আজ সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস
আজ ৩০ জুন। ঐতিহাসিক সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস। ১৬৪ বছর আগে বিদ্রোহের সূতিকাগার ছিল মধ্য ও পশ্চিম বাংলার সমতলে। ১৮৫৫ সালের ৩০ জুন সাওতাল সম্প্রদায়ের চারভাই সিদো-কানহু-চান্দ ও ভাইরোর নেতৃত্বে আদিবাসীরা সর্বাত্বক যুদ্ধ ঘোষণা করে। এ যুদ্ধের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ সৈন্য ও তাদের দোসর অসৎ ব্যবসায়ী, মুনাফাখোর ও মহাজনদের অত্যাচার, নিপীড়ন ও নির্যাতনের হাত থেকে নিজেদের রক্ষা করা এবং একটি স্বাধীন সার্বভৌম সাঁওতাল রাজ্য প্রতিষ্ঠা করা।
ঐতিহাসিকভাবে সাঁওতালরাই বাংলার প্রধান আদিবাসী জনগোষ্ঠী। তাদের সাথে ছিল ওঁড়াও, ধাঙ্গড়,কোল, পাহাড়ী, কোচ, বাগদী, মুন্ডা, পাহাড়ী, মালো, জলদাস, রাজবংশীসহ নানা গোত্রের দ্রাবিড় জাতি। তারাই প্রথম জঙ্গল কেটে বন সাফ করে জনপদ গড়ে তোলে এ তল্লাটে। মাটিকে বাসযোগ্য করে তোলার পাশাপাশি তারা এলাকায় কৃষিজ পণ্য ধান, ভুট্টা, নানা ধরনের সব্জি আর সোনালী ফসল চাষের গোড়াপত্তন করে । পরে ঔপনিবেশিক শসিক ব্রিটিশদের মালিকানায় চা শিল্পও গড়ে ওঠে সাঁউতাল জনবলকে কেন্দ্র করে। আমাদের অঞ্চলের আদিবাসীদের রয়েছে এক গৌরবোজ্জল সংগ্রামী ঐতিহ্য ।
৩০ জুন, ভারতীয় স্বাধীনতা সংগ্রামের একটি তাৎপর্যপূর্ণ দিবস, যা ঐতিহাসিক সাঁওতাল হুল দিবস বা সাঁওতাল বিদ্রোহ দিবস নামে পরিচিত। আজকের দিনে ১৮৫৫ সালে সূচনা হয় ব্রিটিশ বিরোধী “সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সান্তাল হুল” -এর ।সাঁওতাল বিদ্রোহ বা সান্তাল হুল এর সূচনা হয় ১৮৫৫ সালে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ ও বিহারের ভাগলপুর জেলায়। ইংরেজ আমলে স্থানীয় জমিদার, মহাজন ও ইংরেজ কর্মচারীদের অন্যায় অত্যাচারের শিকার হয়ে সাঁওতালরা ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলে।এটি ছিল তাদের বিরুদ্ধে প্রথম সশস্ত্র গণসংগ্রাম। তাদের এই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয় সিধু, কানু, চাঁদ প্রমুখ। ১৮৫২ সালে লর্ড কর্নওয়ালিশের প্রবর্তিত চিরস্থায়ি বন্দোবস্তের ফলে তাদের উপর অত্যাচার বেড়ে গিয়েছিল। তাই সিপাহী বিদ্রোহের আগে ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে সাঁওতালরা সোচ্চার হয়েছিল।
১৮৫৫ সালের ৩০ জুন যুদ্ধ শুরু হয় এবং ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে তা শেষ হয়। সাওতাঁলরা তীর-ধনুক ও দেশীয় অস্ত্র সস্ত্র নিয়ে যুদ্ধ করলেও ইংরেজ বাহিনীর হাতে ছিলো বন্দুক ও কামান। তারা ঘোড়া ও হাতি যুদ্ধে ব্যবহার করেছিল। এ যুদ্ধে ইংরেজ সৈন্যসহ প্রায় ১০ হাজার সাঁওতাল যোদ্ধা শাহাদত বরণ করেন। সাঁওতাল বিদ্রোহের লেলিহান শিখা বৃটিশ সরকারের মসনদ কাঁপিয়ে দিয়েছিল। যুদ্ধে সিদ-কানহু-চান্দ ও ভাইরব পর্যায়ক্রমে নিহত হলে ১৮৫৬ সালের নভেম্বর মাসে যুদ্ধ শেষ হয় ও বিদ্রোহের পরিসমাপ্তি ঘটে।
১৮৫৫ খ্রি. ৩০শে জুন প্রায় ত্রিশ হাজার সাঁওতাল কৃষকের বীরভূমের ভগনাডিহি থেকে সমতলভূমির উপর দিয়ে কলিকাতাভিমুখে পদযাত্রা- ভারতের ইতিহাসে এটাই প্রথম গণ পদযাত্রা।সুব্রত তালুকদার





মেহেন্দিগঞ্জের আদর্শনগর ইউপি সচিবের বিরুদ্ধে অপপ্রচারের প্রতিবাদ
বিসিসি’র চীফ এ্যাসেসর নুরুল ইসলাম ষড়যন্ত্রের শিকার
রুকন ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন ইউকের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত
বরিশাল সোনালী ব্যাংক: দুর্নীতিতে জর্জরিত, গোপালের পথে হাটছেন জিএম মাহমুদুল হক
সাংবাদিকতা নিয়ন্ত্রণ করা কোন সংগঠনের কাজ নয়: বরিশাল অনলাইন সাংবাদিক ইউনিয়ন
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি
বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ রানার চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসী
ওটরা ইউনিয়ন এর জনগণের সুখে-দুঃখে পাশে থাকার অঙ্গীকার আসাদুজ্জামান সুজনের
উজিরপুরে ইয়াবা গডফাদার বাবু মুন্সিকে গ্রেফতার দাবি
গণহত্যার বিচার কার্যকর করতে উজিরপুর বাসী কে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে - আহম্মেদ শাকিল।