
বুধবার, ২৩ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » ফারজানা ববি চাকরি হারানো সাংবাদিকের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া
ফারজানা ববি চাকরি হারানো সাংবাদিকের ফেসবুক স্ট্যাটাস থেকে নেওয়া
অক্টোবর ২১, ২০২৪।
গায়ের এই পোশাক পরেই সকাল সাড়ে ৮টায় রেডি হয়েছিলাম মিরপুর স্টেডিয়ামে যাওয়ার জন্য। আমার প্রথম আন্তর্জাতিক ম্যাচ কাভার। তার আগের দিনই আমার জন্মদিন ছিল। জন্মদিনে গিফট হিসেবে পেলাম বহুল কাঙ্ক্ষিত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের অ্যাক্রিডিটেশন কার্ড। আমার চেয়ে খুশি সেই সময়টাতে আর কেউ ছিল না বোধহয়।
খুশি বেশিক্ষণ থাকেনি। বিসিবির মিডিয়া ম্যানেজার আমাকে কল দিয়ে বলল, “আপনি কার্ড পাওয়ায় আপনার অফিসের লোকজন ঝামেলা করছে। আপনি অফিস থেকে অনুমতিপত্র নিয়ে আসেন।” আমি গেলাম অফিসে। যাওয়ার পথে বাইক অ্যাক্সিডেন্ট করে প্যান্ট ছিঁড়ে হাঁটুর মাংস তুলে ফেললাম। খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে অফিসে গিয়ে বার্তা প্রধান থেকে অনুমতি আনলাম। যদিও তার থেকে অনুমতি নিয়েই কার্ডের আবেদন করেছি। মিডিয়া ম্যানেজারকে পাঠালাম।
পরদিন সকালে স্বাভাবিকভাবেই খুব এক্সাইটেড ছিলাম। ভাবলাম সব ঠিকঠাক। কিন্তু সকাল ৯টায় অফিস থেকে এইচআর কল দিয়ে বলল, “আপনার আর অফিসে আসতে হবে না।”
ওই মাসেই আমার ছোট ভাই-বোনকে ঢাকায় এনেছিলাম, ফ্ল্যাট নিয়েছিলাম। আর সেই মাসের মাঝখানে আমার চাকরি নাই!
কাজ না করলে মানুষের চাকরি যায়। কাজ করতে চাওয়ার জন্য একমাত্র ‘দৈনিক মানবজমিন’ই সম্ভবত চাকরি খায়। আমার চাকরি নাই এটা আমাকে যে এসাইন করে সেই ডিজিটাল হেডও জানতো না। এতই পাওয়ারফুল কিছু সিনিয়র রিপোর্টার নামক বদমাইশ। যারা নিজেরা কাজ করতে পারে না এবং অন্যরা কাজ করলে ভাবে যদি জায়গা হাতছাড়া হয়ে যায়! তাই অন্যের পা ধরে নিচে নামাতে হবে। নিজেকে উন্নত করার চেষ্টা নাই। যাক গে, দৈনিক মানবজমিন আমাকে সেই মাসের পুরো টাকাও দেয়নি এমনকি বাকি কোনো কিছুই আমি পাইনি। আমার চাকরি যাতে কোথাও না হয় সেই সুব্যবস্থাও করার বহু চেষ্টা করা হয়েছে।
২০ জুলাই, ২০২৫।
এই যে চা খেতে খেতে পাকিস্তান বনাম বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ম্যাচ কাভার করছি। ছবিটাও মানবজমিনের আরেক রিপোর্টারের তোলা…