
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » শিক্ষা ও ক্যারিয়ার | স্বাস্থ্য ও আইন » মানবতার সেবক নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.অমিতাভ সরকার
মানবতার সেবক নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা.অমিতাভ সরকার
মামুনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল : এমন একজন ডাক্তার যিনি তার দক্ষতা, জ্ঞান, এবং মানবতাবাদী দৃষ্টিভঙ্গির মাধ্যমে রোগীদের কাছে এক বিশেষ স্থান অধিকার করে নিয়েছেন।তিনি রোগীদের সাথে সহানুভূতিশীল আচরণ করেন, তাদের সমস্যা মনোযোগ দিয়ে শোনেন এবং তাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতির জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালান।তার আচরনে রোগী ও তার স্বজনরা খুশি। তিনি এমন একজন ডাক্তার যিনি মস্তিষ্ক, মেরুদণ্ড এবং স্নায়ুতন্ত্রের রোগ নির্ণয় ও চিকিৎসায় বিশেষজ্ঞ। স্ট্রোক, মৃগীরোগ, পারকিনসন রোগ, মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস এবং আলঝেইমার রোগের মতো বিভিন্ন স্নায়বিক অবস্থার চিকিৎসা করেন।
বলছি যার মানবিক ব্যবহারের মধ্যে সত্যিকারের ভালোবাসা ও সততায় মুগ্ধ হতে হয়। তিনি উদার মানব দরদি, সামাজিক মানুষ বরিশালের নিউরোলজি বিশেষজ্ঞ ডাক্তার, বরিশাল শেরেবাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক অমিতাভ সরকারের কথা।
তিনি এমবিবিএস, এমডি (নিউরোলজি),মস্তিষ্ক, স্ট্রোক, স্নায়ু, মেডিসিন এবং নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ, সহযোগী অধ্যাপক,নিউরোলজি বিভাগ,বরিশাল শেরে বাংলা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল। গভীর রাত পর্যন্ত রোগী দেখেন।নেই রাগ।হাসি মুখেই রোগীদের সাথে কথা বলেন। মানবিক ডাক্তার অমিতাভ সরকার দক্ষিনাঞ্চলের রোগীদের একমাত্র নিউরোলজির পছন্দের ডাক্তার।জয় করেছেন চিকিৎসা সেবা ও আচরনের মাধ্যমে।কারো মাঝে নেই ক্ষোভ।নেই অভিযোগ।
তিনি যেন পূর্ণিমার পূর্ণ জোছনার আলোর মতো চিকিৎসা সেবায় আলো ছড়িয়ে দিচ্ছেন। একজন চিকিৎসক মানুষকে সেবা করার যত বেশি সুযোগ পান, অন্য পেশাজীবীরা তা পান না। তাই চিকিৎসককে আগে ভালো মানুষ হতে হয়, তাহলেই তিনি হতে পারেন আদর্শিক, মানবিক একজন চিকিৎসক। একজন চিকিৎসকের অন্যতম দায়িত্ব হচ্ছে রোগীকে সম্মান করা। কোনোরূপ তুচ্ছতাচ্ছিল্য না করা। বন্ধুসুলভ আচরণ করা। একজন চিকিৎসককে স্বভাবতই সৎ, নিঃস্বার্থ, অঙ্গীকারবদ্ধ, দেশপ্রেমিক, দায়িত্বশীল ও দয়ালু হতে হয়। রোগীকে মানবিক মন নিয়ে সেবা করে তার দুঃখ-বেদনা অনুভব করতে পারেন। এমনই একজন সদালাপী, মানবিক চিকিৎসক অমিতাভ সরকার।
বরিশালের বিশিষ্ট স্নায়ুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা: অমিতাভ সরকার নিউরোলজি ডিগ্রিধারী একজন নিউরোমেডিসিন বিশেষজ্ঞ। মাথাব্যথা, স্ট্রোক, মস্তিষ্কের সংক্রমণ এবং স্নায়ুবিক দুর্বলতার চিকিৎসায় তার বিশেষ দক্ষতা রয়েছে।
