
মঙ্গলবার, ২২ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত: জনমতের চাপে নীতিগত ব্যর্থতার স্বীকৃতি
এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিত: জনমতের চাপে নীতিগত ব্যর্থতার স্বীকৃতি
মঙ্গলবারের (২২ জুলাই) এইচএসসি পরীক্ষা স্থগিতের সিদ্ধান্তকে অনেকেই দেখছেন সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ার দুর্বলতা ও জনমতের প্রতি দেরিতে সাড়া দেওয়ার প্রতিফলন হিসেবে। যদিও তথ্য উপদেষ্টা মাহফুজ আলম মধ্যরাতে ফেসবুকে পরীক্ষার স্থগিতাদেশ ঘোষণা করেন, তার আগে দীর্ঘ সময় ধরে সামাজিক মাধ্যমে ক্ষোভ, উদ্বেগ ও প্রতিবাদ চলছিল।
নীতিগত দ্বন্দ্ব ও সময়চয়ন
উত্তরায় বিমান বাহিনীর প্রশিক্ষণ বিমান দুর্ঘটনায় ২০ জনের বেশি প্রাণহানি এবং শতাধিক আহত হওয়ার পর সরকার জাতীয় শোক ঘোষণা করে।
কিন্তু শোক দিবসের দিনেই পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত অসংবেদনশীল ও অমানবিক বলে মনে করেন ছাত্র, অভিভাবক ও নাগরিক সমাজের অনেকে।
রাত ১২টার আগে পর্যন্ত শিক্ষা মন্ত্রণালয় বা বোর্ডের পক্ষ থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসেনি, যা প্রশাসনিক সমন্বয়ের অভাবকে তুলে ধরে।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া ও চাপ
ফেসবুক, এক্স (টুইটার), এবং অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে হ্যাশট্যাগ আন্দোলন, লাইভ ভিডিও, এবং বিক্ষোভের ডাক দেখা যায়।
শিক্ষার্থীরা বলেন, “আমরা শোক পালন করতে চাই, পরীক্ষা নয়।” অনেকেই মানবিকতা ও নীতির প্রশ্ন তুলেছেন।
শেষ পর্যন্ত তথ্য উপদেষ্টার মধ্যরাতের ঘোষণা আসে, যা অনেকের কাছে জনমতের চাপে নেওয়া সিদ্ধান্ত বলেই প্রতীয়মান।
সম্পাদকীয় মূল্যায়ন
এই ঘটনাটি দেখায়, সরকারি সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্বচ্ছতা ও সময়োপযোগিতা কতটা গুরুত্বপূর্ণ। দুর্ঘটনার মতো জাতীয় শোকের দিনে পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত নীতিগত ব্যর্থতা এবং জনসচেতনতার প্রতি অবহেলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। যদিও শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়েছে, তা প্রতিক্রিয়াশীল প্রশাসনিক সংস্কৃতির ইঙ্গিত দেয়, যেখানে প্রতিরোধ নয়, প্রতিক্রিয়া প্রাধান্য পায়।
একই সাথে জনগন জানতে চাই এই অভিশপ্ত অনির্বাচিত অথর্ব সরকার বিদায় হবে কবে।