শিরোনাম:
ঢাকা, শুক্রবার, ৩ মে ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১

Daily Pokkhokal
সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দিনাজপুরে ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৪০টি বই বরাদ্দ
প্রথম পাতা » জেলার খবর » দিনাজপুরে ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৪০টি বই বরাদ্দ
৩৮২ বার পঠিত
সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০১৪
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

দিনাজপুরে ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৪০টি বই বরাদ্দ

             ---দিনাজপুর প্রতিবেদক দিনাজপুরে নতুন বছরের শুরুতে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণির কোমলমতি শিক্ষার্থীরা নতুন বই হাতে হাতে পাচ্ছে। ১ জানুয়ারি বিনামূল্যের এসব বই জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ভোকেশনাল, মাদরাসার ইবতেদায়ী ও দাখিল শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
গত সাত বছর ধরে প্রতিবারই ১ জানুয়ারি নতুন বই শিশুদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। দিনটি বই উৎসব হিসেবে উদযাপন করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে প্রায় ৯ লাখ শিক্ষার্থীর মাঝে বিতরণের জন্য ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৪০টি বই জেলার ১৩ উপজেলার সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয় ও মাদরাসায় প্রেরন করা হয়েছে। জেলায় এবারে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ে প্রায় ৯ লাখ শিক্ষার্থী রয়েছে। এর মধ্যে প্রাথমিকে শিক্ষার্থী সংখ্যা ৪ লাখ ২৯ হাজার ৯শ’। আর মাধ্যমিকে শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ৫ লাখ।
দিনাজপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ এনায়েত হোসেন জানান, জেলায় ৬৮৮টি বিদ্যালয়, মহাবিদ্যালয় সংলগ্ন উচ্চ বিদ্যালয় ১১৫টি ও ৩০৫টি মাদ্রাসা রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শ্রেণির জন্য ৩১ লাখ ৯৪ হাজার ৮৩১টি বই, এসএসসি ভোকেশনাল ৭৮ হাজার ৭৩১টি, ইবতেদায়ী মাদ্র্রাসায় ৩ লাখ ১৫ হাজার ৪৯৩টি এবং দাখিল মাদ্রাসায় ৬ লাখ ৩৩ হাজার ৫৩০টি ও দাখিল ভোকেশনালের ৪ হাজার ১৭০টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে।
চাহিদা অনুযায়ী ইতিমধ্যে মাধ্যমিকের ৯৪ ভাগ অর্থাৎ ৩০ লাখ ১৭ হাজার ৬৪৩টি বই, এসএসসি ভোকেশনালের ৬৭ ভাগ ৫৩ হাজার ১৬৬টি বই, দাখিলের ৭৩ ভাগ ৪ লাখ ৬৭ হাজার ১৫০টি বই ও দাখিল ভোকেশনাল ও ইবতেদায়ীর শতভাগ বই জেলায় এসে পৌঁছেছে। প্রাপ্ত এসব বই ইতিমধ্যেই বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে পৌঁছে দেয়া হয়েছে। আগামী ১ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে এসব বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। আর যেসব বই এখনো আসতে বাকী রয়েছে সেগুলো আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই এসে পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার এনায়েত হোসেন।
দিনাজপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মোঃ ইসলাম জানান, তার বিদ্যালয়ে ইতোমধ্যে শতভাগ বই পৌঁছে গেছে। এসব বই ১ জানুয়ারী বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। দিনাজপুর মিউনিসিপ্যাল উচ্চ বিদ্যালয়ের (বাংলা স্কুল) প্রধান শিক্ষক সমসের আলী ও সদর উপজেলার করিমুল্যাপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সামিনুর ইসলাম জানান, তাদের বিদ্যালয়েও শতভাগ বই পৌঁছে গেছে এবং ১ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে এসব বই শিক্ষার্থীদের মাঝে বিতরণ করা হবে।
এদিকে দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ একরামুল হক জানান, জেলায় মোট বিদ্যালয় সংখ্যা ২৬৬৬টি। এর মধ্যে ৮৬৯টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, নতুন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় ৯৪৩টি, কমিউনিটি বিদ্যালয় ১৮টি, পরিবীক্ষন বিদ্যালয় ১টি, এনজিও বিদ্যালয় ১০টি, কেজি স্কুল ৩৩৯টি, উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রাথমিক বিদ্যালয় ২৫টি, রক্স বিদ্যালয় ১৩৬টি, আনরেজিষ্ট্রি বিদ্যালয় ৬৪টি ও অন্যান্য ৫১টি বিদ্যালয় রয়েছে।
এসব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ২২ লাখ ০১ হাজার ৬৮৫টি বইয়ের চাহিদা রয়েছে। চাহিদা অনুযায়ী ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রায় ৮০ ভাগ বই অর্থাৎ ১৭ লাখ ৪১ হাজার ২০৭টি বই পাওয়া গেছে। প্রাপ্ত এসব বই ইতোমধ্যে জেলার সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়গুলোতে প্রেরণ করা হয়েছে। নতুন বছরের শুরুতে ১ জানুয়ারী আনুষ্ঠানিকভাবে শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেয়া হবে। বাংলা, ইংরেজী, গণিত, সমাজ, বিজ্ঞান, ইসলাম ধর্ম শিক্ষা, হিন্দু ধর্ম, খৃষ্টান ধর্ম, বৌদ্ধ ধর্ম শিক্ষাসহ প্রাথমিকের ৯টি বিষয়ের বই শিক্ষার্থীদের হাতে তুলে দেয়া হবে। আর যেসব বই এখনো আসতে বাকী আছে সেগুলো আগামী ২/১ দিনের মধ্যেই এসে পৌঁছে যাবে।
দিনাজপুর জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস জানায়, বর্তমান সরকার আধুনিক শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলতে জাতীয় শিক্ষানীতির আলোকেই নতুন বছরের শুরুতে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের হাতে বিনামূল্যে বই তুলে দিয়ে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু করার পরিকল্পনা গ্রহন করে। ১ জানুয়ারী জেলার তৃণমূল পর্যায়ে প্রাথমিক, মাধ্যমিক, ভোকেশনাল, এবং মাদ্রাসার ইবতেদায়ী, দাখিল ও দাখিল ভোকেশনাল শ্রেণির প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়ার জন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে বই পৌঁছে দেয়া হয়েছে।
নতুন বছরের প্রথম সপ্তাহেই সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই তুলে দেয়ার নির্দেশনা রয়েছে। আগামী বছর শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে গমন হার শতভাগ পূরণ করা হবে। প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত প্রাথমিক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক, ভোকেশনাল, ইবতেদায়ী ও দাখিল মাদ্রাসার প্রায় ৯ লাখ শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুযায়ী জেলায় সর্বমোট ৬৪ লাখ ২৮ হাজার ৪৪০টি বই বিতরণের জন্য সংশ্লিষ্ট শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে প্রেরন করা হয়েছে।
শহরের পুলহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান মোঃ জাকির হোসেন ও হরিপরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ এখতিয়ার হোসেন জানান, আমরা এরই মধ্যে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস থেকে সব শ্রেণির বই পেয়েছি। আগামী ১ জানুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে সব শ্রেণির শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে। পুলহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান মোঃ জাকির হোসেন জানান, আমার বিদ্যালয়ে বই উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দেয়া হবে। বই উৎসবে জেলা প্রশাসক আহমদ শামিম আল রাজী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বলে জানান তিনি।



এ পাতার আরও খবর

নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগের নেতাকে কুপিয়ে হত্যা
জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানা হাজতে আসামির মৃত্যু জামালপুরের সরিষাবাড়ী থানা হাজতে আসামির মৃত্যু
মায়ের কবরের পাশে সমাহিত হলেন সিরাজুল আলম খান মায়ের কবরের পাশে সমাহিত হলেন সিরাজুল আলম খান
সিএমএসডি) কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পিয়ন সোহেল কোটি কোটি টাকা  ও পাঁচ তলা নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক। সিএমএসডি) কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের পিয়ন সোহেল কোটি কোটি টাকা ও পাঁচ তলা নির্মাণাধীন বাড়ির মালিক।
দ্রব্যমূল্যে আগুন জনগন বেসামাল দ্রব্যমূল্যে আগুন জনগন বেসামাল
কুমিল্লা দাউদকান্দিতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত কুমিল্লা দাউদকান্দিতে ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ জাতীয় দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদান   দেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ আলি প্রাথমিক শিক্ষায় বিশেষ অবদান দেশের শ্রেষ্ঠ উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ আলি
সেনাবাহিনীর অর্থায়নে পানছড়িতে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ সেনাবাহিনীর অর্থায়নে পানছড়িতে শিক্ষা সামগ্রী বিতরণ
ভিক্ষুকের কোলে ৬ মাসের ছেলেকে রেখে পালিয়েছে নিষ্ঠুর মা! ভিক্ষুকের কোলে ৬ মাসের ছেলেকে রেখে পালিয়েছে নিষ্ঠুর মা!
লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে দুই মাস  মাছ ধরা নিষেধ লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে দুই মাস মাছ ধরা নিষেধ

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)