
শনিবার, ২৩ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর | রাজনীতি » কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নতুন নেতৃত্বে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হচ্ছে
কক্সবাজারে রোহিঙ্গা শরণার্থীরা নতুন নেতৃত্বে রাজনৈতিকভাবে সংগঠিত হচ্ছে
২১ আগস্ট ২০২৫ | চন্দন নন্দী | নর্থইস্ট নিউজথেকে নেওয়া
বাংলাদেশের কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গা শরণার্থীরা সম্প্রতি একটি নতুন যৌথ ফ্রন্ট গঠন করেছে-রোহিঙ্গা কমিটি ফর পিস অ্যান্ড রেপাট্রিয়েশন (RCPR)। এই কমিটির লক্ষ্য হচ্ছে শান্তিপূর্ণ প্রত্যাবাসন আন্দোলনকে সংগঠিত করা এবং শরণার্থী ক্যাম্পগুলোতে নেতৃত্ব নির্বাচন করা।
নতুন নেতৃত্ব ও নির্বাচন পরিকল্পনা
RCPR-এর নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য শিগগিরই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। প্রথম ধাপে কক্সবাজারের ৩৩টি ক্যাম্প থেকে প্রতিনিধি নির্বাচন করা হবে, যারা পরবর্তীতে কমিটির সভাপতি নির্বাচন করবেন। এই নির্বাচন প্রক্রিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর গোয়েন্দা সংস্থা DGFI-এর তত্ত্বাবধানে পরিচালিত হবে।
আন্তর্জাতিক সংযোগ ও সমর্থন
এই নতুন ফ্রন্টটি ARSA এবং RSO-এর সহযোগিতা পাচ্ছে বলে জানা গেছে। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক কয়েকজন রোহিঙ্গা নেতা-যেমন উ শ্বে মাউং (আব্দুল রাজ্জাক) এবং তুন খিন-এই উদ্যোগের নেতৃত্বে রয়েছেন। উ শ্বে মাউং পূর্বে বুথিডং থেকে সংসদ সদস্য ছিলেন এবং বর্তমানে তিনি Arakan Institute for Peace and Human Rights (AiPAH)-এর সভাপতি।
মাঠে সংঘর্ষ ও নিরাপত্তা উদ্বেগ
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের মংডু অঞ্চলে রোহিঙ্গা ইসলামী মহাজ (RIM) এবং আরাকান আর্মি-র মধ্যে ২০ আগস্ট ভয়াবহ বন্দুকযুদ্ধের খবর পাওয়া গেছে। আরাকান আর্মি কিছু অস্ত্র ও UNICEF-লোগোযুক্ত ব্যাগ উদ্ধার করেছে। এছাড়া ARSA ও RSO-এর সঙ্গে DGFI-এর গোপন সমন্বয়ের অভিযোগও উঠেছে।
আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও ব্যর্থ উদ্যোগ
আগামী মাসে জাতিসংঘে একটি বৈঠকে অংশ নিতে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান নিউইয়র্ক যাচ্ছেন। সেখানে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা হবে। এর আগে মার্চ মাসে জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস কক্সবাজার সফরকালে একটি “মানবিক করিডোর” গঠনের প্রস্তাব দেন, যা বাস্তবায়িত হয়নি। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী এই করিডোরের বিরোধিতা করে দেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্ন তোলে।
R2P ও আন্তর্জাতিক চাপ
খলিলুর রহমান নিউইয়র্কে ‘R2P’ (Right to Protection) বিষয়েও আলোচনা করবেন, যা গত চার বছর ধরে মার্কিন থিঙ্ক ট্যাংক ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোর আলোচনায় রয়েছে। মার্চে ঢাকায় অনুষ্ঠিত একটি সম্মেলনে গাম্বিয়ার প্রতিনিধি রোহিঙ্গা সংকট নিয়ে একটি “জোরালো” উপস্থাপনাও দেন।