
শুক্রবার, ২৫ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি | রাজনীতি | সম্পাদক বলছি » সম্পাদকীয়: বিদেশি অপারেটর-দক্ষতার পিছনে কোন স্বার্থ লুকানো?
সম্পাদকীয়: বিদেশি অপারেটর-দক্ষতার পিছনে কোন স্বার্থ লুকানো?
নিউ মুরিং কন্টেইনার টার্মিনালে বিদেশি অপারেটর নিয়োগের ঘোষণা করা হয়েছে দক্ষতা বাড়ানোর আশ্বাস দিয়ে। অথচ ‘নিয়ন্ত্রণ হাতে থাকবে’- এই কথাটিও সরকারের মন্ত্রপটচাঁদের নিয়মিত প্রতিশ্রুতি হয়ে দাঁড়িয়েছে। দক্ষতার আড়ালে জাতীয় স্বার্থ ও কর্মসংস্থানের নিরাপত্তা কি অসম্পূর্ণ রাখছেন আমরা?
বন্দর ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা বৃদ্ধি অবশ্যই জরুরি। তবে দক্ষতা কখনোই সার্বভৌমত্বকে কমিয়ে দিতে পারে না। একটি মূল দ্বন্দ্ব here is between global মানের অবকাঠামো ও প্রযুক্তি এবং স্থানীয় নিয়ন্ত্রণ ও বাধ্যবাধকতা: যেখানে আমাদের অফিসার, স্থানীয় শ্রমিক ও ছোট-খাটো সরবরাহকারীদের স্বার্থ পিছিয়ে থাকতে পারে।
সরকারিভাবে চুক্তি প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতার অভাব উদ্বেগ বাড়িয়েছে। দরপত্র, মূল্যায়ন মানদণ্ড, সময়সীমা-all these should be in the public domain. যখন আমরা সংযুক্ত আরব আমিরাতভিত্তিক ডিপি ওয়ার্ল্ডের মতো কর্পোরেট জায়ান্টকে আমন্ত্রণ জানাই, তখন কন্ট্র্যাক্টে প্রযুক্তি হস্তান্তর, স্থানীয় কর্মী প্রশিক্ষণ, পরিবেশগত ও সামাজিক দায়বদ্ধতা নিশ্চিত করা অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।
শ্রমিক সংগঠন ও স্থানীয় চালকদের উদ্বেগ বিবেচনায় নিতে হবে। গত ১৭ বছর ধরে এনসিটি সফলভাবে পরিচালিত করেছে দেশীয় অপারেটর; তাদের অভিজ্ঞতা ঘাটতি নয়। কোনও পরিবর্তন হলেও পুরাতন এবং নতুন অপারেটরের মধ্যে নির্ভরযোগ্য পারস্পরিক দায়িত্ব ও স্বার্থের ভারসাম্য নিশ্চিত করতে হবে। নয়তো চাকরি সংকুচিত হওয়ার আশঙ্কা, আয় কমে যাওয়ার ভয় বাস্তব হতে পারে।
নীতিনির্ধারকদের এখন সময়
প্রক্রিয়ার প্রতিটি ধাপে আলোচনা ও মতামতের সুযোগ উন্মুক্ত করা
চুক্তি চাবিকাঠি ইউপি ডিজক্লোজার করতে বাধ্য করা
প্রযুক্তিগত ট্রান্সফার, নিয়ন্ত্রণ বিধি ও পারফরম্যান্স ক্লজ সুনির্দিষ্টভাবে সংযুক্ত করা
স্থানীয় শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের জন্য সুরক্ষা তহবিল গঠন করে স্থায়ীভাবে আইনি নিশ্চয়তা দেওয়া
বিশ্বমানের বন্দরের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমরা এগুতে চাই, এতে দোষ নেই। তবে আমাদের পথ হতে হবে স্বচ্ছ, দমনমুক্ত এবং সার্বভৌমত্ব রক্ষাকারী। এক্ষেত্রে সরকারের ভূমিকা শুধুমাত্র ‘বড় বিনিয়োগ’ আনার নয়, বরং জাতীয় স্বার্থের রক্ষাকারী হিসেবে দায়িত্ব পালনের।