মস্তিষ্ক, স্নায়ু এবং স্ট্রোক সম্পর্কিত জটিল রোগ নির্ণয়ে বিশেষ পারদর্শী। তার চিকিৎসা সেবায় মাথাব্যথা, বমি ভাব, দুর্বলতা বা শ্বাসকষ্টের মতো লক্ষণযুক্ত রোগীদের জন্য বিশেষ সহায়তা পাওয়া যায়।
শের-এ-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ডা: অমিতাভ সরকারের হাতে প্রশিক্ষিত হয়েছে অসংখ্য মেডিকেল শিক্ষার্থী। তার চিকিৎসা পদ্ধতিতে আধুনিক নিউরো ইমেজিং টেকনোলজি ও ওষুধের সমন্বয়ে রোগীদের দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতা নিশ্চিত করা হয়। বরিশালের বেলভিউ হাসপাতালে তার নিয়মিত চেম্বার চললেও জটিল রোগীদের জন্য কেএমসি ও রাহাত আনোয়ার হাসপাতালেও পরামর্শ দেন তিনি।
ডা: অমিতাভ সরকারের চিকিৎসা সেবার মধ্যে রয়েছে স্ট্রোক পরবর্তী জটিলতা ব্যবস্থাপনা, মাইগ্রেনের আধুনিক চিকিৎসা এবং স্নায়ুবিক ব্যথার স্থায়ী সমাধান। যেসব রোগী মাথা ঘোরা, বুক ব্যথা বা হজমের সমস্যা নিয়ে আসেন, তাদের জন্য তিনি ব্যক্তিগতকৃত থেরাপি প্ল্যান তৈরি করে থাকেন। অভিজ্ঞ এই নিউরোলজিস্ট রোগীদের সাথে সরাসরি কথা বলে সমস্যার গভীরে যান।
ডাঃ অমিতাভ সরকার কোমর ও ঘাড়ের স্নায়ুব্যথা চিকিৎসা,নিউরোপ্যাথি চিকিৎসা,নিদ্রাহীনতা মূল্যায়ন,পারকিনসন্স ডিজিজ ম্যানেজমেন্ট,মস্তিষ্কের এনিউরিজম ব্যবস্থাপনা, মস্তিষ্কের টিউমার নির্নয়,মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ ব্যবস্থাপনা,মাইগ্রেন চিকিৎসা,মাথা ঘোরা ও ভার্টিগো চিকিৎসা,মাল্টিপল স্ক্লেরোসিস চিকিৎসা,মাংসপেশীর দুর্বলতা চিকিৎসা,মৃগী রোগের ব্যবস্থাপনা,স্ট্রোক পরবর্তী পুনর্বাসন,স্নায়ু আঘাত পুনর্বাসন,স্নায়ু প্রদাহ চিকিৎসা,স্নায়ুবিক জটিলতা মূল্যায়ন,স্নায়ুবিক পরীক্ষা ও ডায়াগনোসিস,স্নায়ুবিক ব্যথা চিকিৎসা, স্নায়ুবিক সংক্রমণ চিকিৎসা ও স্মৃতিভ্রংশ রোগের যত্ন বিষয়ে চিকিৎসা সেবা তিয়ে আসছেন।
চিকিৎসা সেবার পাশাপাশি ডা: অমিতাভ সরকার নিয়মিত স্বাস্থ্য সচেতনতা কর্মশালা আয়োজন করেন। স্নায়ুরোগ প্রতিরোধে সঠিক জীবনযাপন পদ্ধতি সম্পর্কে তার পরামর্শ স্থানীয় ভাবে ব্যাপক স্বীকৃত। মোঃ আইউব আলী নামে এক রোগী বলেন, আমার অনেক সমস্যা ছিল।অমিতাভ সরকার স্যারের চিকিৎসা নিয়ে ভাল আছি আবার দেখা করতে এসেছি। ওনার কথা আচার ব্যবহার খুব ভাল। ওনি আসলে সাধারন ডাক্তার নয়, একজন মহান ডাক্তার।আল্লাহ,তায়ালা পাঠিয়েছেন মানুষের সেবা করতে।
ডাক্তার অমিতাভ সরকারের আন্তরিকতা আর আলাপনেই রোগী অনেকটা নির্ভরতা খুঁজে পান। সুস্থ হয়ে ওঠার মনোবল ফিরে পান। তিনি রোগীকে আপন করে নিতে পারেন। শুধু রোগী নয়, মানুষকে আপন করে নেওয়ার এক অমোঘ শক্তি রয়েছে তার, যা সবাইকে মুগ্ধ করে।
বিএম কলেজের সহকারী অধ্যাপক এম মওদুদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানির অভিযোগ
