
শনিবার, ১৯ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি | তথ্য-প্রযুক্তি | রাজনীতি » স্টারলিংক ও সার্বভৌমত্ব: প্রযুক্তির ছায়ায় দেশ বিক্রির ব্লুপ্রিন্ট?
স্টারলিংক ও সার্বভৌমত্ব: প্রযুক্তির ছায়ায় দেশ বিক্রির ব্লুপ্রিন্ট?
বাংলাদেশে এক নতুন বাস্তবতা নেমে এসেছে-ইন্টারনেটের নামে, উন্নয়নের নামে, কিন্তু আসলে একটি অদৃশ্য নিয়ন্ত্রণ কাঠামো প্রতিষ্ঠার তৎপরতা চলছে। স্টারলিংক, স্পেসএক্সের এই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট প্রকল্প, এখন আর নিছক প্রযুক্তি নয়; এটি বাংলাদেশের ডিজিটাল সীমান্তকে চিরতরে বহুজাতিক নিয়ন্ত্রণে দেয়ার পথ।
‘সংযোগ’ নয়, এটি তথ্য শাসনের হাতিয়ার
ইন্টারনেট যখন আকাশ থেকে আসবে, তখন জাতীয় ISP, নীতিনির্ধারণ, এমনকি তথ্য প্রবাহের মালিকানা কোথায় থাকবে? স্টারলিংকের সঙ্গে এমন এক ক্ষমতাবান চুক্তি হতে যাচ্ছে-জনগণের মতামত ছাড়াই, জাতীয় সংসদের আলোচনার বাইরেও।
ড. ইউনূস যেমন বলেছেন, এটি “উন্নয়নের নতুন পথ”; কিন্তু তার পিছনে গ্রামীণ প্রযুক্তির নামে একচ্ছত্র নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার নীলনকশা স্পষ্ট। “নারী উদ্যোক্তা” বা “শিশু ক্ষমতায়ন”-এসব মানবিক শব্দের আড়ালে লুকিয়ে আছে ডেটা দখল, ভূরাজনৈতিক প্রভাব ও সার্বভৌমত্বের হ্রাস।
ক্ষমতা দখলের পর বিক্রির অভিযান?
অনেকের পর্যবেক্ষণ বলছে: ক্ষমতা দখলের পর এখন হচ্ছে কৌশলগত দেশ বিক্রির কার্যক্রম। যদি জনগণ চুপ থাকে, তাহলে-
- সংযোগ থাকবে, কিন্তু নিরাপত্তা থাকবে না
- প্রযুক্তি থাকবে, কিন্তু নিয়ন্ত্রণ বাইরের হাতে
- নেতৃত্ব থাকবে, কিন্তু জবাবদিহিতা থাকবে না
“কমিশনখোর সরকার” নিজস্ব ন্যায়বিচার, ত্যাগ আর ইতিহাসের প্রতি অবজ্ঞা করে এগোচ্ছে।
মুক্তির পথ কী?
জনমত সংগঠন: স্থানীয় ও জাতীয় পর্যায়ে সার্বভৌমত্ব প্রশ্নে জনসচেতনতা তৈরি করুন ✅ নীতি জবাবদিহিতা দাবি: সংসদীয় শুনানি, প্রকাশ্য চুক্তির দাবি তুলুন ✅ বিকল্প প্রযুক্তি ও বিনিয়োগ: স্থানীয় ISP ও প্রযুক্তি উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় সহায়তা নিশ্চিত করুন ✅ আন্তর্জাতিক ফোরামে কণ্ঠস্বর: বিদেশি নিয়ন্ত্রণের বিরুদ্ধে তথ্য-ভিত্তিক প্রতিবেদন ও জোট গঠন করুন ✅ আইনি পদক্ষেপ: প্রয়োজন হলে তথ্য অধিকার আইনের আওতায় চুক্তি প্রকাশ, বা প্রশাসনিক চ্যালেঞ্জ জারি করুন
পরিশেষে দেশ বিক্রির এজেন্টদের বিচার কি হবে?
ইতিহাস বলছে, কোনো দেশ বিক্রি হয় না-কিন্তু নেতৃত্ব বিক্রি করে দেয়। বিচার তখনই সম্ভব, যদি জনগণ জেগে ওঠে। প্রযুক্তির ছায়ায় কোনো গোপন শাসনব্যবস্থা চালু হলে, তা সময়মত উন্মোচিত না হলে ভবিষ্যতের প্রজন্ম শুধু সংযুক্ত থাকবে, মুক্ত থাকবে না।
সতর্ক হতে হবে এখনই।