা শুধু ভবিষ্যৎ নয়, বর্তমানকেও পরিবর্তনের অগ্নিস্ফুলিঙ্গ জ্বালাতে পারে।বাংলাদেশ নিয়ে মতামত লিখে দাও
বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ
বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগ্রামের ইতিহাসে ছাত্র-জনতার ভূমিকা সবচেয়ে প্রাণবন্ত অধ্যায়। ভাষা আন্দোলন থেকে গণঅভ্যুত্থান, কোটা সংস্কার থেকে সাম্প্রতিক মাইলস্টোন বিক্ষোভ-প্রতিবারই তারা দেশের নীতি নির্ধারককে সচেতন করেছে, অগ্রগতি ঠেকিয়ে রাখার দুর্বল ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করেছে এবং বৃহত্তর গণমানুষের আন্দোলনকে নতুন ত্বরনা যুগিয়েছে।
বাংলাদেশের ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট
বাংলার জনজাগরণে ছাত্ররা সর্বদা বলিষ্ঠ কন্ঠ হয়ে উঠেছে।
১৯৫২’র ভাষা শহীদ দিবসে ঢাকায় গুলির মুখে পড়া প্রথম তরুণেরা দেখিয়েছিল জাতীয় পরিচয়ের অটল সংকল্প।
১৯৯০-এর নির্দেশ না মানা সংখ্যাগরিষ্ঠতা বিরোধী আন্দোলনে ছাত্র-জীবন বাজি রেখে স্বৈরতন্ত্রের পতন এনে দিয়েছিল।
২০১৮-এর কোটা সংস্কার আন্দোলনে তারা প্রকৃত ন্যায়ের দাবিতে সংগঠিত হয়ে আদর্শ বসিয়েছিল অন্যায় ও পদ্ধতিগত পক্ষপাতের বিরুদ্ধে।
এই সব গল্প প্রমাণ করে-যখন তাদের দাবি সুস্পষ্ট, নেতারা যুগোপযোগী, কর্মপরিকল্পনা সংগঠিত, তখন ছাত্র-জনতা শুধু প্রতিবাদ নয়, সংস্কার ঘটাতে পারে।
বর্তমান চ্যালেঞ্জ
তবে আজকের বাংলাদেশে ছাত্র-জনতার সামনে কয়েকটি অন্তর্নিহিত বাধা রয়ে গেছে:
ক্ষুদ্রকেন্দ্রিক নেতৃত্ব: স্থায়ী সংগঠন নেই, ফলে প্রতিবাদের গতিধারায় স্থায়িত্ব অনিশ্চিত।
আন্দোলনের স্বচ্ছতা: একক সিদ্ধান্তে দ্রুততর অগ্রগতির বদলে নানা পক্ষের টানাপোড়েন লড়াইকে ঝাঁপিয়ে নিতে বাধা দেয়।
শাসক-শিক্ষার্থী দ্বন্দ্ব: চরম পর্যায়ে মোতায়েনের ফলে সংঘর্ষের পর শিক্ষাঙ্গনের মৌলিক চাহিদা ও ন্যায্যতা স্থায়ী অগ্রাধিকার পায় না।
মিডিয়ার রোল: সংবাদ পরিবেশনায় পক্ষপাত প্রবণতা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্য স্পষ্টভাবে পৌঁছাতে বাধা দেয়।
এই বাধাগুলো অতিক্রম না করলে, নতুন প্রজন্মের উচ্ছ্বাস খেলেগুলোর মধ্যে হারিয়ে যাবে; পরিবর্তনের লক্ষ্য আংশিক রূপেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
সুপারিশ: টেকসই সংস্কারে ছাত্র-জনতার অংশীদারিত্ব
১. স্বকুশলী প্লাটফর্ম গঠন
জাতীয় পর্যায়ে ঐক্যবদ্ধ কাউন্সিল; সেক্টরভিত্তিক (শিক্ষা, পরিবেশ, স্বাস্থ‌্য) সাবকমিশন।
২. স্পষ্ট কর্মপরিকল্পনা ও সময়সীমা
প্রতিটি দাবির জন্য বাস্তবায়নযোগ্য ধাপ ও দায়িত্বশীল কমিটি নির্ধারণ।
৩. আন্তঃসংশ্লিষ্ট সংলাপ
মন্ত্রণালয়, রাজনৈতিক দল, সিভিল সোসাইটি ও মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়মিত টেবিল মিটিং।
৪. দায়িত্বশীল প্রতিবেদন
আন্দোলনের অগ্রগতি, বাধা ও সাফল্য মাসিক ভিত্তিতে অনলাইন পোর্টালে প্রকাশ।
৫. নৈতিক শিক্ষা প্রচার
সহিংসতা পরিহার, কথার স্বচ্ছতা, দলীয় স্বার্থের উপরে সমাজকল্যাণ অগ্রাধিকার।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ গড়তে হবে দায়িত্বজ্ঞানসম্পন্ন, ঐক্যবদ্ধ ও ন্যায়ের পক্ষে অটল ছাত্র-জনতার হাত ধরে। রাজনীতির আয়তনে তারা যদি আরও সুসংগঠিত, স্বচ্ছ ও সহমতপূর্ণ হতে পারে, তবে শুধু ভবিষ্যৎই নয়, আজকের বাংলাদেশও বদলে যাবে-শিক্ষা পরিবেশ থেকে শুরু করে নীতি-নির্ধারণের টেবিল পর্যন্ত। বাস্তবায়িত প্রতিটি ইস্যু শিক্ষার্থীদের জাতীয় দায়িত্ব গ্রহণের আহ্বান, যার ফলস্বরূপ সফল সংস্কারই হবে আমাদের সার্থক অঙ্গীকার।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)