
শুক্রবার, ২৭ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » খুলনার আড়ংঘাটা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভ
খুলনার আড়ংঘাটা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভ
খুলনার আড়ংঘাটা প্রেসক্লাবে সন্ত্রাসী হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে সাংবাদিক সমাজে ক্ষোভ
খুলনা প্রতিনিধিঃ
খুলনা মহানগরীর আড়ংঘাটা থানাধীন শলুয়া স্লুইচগেটের পাশেই অবস্থিত আড়ংঘাটা প্রেসক্লাবে গত মঙ্গলবার (২৪ জুন) ভোররাতে সন্ত্রাসীদের হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাটের ঘটনায় সাংবাদিক সমাজে তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। আড়ংঘাটা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এমদাদুল ইসলাম বলেন, শলুয়া এলাকার সন্ত্রাসী সুজন সরকার (৩০), রসুল ফকির (৪৫), ওসমান মোল্লা (২৫), সেলিম মোড়ল (৩০), দিপু সরকার (৩৮) ও সবুজ শেখ (২৭)-সহ তাদের সহযোগীরা আমাকে সন্দেহ করে এ হামলা চালিয়েছে। তারা ভাবেন, আমি প্রশাসনকে খবর দিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করতে সহয়তা করি এবং তাদের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করি। এই শত্রুতাবশত তারা অফিসের সব কিছু তছনছ করেছে, ৯ বছরের গুরুত্বপূর্ণ সব ডকুমেন্ট পুড়িয়ে ফেলেছে, আসবাবপত্র, কম্পিউটার, জানালা-দরজা পর্যন্ত ভেঙেছে। এঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন তিনি । তিনি আরও বলেন, সুজন সরকার শুধু সাংবাদিকদের উপরই নয়, সমগ্র এলাকায় এক আতঙ্কের নাম। সে শলুয়ার কুখ্যাত সন্ত্রাসী এবং আরিফ হত্যার প্রধান আসামি। হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত অস্ত্রও প্রশাসন তার কাছ থেকে উদ্ধার করেছে। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি মামলা রয়েছে এবং সে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, ভূমি দখল, সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে অর্থ আদায়সহ নানা অপকর্মে সে জড়িত। তার অপতৎপরতায় শলুয়ার বাসিন্দারা কার্যত জিম্মি হয়ে আছেন।
এ ঘটনায় স্থানীয় ও ঢাকা প্রেস ক্লাব সহ সাংবাদিকরা গভীর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এবং এ ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এ বিষয়ে আড়ংঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ তুহিনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এটি একটি খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আমরা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখছি এবং যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। সাংবাদিক সমাজ আশা করছে, অতি দ্রুত সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সাংবাদিক সমাজের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ভূমিকা রাখতে হবে। অপরদিকে এই ঘটনা তীব্র নিন্দা প্রতিবাদ ও অপরাধীদের দূরত্ব গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন ঢাকা প্রেসক্লাবের আলহাজ্ব মোঃ তৈয়বুর রহমান (চেয়ারম্যান,হৃদয় গ্রুপ),বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান (আফিল বিভাগ),মোঃ সাইদুর রহমান রিমন (প্রকাশক ও সম্পাদক দৈনিক দেশ বাংলা),বহুভাষাবিদ প্রফেসার মোঃ মাসুদ এ খান (চেয়ারম্যান বেটার বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন), কাজী হায়াৎ (সভাপতি চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতি), মনোয়ার হোসেন ডিপজল (সিনিয়র সহ-সভাপতি চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি) , এস এম মোরশেদ (চেয়ারম্যান,ফেডারেশন অব বাংলাদেশ জার্নালিস্ট অর্গানাইজেশন),সভাপতি আওরঙ্গজেব কামাল, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন সহ সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, প্রেসক্লাব ফেডারেশনের যুগ্ম আহবায়ক ও দৈনিক মানবাধিকার প্রতিদিনের প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ আবুল হাসান, দৈনিক ফলাফল পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ মোস্তাাফিজুর রহমান,দৈনিক আমার বার্তা প্রতিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন,দৈনিক কালের চিত্রের সম্পাদক এফ আই ফারুক, দৈনিক মাতৃছায়ার প্রকাশক ও সম্পাদক খান মোতালেব হোসেন , দৈনিক দেশ সংবাদের প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ : শাহিন আল মামুন, দৈনিক বাংলার দূত পত্রিকা সম্পাদক মুন্সি জামিল উদ্দিন বাবু, সাপ্তাহিক অপরাধ চিত্রের প্রকাশক ও সম্পাদক ফজলুল হক, দৈনিক অবদানের প্রকাশক ও সম্পাদক এসএম হানিফ আলী, মাহফুজুর রহমান, দৈনিক বাংলার ডাক পত্রিকার প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ মনোয়ার হোসেন, দৈনিক পতিজ্ঞার প্রকাশক ও সম্পাদক নুরুন্নাহার সীমা, দৈনিক বর্তমান খবরের প্রকাশক ও সম্পাদক মোঃ হুমায়ুন কবির,দৈনিক নতুন বাজারের সম্পাদক এ মান্নান, দৈনিক নীল সীমান্ত পত্রিকার নির্বাহী সম্পাদক মোঃ হাসান হাবীব তালুকদার , দৈনিক মাতৃভূমি খবরের নির্বাহী সম্পাদক মেজবাউল আলম মোহন ,বাংলাদেশ ন্যাশনাল নিউজ ক্লাবের চেয়ারম্যান ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হোসেন ভূঁইয়া, মিয়াজী সেলিম আহমেদ , আব্দুল্লাহ আল মামুন,আবু ইউসুফ, মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ কুতুব উদ্দিন, শাহিন আলম আশিক, আবুল হাসান বেল্লাল,বাংলাদেশ সেন্ট্রাল প্রেসক্লাবের সভাপতি খান সেলিম রহমান, দক্ষিণ অঞ্চল সাংবাদিক ইউনিয়নের আঞ্চলিক সাধারণ সম্পাদক কে এম মোহাম্মদ হোসেন রিজভী, এ কিউ বুলবুল, মো: মুকুল খসরু , জুয়েল খন্দকার , শারমিন সুলতানা মিতু , মেহেদী হাসান সবুজ , শাহনাজ আলম রোমানা , আলহাজ্ব শাহাজান আলম, মাহবুবুর রহমান প্রমুখ। এ সময় নেতৃবৃন্দরা বলেন প্রেস ক্লাব কারো ব্যক্তিগত বা কোন রাজনৈতিক দলীয় সম্পত্তি নয়। তাহলে প্রেসক্লাব কেন ভাঙচুর বা লুটপাট এবং অগ্নিসংযোগ করবে। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদেরকে অতি দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে।