
শনিবার, ৭ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » ছাগল নাচে খুটির জোরে বহিষ্কৃত দুলাল নাচে মামুন ও জাকির গংদের জোরে
ছাগল নাচে খুটির জোরে বহিষ্কৃত দুলাল নাচে মামুন ও জাকির গংদের জোরে
পিরোজপুর প্রতিনিধিঃ
পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র আহবায়ক রুহুল আমিন দুলাল-কে দলীয় শৃঙ্খলা ও নীতি আদর্শ ভঙ্গ’র কারণে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রাথমিক সদস্য পদ সহ সকল পর্যায়ের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। ১২ই সেপ্টেম্বর-২৪ইং তারিখে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়,৫ ই আগস্ট-০২৪ইং তারিখের পর মঠবাড়িয়া উপজেলার মানুষকে হুমকি প্রদর্শন এবং নীতি ও আদর্শ পরিপন্থী কর্মকান্ডে লিপ্ত থেকে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি’র আহ্বায়ক রুহুল আমিন দুলালকে বহিষ্কার করা হয়।জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কমিটি কর্তৃক মঠবাড়িয়া উপজেলা শাখার আহবায়ক পথ থেকে রুহুল আমিন দুলাল বহিষ্কারের পর গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জাকির ও ফল ব্যবসায়ী মামুন এর অর্থনৈতিক পৃষ্ঠপোষকতায় বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য বিএনপি’র কেন্দ্রীয় নেতা ও বরিশাল বিভাগ সাংগঠনিক দায়িত্বে থাকা নেতাদের সাথে যোগাযোগের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন বলে দুলাল’র ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়।দীর্ঘ অনুসন্ধানে জানা যায় মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহবায়ক পদ থেকে বহিষ্কৃত রুহুল আমিন দুলাল তার অতিত সাম্রাজ্য ফিরে পেতে মঠবাড়িয়া উপজেলার জাকির ওরফে গার্মেন্টস জাকির ও সৌদি আরবে ফল ব্যবসায়ী মামুন ওরফে ফল মামুন’র সাথে হাত মিলিয়ে এলাকায় বিএনপির মধ্যে বিভাজন তৈরি করছেন বলে মঠবাড়িয়া পৌরসভার স্থানীয় বিএনপি যুবদল ছাত্রদল শ্রমিকদল স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতা কর্মীরা প্রতিবেদক কে জানান। মঠবাড়িয়া পৌরসভার বিএনপির প্রবীণ সমর্থক গোলাম কুদ্দুস,গোফরান জমাদার,কামাল মৃধা,শাহিন লস্কর,আলী আজগর সহ বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা এই প্রতিবেদককে বলেন দীর্ঘ ১৭ বছর আওয়ামী লীগ সরকারের নজিরবিহীন অত্যাচার নির্যাতন জেল জুলুম সহ্য করার পরেও কখনো জিয়াউর রহমানের আদর্শের বাইরে গিয়ে আপোষ করিনি।কিন্তু দুঃখের বিষয় মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির বহিষ্কৃত রুহুল আমিন দুলাল ৫ ই আগস্ট এর পর দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করার কারণে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে বহিষ্কার হয়েছেন। বহিষ্কার হওয়ার পর দুলাল আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেন আর তার এই বেপরোয়া হওয়ার পিছনের মূল চালিকাশক্তি অর্থনৈতিকভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দানকারী গার্মেন্ট ব্যবসায়ী জাকির সৌদি আরবের ফল ব্যবসায়ী ফল মামুন ও পিরোজপুর জেলার দানব খ্যাত আওয়ামী লীগ সরকারের দুর্নীতিবাজ খুনি বর্তমানে পলাতক মহারাজ,মিরাজ ও সাবেক মঠবাড়িয়া উপজেলার চেয়ারম্যান বায়েজিদ অন্যতম।অন্যদিকে বহিষ্কৃত রুহুল আমিন দুলালের সমর্থকদের দাবি অচিরেই তাদের নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হবে। দুলাল সমর্থকদের কাছে প্রতিবেদক প্রশ্ন রাখেন,যেখানে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি রুহুল আমিন দুলালকে বহিষ্কার করেছে দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ সহ দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী বিভিন্ন অনৈতিক কর্মকাণ্ডের জন্য,এমনকি বহিষ্কার হবার পরেও তিনি তার অনৈতিক কর্মকান্ড থেকে বিন্দুমাত্র বিরত ছিলেন না সেখানে কিভাবে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি পুনরায় আপনাদের নেতা দুলালের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করবে? প্রতিবেদকের এমন প্রশ্নের দুলাল সমর্থকরা জোর গলায় বলেন আমাদের নেতার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের জন্য গার্মেন্ট ব্যবসায়ী জাকির ভাই ফল ব্যবসায়ী মামুন ভাই কেন্দ্রীয়ভাবে তদবির করছেন,বর্তমানে আমাদের নেতা রুহুল আমিন দুলাল ভাইয়ের অর্থনৈতিক প্রভাব বলেন আর রাজনৈতিক প্রভাব বলেন কোন কিছুর সমস্যা নেই।রুহুল আমিন দুলাল সমর্থকরা আরো বলেন আমাদের নেতা ছাড়া মঠবাড়ীয়া আসনে অন্য কেউ মনোনয়ন পাবেন না বিএনপি থেকে কারণ এই দেশে টাকা থাকলে সবই সম্ভব,সবচেয়ে বড় কথা ঢাকার গার্মেন্টস ব্যবসায়ী জাকির ভাই ও ফল ব্যবসায়ী মামুন ভাই মিলে অর্থনৈতিক সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছেন এবং আন্ডারগ্রাউন্ডে মিরাজ মহারাজ ও বায়েজিদ রয়েছে তাহলে আমাদের নেতা রুহুল আমিন দুলাল ভাই এর বহিস্কার আদেশ প্রত্যাহার করে দলে ফিরিয়ে নিতে বাধ্য হবে কেন্দ্রীয় বিএনপি।দুলাল সমর্থকদের কাছে প্রতিবেদক আবারো প্রশ্ন করেন মহা দুর্নীতিবাজ পলাতক মহারাজ,মিরাজ ও বায়েজিদ এর সাথে আপনাদের নেতা দুলাল এর কি এখনো যোগাযোগ হয়? এমন প্রশ্নের উত্তরে দুলাল সমর্থকরা প্রতিবেদককে বলেন যোগাযোগ হলেও আপনার কি না হলেও আপনার কি? এত প্রশ্ন করছেন কেন আপনি কি সাংবাদিক নাকি? আপনি সাংবাদিক হলেও আমাদের কিছুই করার নেই কারণ মহারাজ মিরাজ ও পরবর্তীতে বায়েজিদের টাকা কি শুধু আমাদের নেতা রুহুল আমিন দুলাল ভাইয়ে খেয়েছে অন্য কেউ খাইনি?
জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটি মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরেও থেমে নেই বহিষ্কৃত রুহুল আমিন দুলালের মানুষকে হুমকি ধামকি দিয়ে চাঁদা আদায় সহ বিভিন্ন অপকর্মের কার্যক্রম।মঠবাড়িয়া উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন ঘুরে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদল,সেচ্ছাসেবক দল,শ্রমিকদল,মৎস্যজীবী দল,মহিলা দল এর উপজেলা পৌরসভা ও বিভিন্ন ইউনিয়নের স্থানীয় নেতাকর্মীদের সাথে কথা বলে জানা যায়।শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শে গড়া সংগঠন জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র প্রকৃত নেতাকর্মীরা চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান দিকনির্দেশনার বাইরে গিয়ে দলীয় শৃঙ্খলা ও আদর্শ পরিবহন্থী এমন কোন কাজ কখনো করেনি আগামীতে ও করবে না ইনশাআল্লাহ। কিন্তু মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি’র বহিষ্কৃত সাবেক আহবায়ক রুহুল আমিন দুলাল ৫ ই আগস্ট ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর তার নিজস্ব ক্যাডার বাহিনী দিয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলায় এগারোটা ইউনিয়ন ও পৌরসভার সাধারণ মানুষদের হুমকি ধামকি ও ভয়-ভীতি ও মিথ্যে মামলা বাণিজ্যের মাধ্যমে কাড়ী কাড়ী টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন,কিন্তু দুঃখের বিষয় জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি থেকে বহিষ্কার হওয়ার পরে ও বন্ধ হয়নি তার অতিত অন্যায় অপকর্ম।বহিষ্কৃত রুহুল আমিন দুলাল’র এই সকল অপকর্মের কারণে মঠবাড়িয়া উপজেলার সাধারণ ভোটারদের কাছে বিএনপি তথা সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।মঠবাড়িয়া পৌরসভার বিএনপি,যুবদল ও সেচ্ছাসেবেক দলের দীর্ঘ ষোল সতেরো বছর ধরে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের মামলা হামলায় নির্যাতনে নির্যাতিত বেশ কয়েক জন নেতাকর্মী নাম প্রকাশ না করা শর্তে এই প্রতিবেদককে জানান বিএনপি থেকে বহিস্কৃত রুহুল আমিন দুলাল জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি জন্য বিষফোঁড়া।তারা আরও বলেন বিএনপি থেকে বহিস্কৃত রুহুল আমিন দুলাল প্রকাশ্যে বলেন বেড়ান জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি যদি আমার বহিস্কার প্রত্যাহার না করে তার পরেও আমি মঠবাড়িয়া আসন থেকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র সংসদ নির্বাচন করব,সংসদ নির্বাচনে জয় লাভ করতে না পারলেও বিএনপি’র প্রার্থী/ধানের শীষ প্রতিক পরাজিত করতে পারবো।বহিষ্কৃত দুলালের প্রকাশ্য এমন মন্তব্যের কারণে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির মঠবাড়িয়া উপজেলা সকল অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের প্রশ্ন ছাগল নাচে খুঁটির জোরে বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত দুলাল নাচে কিসের জোরে? টিকিকাটা ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডের বিএনপি’র সমর্থক আবুল কাশেম নামে এক মুরুব্বি বলেন ৫ ই আগস্টের পর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতনের পর রুহুল আমিন দুলালের অত্যাচার মঠবাড়িয়া উপজেলার কোথাও কোন সামাজিক অনুষ্ঠান করা যায় না।সামাজিক অনুষ্ঠান করতে হলে দুলালকে প্রধান অতিথি রাখতে হবে এটা তার নির্দেশ।যেই সকল সামাজিক অনুষ্ঠানে দুলালকে প্রধান অতিথি করা না হবে সেই সকাল অনুষ্ঠান আয়োজকদের তিনি বিভিন্নভাবে হয়রানি করে আসছেন।তাই আমারা যারা দীর্ঘ বছর ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকার পতনের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে তাদেরকে বিভিন্নভাবে সাহায্য সহযোগিতা করেছি এমনকি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান কে ভালোবাসে প্রত্যেক নির্বাচনে বিএনপিকে ভোট দিয়ে আসছি,আমরা চাই বিএনপি’র নীতি নির্ধারক ফোরাম মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত রুহুল আমিন দুলালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মঠবাড়িয়া উপজেলা বিএনপির সুসংগঠিত করবে ইনশাআল্লাহ।
বিশেষ দ্রষ্টব্যঃ
মঠবাড়িয়া উপজেলা
বিএনপি থেকে বহিষ্কৃত রুহুল আমিন দুলাল সাধারণ মানুষদের হুমকি ধামকি মামলা বাণিজ্য সহ বিভিন্ন অপকর্মের অনুসন্ধান চলমান,,,,,,