শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫, ৭ শ্রাবণ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » খেলাধুলা » নেপালকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
প্রথম পাতা » খেলাধুলা » নেপালকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ
৬ বার পঠিত
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

নেপালকে উড়িয়ে চ্যাম্পিয়ন বাংলাদেশ

খেলাধুলা ডেস্ক
---
নিষেধাজ্ঞার খড়্গ কাটিয়ে ফেরাটা এমন রাজকীয় হবে, তা হয়তো ভাবেননি কেউই। কিন্তু কিংস অ্যারেনার ফ্লাডলাইটের সবটুকু আলো নিজের করে নিয়ে মোসাম্মৎ সাগরিকা ঠিক তাই করে দেখালেন। তিন ম্যাচের অনুপস্থিতির জ্বালা যেন এক ম্যাচেই মেটালেন ১৭ বছর বয়সী এই ফরোয়ার্ড। তার দুর্দান্ত চার গোলের ওপর ভর করে সাফ অনূর্ধ্ব-২০ নারী চ্যাম্পিয়নশিপের অলিখিত ফাইনালে নেপালকে রীতিমতো দর্শক বানিয়ে শিরোপা ধরে রাখল বাংলাদেশ।
ছবি - সংগৃহীত
তার এই একক নৈপুণ্যেই বাংলাদেশ ৪-০ গোলের বিশাল ব্যবধানে জয় ছিনিয়ে নেয় এবং পঞ্চমবারের মতো বয়সভিত্তিক এই আসরে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে। শিরোপা নির্ধারণী এই ম্যাচে বাংলাদেশের ড্র করলেই চলত, কিন্তু সাগরিকার জাদুতে নেপাল কোনো প্রতিরোধই গড়তে পারেনি।
ম্যাচের শুরু থেকেই কোচ পিটার বাটলারের আক্রমণাত্মক কৌশলের ছাপ ছিল স্পষ্ট। পূজা দাস, উমেলা মারমা ও নবীরণ খাতুনের সঙ্গে সাগরিকা নিজেও ছিলেন আক্রমণভাগে। এর ফল মেলে মাত্র সাত মিনিটেই। পূজা দাসের বাড়ানো বল স্বপ্না রানীর পা ঘুরে পৌঁছায় সাগরিক কাছে, আর নিখুঁত ফিনিশিংয়ে দলকে এগিয়ে দেন ঠাকুরগাঁওয়ের এই তরুণী।
তবে প্রথমার্ধে বাংলাদেশ এক গোলে এগিয়ে থাকলেও ম্যাচের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তটি আসে ১২ মিনিটে। বাংলাদেশ গোলকিপার মিলি আক্তারের হাত ফসকে যাওয়া বল পেয়ে যান নেপালের পূর্ণিমা রাই। তার নেওয়া শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে নেপালের আরেকটি প্রচেষ্টা রুখে দিয়ে দলকে বিপদমুক্ত করেন মিলি।
বিরতির পর মাঠে নামে এক অপ্রতিরোধ্য সাগরিকা। ৫১ মিনিটে উমেলা মারমার পাস থেকে দুই ডিফেন্ডারকে ছিটকে দিয়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। এর মাত্র সাত মিনিট পর, ৫৮ মিনিটে, জয়নব বিবির লম্বা পাস নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেপালি গোলকিপারের মাথার ওপর দিয়ে জালে পাঠিয়ে নিজের হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন। ৭৭ মিনিটে আরও একটি গোল করে তিনি দলের বড় জয় নিশ্চিত করেন। যদিও ৭১ মিনিটে অফসাইডের কারণে তার পঞ্চম গোলটি বাতিল হয়।
তিন ম্যাচ নিষিদ্ধ থাকায় সাগরিকার অভাব বাংলাদেশ দল হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছিল। আক্রমণে স্পষ্ট দুর্বলতা চোখে পড়লেও দল ঠিকই জয় তুলে নিয়েছিল। তবে ফিরেই নিজের জাত চেনালেন তিনি। মাত্র তিন ম্যাচ খেলেই দুটি হ্যাটট্রিকসহ মোট ৮ গোল করে টুর্নামেন্টে নিজের সামর্থ্যের জানান দিলেন এই ফরোয়ার্ড।
ডাবল লিগ পদ্ধতিতে আয়োজিত এই টুর্নামেন্টে কোনো আনুষ্ঠানিক ফাইনাল ছিল না। সর্বোচ্চ পয়েন্ট পাওয়া দলকেই চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশ ছয় ম্যাচের সবকটিতে জিতে সর্বোচ্চ ১৮ পয়েন্ট নিয়ে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়, যেখানে নেপালের সংগ্রহ ছিল ১২ পয়েন্ট। এই বিজয় বাংলাদেশের নারী ফুটবলের সাম্প্রতিক সাফল্যের ধারাকে আরও এগিয়ে নিয়ে গেল, যা বড়দের এশিয়ান কাপে যোগ্যতা অর্জনের মতোই তাৎপর্যপূর্ণ।



পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)