গল্পটির নায়িকা তন্বী
পক্ষকাল প্রতিবেদক: গল্পটি শুধুই উপস্থাপনার। আর গল্পের নায়িকা নিজেই একজন উপস্থাপিকা। যার সুন্দর বাচনভঙ্গি আর স্নিগ্ধ উপস্থাপনা মিলেমিশে একাকার করে দর্শক হৃদয়। আর সেই সঙ্গে যদি মিষ্টি একটি হাসিমাখা মুখশ্রী যুক্ত হয়, ঠিক তখন টিভি পর্দার সামনে বসে থাকতে কার না ভালো লাগে?
পরন্ত বেলায় ব্যস্ত মানুষগুলো যখন ঘরমুখো ঠিক তখন গৃহিণীরা সারাদিনের কর্মক্লান্তির পর একটু অবসর খুঁজে পায়। আর তখুনই গাজী টেলিভিশনের পর্দায় দিনের শেষে যে আয়োজনটি শুরু হয় তার নাম ‘এই সন্ধ্যায়’। তন্বী’র পথ চলা শুরু এই অনুষ্ঠানটি দিয়েই।
পুরো নাম সানজিদা জাহান তন্বী। বর্তমানে একটি বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ-তে লেখাপড়া করছেন। তিন বোনের মধ্যে তিনি দ্বিতীয়। মা ও বাকী দু’বোন আর কিছু প্রিয় মানুষকে ঘিরেই হচ্ছে তন্বীর দুনিয়া। তবে বাবার অভাব ঠিকই অনুভব করেন।
মিডিয়াতে কাজ করার ইচ্ছে ছিল অনেক দিনের। কিন্তু বিভিন্ন পারিপার্শ্বিক কারণেই তা এতোদিন হয়ে ওঠেনি। এক্ষেত্রে কাজের পরিবেশটাই তাঁর কাছে বড় একটি ব্যাপার ছিল। অবশেষে সব কিছু মিলিয়ে ‘এই সন্ধ্যায়’ দিয়েই তাঁর যাত্রা শুরু।
কিভাবে বা কেন এলেন উপস্থাপনায় জানতে চাইলে তন্বী তাঁর মুখে স্বভাবসুলভ হাসি টেনে বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই খুব ইচ্ছে ছিল, আর আমার মা যখন টিভিতে উপস্থাপিকাদের দেখতেন তখন বলতেন আহারে আমার মেয়েটা যদি এরকম সুন্দর করে কথা বলতে পারতো, আসলে ইচ্ছের বীজ বুনা শুরু ওখান থেকেই। এরপর শুদ্ধ উচ্চারণ আর বাচনভঙ্গির জন্য যথেষ্ঠ অনুশীলন করি। সর্বোপরি নিজের একান্ত ভালোলাগা থেকেই উপস্থাপনা শুরু করলাম।’
লেখাপড়ায় ব্যাঘাত ঘটে কিনা জানতে চাইলে তন্বী বলেন, ‘আমি মনে করি লেখাপড়ার পাশাপাশি যে কেউ চাইলেই সেটা ঠিক রেখেই যেকোন কাজ করতেই পারে, এতে করে তার ভবিষ্যৎ জীবন আলোকিত হওয়ার সম্ভাবনাই বেশী।’
আমরাও আশা করবো তন্বী তার লেখাপড়ার পাশাপাশি ভাল কাজগুলো দিয়েই সামনের দিনগুলোকে অনেক বেশী আলোকিত করবে।