শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪, ২৬ আশ্বিন ১৪৩১

Daily Pokkhokal
রবিবার, ৮ আগস্ট ২০২১
প্রথম পাতা » খেলাধুলা » অলিম্পিকসে ফুটবলের মুকুট ধরে রাখল ব্রাজিল
প্রথম পাতা » খেলাধুলা » অলিম্পিকসে ফুটবলের মুকুট ধরে রাখল ব্রাজিল
৭৬৬ বার পঠিত
রবিবার, ৮ আগস্ট ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

অলিম্পিকসে ফুটবলের মুকুট ধরে রাখল ব্রাজিল

---

মিস হলো পেনাল্টি। পোস্ট দুই দলের পথ আগলে দাঁড়াল একাধিকবার। ঘটনাবহুল ম্যাচে স্পেনকে অতিরিক্ত সময়ের গোলে হারিয়ে দিল ব্রাজিল। ধরে রাখল অলিম্পিকসের পুরুষ ফুটবলের সোনার মুকুটও।
টোকিওর নিশান স্টেডিয়ামে শনিবার ফাইনালে ২-১ গোলে জিতে ব্রাজিল। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে মাথেউস কুইয়া ব্রাজিলকে এগিয়ে নেওয়ার পর দ্বিতীয়ার্ধে সমতা টানেন স্পেনের মিকেল ওইয়ারসাবাল। শেষে গিয়ে ম্যাচের ভাগ্য গড়ে দেন মালকম।
অলিম্পিকসে ফুটবলে এ নিয়ে দ্বিতীয় সোনা জিতল ব্রাজিল। নিজেদের আঙিনায় ২০১৬ সালে রিও দে জেনেইরোর আসরে প্রথম সেরা হয়েছিল তারা।
১৯৯২ সালের বার্সেলোনা অলিম্পিকসে প্রথম ও সবশেষ ফুটবলের সোনা জয়ের পর স্পেনের অপেক্ষা আরও বাড়ল। ২০০০ সালের সিডনি অলিম্পিকসে রুপা পাওয়ার ২১ বছর পর আরেকটি ফাইনালে এসে সঙ্গী হলো সোনা না পাওয়ার হতাশাই।
ফাইনালে প্রথম ভালো সুযোগটি পেয়েছিল স্পেনই। ষোড়শ মিনিটে দানি ওলমোর হেড বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালেই জড়াতে বসেছিলেন দিয়েগো কার্লোস। ব্রাজিলের এই ডিফেন্ডারই শেষ পর্যন্ত ছুটে গিয়ে গোললাইন থেকে ব্যাক ভলিতে বিপদমুক্ত করেন।
তিন মিনিট পর দগলাস লুইসের বক্সের প্রান্ত থেকে নেওয়া শট ডান দিকে ঝাঁপিয়ে ফেরান স্পেন গোলরক্ষক উনাই সিমোন।
২৫তম মিনিটে ব্রাজিলিয়ান ফরোয়ার্ড রিশার্লিসনের ছয় গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের শট বাইরের জাল কাঁপায়। ৩২ মিনিটে স্পেনের মার্কো আসেনসিওর শট আটকান ব্রাজিল গোলরক্ষক।
৩৮তম মিনিটে পেনাল্টিতে লক্ষ্যভেদে ব্যর্থ হয়ে ব্রাজিলের হতাশা বাড়ান গ্রুপ পর্বে পাঁচ গোল করা রিশার্লিসন। কুইয়াকে ডি-বক্সে গোলরক্ষক সিমোন ফাউল করলে ভিএআরের সাহায্যে পেনাল্টির সিদ্ধান্ত দিয়েছিলেন রেফারি।
প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় ব্রাজিল। যোগ করা সময়ের প্রথম মিনিটে রিশার্লিসনের শট ব্লকড হওয়ার দুই মিনিট পর দানি আলভেসের পাস ধরে বক্সের একটু ওপর থেকে ডান পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন কুইয়া। কোয়ার্টার-ফাইনালে দলের একমাত্র ও জয়সূচক গোলটি করেছিলেন এই ফরোয়ার্ড।
দ্বিতীয়ার্ধে চাপ বাড়ায় ব্রাজিল। ৫১তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণের সুযোগও পেয়েছিল তারা। কিন্তু রিশার্লিসনের শট ঝাঁপিয়ে পড়া সিমোনের গ্লাভস হয়ে পোস্টে লেগে ফিরে।
৬৩তম মিনিটে ডান দিক থেকে কার্লোস সোলেরের ক্রসে বাতাসে ভেসে থাকা বলে ওইয়ারসাবালের ভলি চোখের পলকে জাল খুঁজে নেয়। সমতার স্বস্তি ফিরে স্পেন শিবিরে।
দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে দূর্ভাগ্যের ফেরে গোল পায়নি স্পেনও। গিল ব্রায়ানের বাঁ পায়ের শট গোলরক্ষককে ফাঁকি দেওয়ার পর ফিরে আসে ক্রসবারে লেগে। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে।
সেখানেও ছিল ব্রাজিলের আধিপত্য। অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয় অর্ধের শুরুতে জয়সূচক গোল পেয়ে যায় দলটি। সতীর্থের লম্বা ক্রস ভায়েহোর বাধা পেরিয়ে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে ওঠেন মালকম। বদলি নামা এই ব্রাজিলিয়ানের শট সিমোনের পায়ে লেগে জালে জড়ায়। জয়ের উৎসবে মাতে ব্রাজিল।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)