মামুনুর রশীদ নোমানী,বরিশাল : বরিশালের ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এম মওদুদ আহমেদের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন হয়রানি, উত্ত্যক্ত ও প্রাইভেট পড়তে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।এ ঘটনায় গঠিত চার সদস্যের তদন্ত কমিটি মঙ্গলবার সংশ্লিষ্ট চিঠি পেয়েছে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের ক্ষোভ প্রশমনে অভিযুক্ত শিক্ষক মওদুদকে ছুটিতে পাঠিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। কলেজে গিয়ে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে দর্শন বিভাগের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা ইতস্তত বোধ করেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে দুই শিক্ষার্থী জানান, শিক্ষক মওদুদের প্রধান লক্ষ্য তাঁর কাছে প্রাইভেট পড়া। এছাড়া ইনকোর্স ও মৌখিক পরীক্ষায় কম নম্বর দেওয়ার হুমকি দেন। শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করেন, শিক্ষক মওদুদ ছাত্রীদের গভীর রাতে ফোন দেন এবং তাঁদের রাতে ফোন করতে বলেন।এসব ঘটনার প্রতিকার চেয়ে গত শনিবার অর্ধশত শিক্ষার্থী কলেজের অধ্যক্ষের কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনা তদন্তে চার সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক মওদুদের মুঠোফোনে কল দিলে একজন ধরে বলেন, ‘আমি তাঁর স্টাফ। স্যারকে সন্ধ্যার পর পাবেন।’ সন্ধ্যার পর আর ফোন ধরেননি তিনি।তদন্তের বিষয়ে কমিটির সদস্য ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মহিউদ্দিন বলেন, তাঁরা এ-সংক্রান্ত চিঠি হাতে পেয়েছেন। তবে এখনো তদন্ত শুরু করেননি। মহিউদ্দিন জানান, শিক্ষক মওদুদ দাবি করেছেন যে প্রাইভেট পড়ানো নিয়ে তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে।তদন্ত কমিটির প্রধান রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের বিভাগীয় প্রধান মো. মামুন উর রশিদ খান বলেন, তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা এখন কাজ শুরু করবেন।বিএম কলেজের অধ্যক্ষ শেখ মো. তাজুল ইসলাম বলেন, শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। অভিযুক্ত শিক্ষক উদ্ভূত পরিস্থিতিতে ছুটিতে রয়েছেন।
লিটন বাশারের মা রেনু বেগমের
দাফন সম্পন্ন
বরিশাল অফিস : বরিশাল প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকার সাবেক ব্যুরো প্রধান মরহুম লিটন বাশারের মা রেনু বেগম (৭০) হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহির…. রাজিউন)।
তিনি ৩ ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন রেখে গেছেন। বুধবার বাদ যোহর মরহুমার জানাজা শেষে বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ডিঙামানিক গ্রামের পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
মরহুমা রেনু বেগমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মামুনুর রশীদ নোমানী,সাধারন সম্পাদক মামুন অর রশিদসহ ইউনিয়নের সকল সদস্যবৃন্দ।এছাড়া শোক প্রকাশ করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন প্রেসক্লাবের সভাপতি কাজী আবুল কালাম আজাদ,সাধারন সম্পাদক খলিলুর রহমান সহ সদস্য বৃন্দ। তারা শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা ও মরহুমার রুহের মাগফিরাত কামনা করেন ।