
মঙ্গলবার, ১ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | জেলার খবর | রাজনীতি » কেএমপি কমিশনারের অপসারণ দাবিতে রূপসা সেতু অবরোধ
কেএমপি কমিশনারের অপসারণ দাবিতে রূপসা সেতু অবরোধ
খুলনা প্রতিনিধিঃ
এসআই সুকান্ত দাসকে ছাড়ার অভিযোগে উত্তাল খুলনা, আন্দোলনকারীদের ২৪ ঘণ্টার আলটিমেটাম
নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি) কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের অপসারণের দাবিতে মঙ্গলবার বিকেলে খানজাহান আলী (রূপসা) সেতুর টোল প্লাজা অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। প্রায় দুই ঘণ্টার এই কর্মসূচিতে সেতুর দুই পাশে শত শত যানবাহন আটকে পড়ে, চরম দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা।
আন্দোলনের পঞ্চম দিন, সড়কে উত্তেজনা
‘সচেতন ছাত্র-জনতা’ ব্যানারে আয়োজিত এই কর্মসূচিতে অংশ নেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একাংশ, ছাত্রদল ও যুবদলের নেতা-কর্মীরা। বেলা তিনটার দিকে তাঁরা টোল প্লাজার আশপাশে জড়ো হন এবং সাড়ে তিনটার দিকে সড়ক অবরোধ শুরু করেন। আন্দোলনকারীরা এ সময় ‘পুলিশ কমিশনার জুলফিকার, আস্ত একটা স্বৈরাচার’, ‘পুলিশ লীগের আস্তানা ভেঙে দাও’-এমন স্লোগান দেন। আশপাশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উপস্থিতি ছিল না।
এসআই সুকান্ত দাস ইস্যু ঘিরে উত্তেজনা
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, কেএমপি কমিশনারের প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপে এসআই সুকান্ত দাসকে ছেড়ে দেওয়া হয়, যাঁর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ১২ ডিসেম্বর ছাত্র-জনতার ওপর হামলার মামলা রয়েছে। পরে আন্দোলনের মুখে তাঁকে চুয়াডাঙ্গা থেকে গ্রেপ্তার করা হলেও কমিশনারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন থেকেই যায়।
কর্মসূচি স্থগিত, নতুন আলটিমেটাম
বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে বৃষ্টির কারণে মাইকিং করে জানানো হয়, জনদুর্ভোগ বিবেচনায় আজকের কর্মসূচি স্থগিত করা হচ্ছে। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা জেলা সদস্যসচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পী বলেন, “২৪ ঘণ্টার মধ্যে কমিশনার অপসারণ না হলে বৃহস্পতিবার খুলনার সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সামনে সড়ক অবরোধ করা হবে। এরপরও দাবি না মানলে রোববার থেকে সড়ক, রেল ও নৌপথ একযোগে অবরোধ করা হবে।”
আন্দোলনের ভেতরে বিভাজন
এদিকে আন্দোলন ঘিরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যেই বিভাজন দেখা দিয়েছে। একাংশ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার পক্ষে থাকলেও অন্য অংশ দাবি করছে, এসআই সুকান্তের গ্রেপ্তারে তাঁদের উদ্দেশ্য পূরণ হয়েছে, তাই তাঁরা সরে দাঁড়িয়েছেন।
সম্পাদকীয় মন্তব্য: আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিরুদ্ধে আস্থাহীনতা ও রাজনৈতিক হস্তক্ষেপের অভিযোগ যদি বারবার ওঠে, তবে তা শুধু প্রশাসনের নয়-গণতন্ত্রের জন্যও হুমকি। খুলনার পরিস্থিতি সেই বাস্তবতারই প্রতিচ্ছবি।