
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » উত্তাল মাইলস্টোন: বিমান দুর্ঘটনার পর ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ উপদেষ্টারা, পুলিশ পাহারায় মুক্তি
উত্তাল মাইলস্টোন: বিমান দুর্ঘটনার পর ৯ ঘণ্টা অবরুদ্ধ উপদেষ্টারা, পুলিশ পাহারায় মুক্তি
২৪ জুলাই ২০২৫, ঢাকা - রাজধানীর উত্তরায় মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিমানবাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্তে ৩১ জনের মৃত্যু ও ১৬৫ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ক্ষোভে ফেটে পড়ে শিক্ষার্থীরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে শুরু হওয়া বিক্ষোভে অবরুদ্ধ হন সরকারের আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, শিক্ষা উপদেষ্টা সি আর আবরার, এবং প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। প্রায় ৯ ঘণ্টা পর সন্ধ্যা ৭টা ৩৪ মিনিটে পুলিশ পাহারায় তারা ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন2।
বিমান দুর্ঘটনার পটভূমি
সোমবার দুপুরে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি এফ-৭ বিজিআই প্রশিক্ষণ বিমান মাইলস্টোন কলেজের একটি ভবনে বিধ্বস্ত হয়। নিহতদের মধ্যে অধিকাংশই শিশু শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনার পর উদ্ধার তৎপরতায় সেনা সদস্যদের সঙ্গে শিক্ষক-অভিভাবকদের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ উঠে, যা বিক্ষোভের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
শিক্ষার্থীদের ছয় দফা দাবি
বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীরা উপদেষ্টাদের সামনে ছয়টি দাবি তুলে ধরেন:
নিহতদের সঠিক পরিচয় প্রকাশ
আহতদের নির্ভুল তালিকা প্রদান
ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত করা
ঝুঁকিপূর্ণ বিমান বাতিল ও আধুনিক বিমান সংযোজন
প্রশিক্ষণ পদ্ধতির সংস্কার
শিক্ষক লাঞ্ছনার ঘটনায় সেনা সদস্যদের ক্ষমা প্রার্থনা
আইন উপদেষ্টা দাবিগুলোকে “অত্যন্ত যৌক্তিক” বলে স্বীকৃতি দেন এবং সরকারের পক্ষ থেকে পূরণের আশ্বাস দেন। তবে শিক্ষার্থীরা আশ্বাসে সন্তুষ্ট না হয়ে বিক্ষোভ চালিয়ে যান।
দুই দফা ব্যর্থ চেষ্টা, শেষে পুলিশি পাহারা
দুপুর ও বিকেলে উপদেষ্টারা ক্যাম্পাস ছাড়ার চেষ্টা করলেও শিক্ষার্থীদের বাধায় ব্যর্থ হন। বিকেলে দিয়াবাড়ি মোড়ে গাড়িবহর আটকে দিলে তারা আবার কলেজে ফিরে যান। সন্ধ্যায় র্যাব, পুলিশ, গোয়েন্দা সংস্থার উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে এবং উপদেষ্টারা মেট্রোরেলের ডিপোর ভেতর দিয়ে ক্যাম্পাস ত্যাগ করেন।
সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ, তবু বিক্ষোভ অব্যাহত
সকাল ৯টায় দিয়াবাড়ি আর্মি ক্যাম্প থেকে মাইকিং করে সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়। শিক্ষার্থীরা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বিক্ষোভ চালিয়ে যান, যা দিনভর উত্তেজনার সৃষ্টি করে।