
বুধবার, ৬ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি | ব্রেকিং নিউজ » ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে মোস্তফা কামাল! প্রশ্নের মুখে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো
ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও যুক্তরাষ্ট্রে মোস্তফা কামাল! প্রশ্নের মুখে সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সংস্থাগুলো
ঢাকা, ৫ আগস্ট ২০২৫
গত ২৭ মে মোস্তফা কামালের ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয় দুর্নীতির অভিযোগে। তিনি মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ (এমজিআই)-এর চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক। তার বিরুদ্ধে একাধিক দুর্নীতির মামলা রয়েছে, যার মধ্যে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের অবৈধ অর্থায়নের অভিযোগও রয়েছে।
আওয়ামী লীগের শাসনামলে কর্পোরেট দৈত্যে পরিণত হওয়া এমজিআই ছিল একাত্তর টেলিভিশনের প্রধান মালিক, যা তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মুখপাত্র হিসেবে কাজ করত বলে অভিযোগ রয়েছে।
কিন্তু সম্প্রতি একটি ছবি সামাজিক মাধ্যমে ঘুরে বেড়াচ্ছে, যেখানে মোস্তফা কামালকে দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসিতে ইউএস চেম্বার অব কমার্স ভবনের ছাদে, বাংলাদেশের বাণিজ্য উপদেষ্টা ও প্রধান উপদেষ্টার জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টার সঙ্গে। ছবিটি তুলেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
এই ছবি প্রকাশের পর থেকেই প্রশ্ন উঠেছে- ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর থাকলে মোস্তফা কামাল কীভাবে বিদেশ গেলেন? নিষেধাজ্ঞা কি গোপনে প্রত্যাহার করা হয়েছে? না কি তিনি আইনকে ফাঁকি দিয়েই দেশত্যাগ করেছেন?
যদি তার মতো একজন ব্যক্তি যিনি বহুল আলোচিত দুর্নীতির মামলায় অভিযুক্ত এবং সরকারের নজরদারির তালিকায় রয়েছেন, তিনি বিদেশে যেতে পারেন, তাহলে আরও কতজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি ইতিমধ্যে গোপনে দেশ ছেড়েছেন-তা নিয়ে উদ্বেগ আরও বেড়েছে।
এ বিষয়ে এখনো কোনো সরকারি বা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থার পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছে সামাজিক মাধ্যম এবং রাজনৈতিক মহলে।
জনগণের মনে এখন বড় প্রশ্ন-
যদি মোস্তফা কামাল যেতে পারেন, তাহলে অন্যদের বেলায় নিষেধাজ্ঞা কীভাবে কার্যকর হচ্ছে?
এই ঘটনা কি প্রমাণ করে যে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা কেবল ‘দুর্বল’ বা ‘অপ্রভাবশালী’ ব্যক্তিদের জন্য?
যেকোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যার অনুপস্থিতিতে, এই ঘটনা দেশের বিচারব্যবস্থা ও প্রশাসনিক প্রক্রিয়ার বিশ্বাসযোগ্যতাকে বড় প্রশ্নের মুখে ফেলেছে।