সদ্য অবসরে যাওয়া মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার বিপুল সম্পদের মালিকানা নিয়ে রহস্য (পর্ব-২)

এম এ মাইকেলঃ

* অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে দুদক।

* ছেলের বিবাহ অনুষ্ঠানে কোটি টাকা ব্যয়

* দুর্নীতির সম্পদ রক্ষায় স্বামী মোস্তফাকে অস্বীকার স্ত্রীর।

* ভাসুর সাইফুল ইসলামকে স্বামী দাবী- স্ত্রীর

* বনশ্রী আবাসিক এলাকায় কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট।

* নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ৫ তলা আলিশান ভবন।

* আমিন মোহাম্মদ হাউজিং প্লট।

* উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার থেকে সদ্য অবসর।

সদ্য অবসরে যাওয়া শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার বিপুল সম্পদের মালিকানা নিয়ে রহস্য শিরোনামে জাতীয় দৈনিক পক্ষকাল পত্রিকায় একটি অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়,প্রতিবেদনটি প্রকাশিত হওয়ার পর মহা দুর্নীতিবাজ শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা চাকরি জীবনে নিজের অপকর্ম অনিয়ম দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ রক্ষায় এবং অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় রোধ করার জন্য ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়েন।বিশ্বস্ত সূত্রে জানা যায় বেশ কিছুদিন আগে মহা দুর্নীতিবাজ সদ্য অবসরে যাওয়া শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফা ছেলের বিবাহ অনুষ্ঠানে কয়েক কোটি টাকা ব্যয় করে আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধবদের তাক লাগিয়ে দেন।সদ্য অবসরে যাওয়া দুর্নীতিবাজ শিক্ষা কর্মকর্তা গোলাম মোস্তফার ছেলের বিবাহ অনুষ্ঠানের ব্যয় করা অর্থ নিয়ে অনুষ্ঠানে আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে কৌতূহল সৃষ্টি করে,কেউ কেউ বলতে থাকেন গোলাম মোস্তফা ছেলের বিবাহ বৌভাত অনুষ্ঠানে এতো টাকা খরচ করলো টাকা পেল কোথায়? সদ্য অবসরে যাওয়ার পর এখনো তো পেনশনের টাকা পাননি তাহলে ছেলের বিবাহ অনুষ্ঠানে বিশাল অংক ব্যয় করা অর্থের উৎস নিয়ে বৌভাত অনুষ্ঠানে আগত আমন্ত্রিত অতিথিদের মাঝে নতুন করে সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছে।

পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে দুর্নীতিকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার কারণে,দেশের সরকারি,আধা সরকারি,স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোতে দুর্নীতি মরণব্যাধি ক্যান্সার এর রূপ ধারণ করেছিল।বিগত সরকারের সময়ে জন্ম নেওয়া মহা দুর্নীতিবাজ মন্ত্রী,এমপি,আমলা,শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারির মূল হোতা সালমান এফ রহমান,ব্যাংক কেলেঙ্কারির হোতা এস আলম গ্রুপ এর মালিক শামসুল আলম,ছাগল কাণ্ডে আলোচিত এনবিআর এর সাবেক কর্মকর্তা মতিউর রহমান,বন খেকো মোশারফ,বিসিএস প্রশ্ন ফাঁস কেলেঙ্কারির হোতা আবেদ আলী,পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক বেনজির আহমেদ,সিআইডি সাবেক প্রধান মোহাম্মদ আলী মিয়া গংদের অনিয়ম দুর্নীতির ফিরিস্তি একে একে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পরে এইবার বেরিয়ে আসলো সদ্য অবসরে যাওয়া শিক্ষা খেকো মাধ্যমিক উপজেলা শিক্ষা অফিসার মহা দুর্নীতিবাজ গোলাম মোস্তফার নাম।

গোলাম মোস্তফার পরিচিতিঃ

পিতা মৃত শামসুল হক পাটোয়ারী।

স্ত্রীর নামঃ হাসিনা আক্তার শিল্পী।

বিবাহিত জীবনে দুই ছেলে সন্তানের জনক।

গ্রামঃলক্ষীধর পাড়া।

পোঃ লক্ষীধর পাড়া।

৯ নং ভোলাকোট ইউনিয়ন,উপজেলা-রামগঞ্জ, জেলা-লক্ষীপুর।বর্তমান বসবাস প্রীতম হাউজিং ভবন, বনশ্রী আবাসিক এলাকা-ঢাকা।

অভিযোগের সূত্র ধরে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায় শিক্ষা খেকো গোলাম মোস্তফা ফেনী জেলার সদর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে থেকে  ৩০শে জুলাই-০২৫ ইং তারিখে পিআরএল এ যান,এবং চাকরি জীবনে তিনি নজিরবিহীন অনিয়ম দূর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে প্রিয়তমা স্ত্রী হাসিনা আক্তার শিল্পী ও ছেলে সন্তানের নামে রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন লোকেশনে এবং ঢাকা পার্শ্ববর্তী জেলা নারায়ণগঞ্জ এটি কর্পোরেশন এলাকায় গড়ে তুলেন কাড়ি কাড়ি সম্পদ।

