লক্ষ্মীপুরে পুলিশের গুলিতে সন্ত্রাসীর প্রধান জসিম নিহত
রুবেল হোসেন, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
লক্ষ্মীপুরে পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসী জসিম বাহিনীর ঘন্টা ব্যাপী ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মোছলে উদ্দিন জসিম (৩০) নামের পুলিশের তালিকাভ’ক্ত এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয় এবং তার অপর সহযোগী দেলোয়ার হোসেন, বেলজিয়াম সুমন ও কালা শাহাদাত ৩ সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে একটি ইউ.এস.এ বিদেশী বন্দুক, ১টি পিস্তল, ৬ রাইন্ড তাজা গুলি ও ৩টি কাটুজ উদ্ধ্ার করে পুলিশ। এসময় গোয়েন্দা পুলিশের ৭ সদস্য আহত হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর উপজেলার বশিকপুর ইউনিয়নের বালাশপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জসিম সদর উপজেলার দত্তপাড়া ইউনিয়নের দর্জিপাড়া গ্রামের সহিদ উল্যার ছেলে। আহতরা হলেন একই গ্রামের আমীর হোসেনের ছেলে দেলোয়ার হোসেন, সিরাজ মিয়ার ছেলে বেলজিয়াম সুমন অন্য গুলিবিদ্ধ কালা শাহাদাতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। আহত পুলিশ সদস্যরা হলেন কামাল, এজাজুল হক, জহির, তুহিন, রুপক, লোকমান ও রফিকুল এরা লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা নেয়।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে সহকারী পুলিশ সুপার (সদর) জুনায়েত কাউসার সাংবাদিকদের জানান, জসিম পুলিশের তালিকা ভ’ক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী। আজ সোমবার রাত নয়টার দিকে জসিম বাহিনীর সন্ত্রাসীরা সদর উপজেলার বালাইশপুর এলাকায় আতœগোপনে রয়েছে। এমন সংবাদ পেয়ে ওই এলাকায় ডিভি পুলিশ ও চন্দ্রগঞ্জ থানার পুলিশ যৌথ অভিযান পরিচালনা করে। তৎঁ পেতে থাকা জসিম ও তার সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ করে গুলি ছুঁড়ে। পুলিশও আত্মরক্ষাতে পাল্টা গুলি চালায়। এতে জসিম বাহিনীর প্রধানসহ ৪ সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। ওই সময় কালা শাহাদাত নামের এক সন্ত্রাসী গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পালিয়ে যায়। আটক করা হয় জসিমসহ অপর দুই সন্ত্রাসীকে। এসময় সাত পুলিশ সদস্যও আহত হন। পরে ঘটনাস্থল থেকে একটি ইউ.এস.এ বিদেশী বন্দুক, ১টি পিস্তল, ৬ রাইন্ড তাজা গুলি ও ৩টি কাটুজ উদ্ধ্ার করা হয়। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে আনা হলে কত্বব্যরত চিকিৎসক জসিমকে মৃত ঘোষনা করে। বাকি গুলিবিদ্ধ দু’সন্ত্রাসীকে পুলিশ পাহারায় লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এই কর্মকর্তা আরো জানায়, সন্ত্রাসী জসিম ও তার সহযোগী বেলজিয়াম সুমনের বিরুদ্ধে হত্যা, চুরি,ডাকাতি ও নাশকতাসহ প্রায় অধ্যশতাদিক মামলা রয়েছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের আরএমও আনোয়ার হোসেন জানান, জসিম উদ্দিন নামের একজনের গুলিবিদ্ধ লাশ হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। পায়ে গুলিবিদ্ধ অপর দুইজনকে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
এদিকে নিহত জসিমের বাবা সহিদ উল্যা দাবী করেন, তার ছেলেকে সোমবার বিকেল ৬টার দিকে বাড়ির পাশে থেকে আটক করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এরপর থেকে সে নিখোঁজ ছিলো।