অনুসন্ধানে গিয়ে পাওয়া যায় মাধ্যমিক শিক্ষা খেকো মহা দুর্নীতিবাজ শিক্ষা অফিসার গোলাম মোস্তফা অনিয়ম ও দুর্নীতির টাকায় রাজধানী ঢাকার আভিজাত্য এলাকা খ্যাত বনশ্রী আবাসিক এলাকার প্রীতম হাউজিং ভবনে কোটি টাকার উপরে দামী আলিশান ফ্ল্যাট ও নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ২ নং ওয়ার্ড মিজমিজি কান্দাপাড়া বাইতুস সালাত জামে মসজিদের সামনে কয়েক কোটি টাকা মূল্যের পাঁচ তলা আলিশান ভবন তৈরী করেছেন।এছাড়াও রাজধানী ঢাকার আদাবর ১০ নং রোডের মাথায় ক্রয় করা জমি আপন ভাই আরেক মহা দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর কাছে কয়েক লক্ষ টাকায় বিক্রি করেন বলে অনুসন্ধানে পাওয়া যায়। মাধ্যমিক শিক্ষা খেকো সদ্য অবসরে যাওয়া মহা দুর্নীতিবাজ গোলাম মোস্তফা অনিয়ম দুর্নীতির টাকায় রাজধানী ঢাকার আমিন মোহাম্মদ হাউজিং কয়েক কোটি টাকা মূল্যের প্লট।এছাড়াও সরকারি বেসরকারি বিভিন্ন ব্যাংকে প্রিয়তমা স্ত্রী ও সন্তান-সহ নামে বেনামে কাড়ি কাড়ি টাকার এফডিআর ও সঞ্চপত্র।অনুসন্ধানকালে মহা দুর্নীতিবাজ গোলাম মোস্তফার প্রিয়তমা স্ত্রী হাসিনা আক্তার শিল্পীর সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি তার স্বামী গোলাম মোস্তফা অনিয়ম দুর্নীতির টাকায় অর্জিত কাড়ি কাড়ি সম্পদ রক্ষায় নিজের স্বামীকে অস্বীকার করে ভাসুর সাইফুল ইসলামকে নিজের স্বামী হিসেবে প্রতিবেদকের কাছে উপস্থাপন করেন,যাহা মুসলিম শরিয়া আইনের সাথে সংঘর্ষিক।প্রশ্ন জাগে গোলাম মোস্তফার প্রিয়তমা স্ত্রী হাসিনা আক্তার শিল্পী কেন নিজের স্বামী জীবিত থাকা অবস্থায় ভাসুর সাইফুল ইসলামকে নিজের স্বামী হিসাবে উপস্থাপন করলেন তা বোধগম্য নয়,,! উল্লেখ্য বিগত কিছুদিন আগে মাধ্যমিক শিক্ষা খেকো সদ্য অবসরে যাওয়া গোলাম মোস্তফার আপন বড় ভাই আরেক দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর চাকরি জীবনে অনিয়ম দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদ’র ধারাবাহিক সংবাদ প্রকাশিত হয়ে আসছে কয়েকটি দৈনিক পত্রিকায়। চাকরি জীবনে নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত কাড়ি কাড়ি সম্পদের বিষয়ে জানতে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা খেকো মহা দুর্নীতিবাজ সদ্য অবসরে যাওয়া গোলাম মোস্তফার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়ে ও খুঁদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।পরবর্তীতে মাধ্যমিক শিক্ষা খেকো সদ্য অবসরে যাওয়া মহা দুর্নীতিবাজ গোলাম মোস্তফার আপন ভাগিনা সৌদি আরব প্রবাসী জাকির প্রতিবেদকের মুঠো ফোনে খুঁদে বার্তার মাধ্যমে অনুরোধ জানান যে সাংবাদিক ভাই আমি আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার আগে আপনি গোলাম মোস্তফার অনিয়ম দুর্নীতির সংবাদটি ছাপানো থেকে বিরত থাকুন।পরবর্তীতে গোলাম মোস্তফার ভাগিনা সৌদি আরব প্রবাসী জাকির”র খুদেবার্তা অনুযায়ী প্রতিবেদক ভাগিনা জাকির’র মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এই প্রতিবেদক কে বলেন আমি আপনাকে অনেকগুলো ডকুমেন্ট দিয়েছি কিন্তু এই ডকুমেন্ট এর বাইরে ও আরো অনেক কিছু আমার বলার আছে তাই বলছি আমি আপনার সাথে সাক্ষাৎ করার পরে আপনি সাংবাদিক প্রকাশিত করুন। সদ্য অবসরে যাওয়া মাধ্যমিক শিক্ষা খেকো মহা দুর্নীতিবাজ গোলাম মোস্তফার চাকরি জীবনে নজিরবিহীন অনিয়ম দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) জনসংযোগ কর্মকর্তা মোঃ আকতারুল ইসলাম’র কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদককে বলেন অভিযোগ পেলে তদন্ত এর মাধ্যমে গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।অন্য এক প্রশ্নের জবাবে দুদক জনসংযোগ কর্মকর্তা এই প্রতিবেদককে জানান দুর্নীতিবাজ যতই ক্ষমতাবান হোক না কেন বিন্দুমাত্রা ছাড় দেওয়ার কোন অবকাশ নেই। সদ্য অবসরে যাওয়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা খেকো মহা দুর্নীতিবাজ গোলাম মোস্তফার অনিয়ম-দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের বিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক এমএস রেজা এই প্রতিবেদককে বলেন এহেন দুর্নীতিবাজদের দেশ ও জাতির শত্রু,নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে গোলাম মোস্তফাদের মত সকল দুর্নীতিবাজদের সম্পদ রাষ্ট্রীয় কোষাগারে নিয়ে রাষ্ট্র মেরামতের কাজ করা উচিত।

(মাধ্যমিক শিক্ষা খেকো সদ্য অবসরে যাওয়া গোলাম মোস্তফার অনিয়ম দুর্নীতি ও দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত সম্পদের অনুসন্ধান চলমান,,,)