দেশে কি গৃহযুদ্ধ ধেয়ে আসছে?
এ-প্রশ্নটি ইদানিং বিভিন্ন দিক থেকে উঠে আসছে। প্রথমেই দেখে লই, গৃহযুদ্ধ বলতে আসলে কী বুঝায়। একবক্যে যদি বলি, তাহলে তা হচ্ছে:”ক্ষমতাসীন বা বিরোধী নানান দলের নেতৃত্বের মধ্যে ক্ষমতার লোভের দ্বন্দ্ব ও দম্ভ, দেশে বিচারহীনতার সংস্কৃতি, জনগণের হতাশাগ্রস্ত বিদ্রোহ, দেশে আইন শৃঙ্খলার চরম অবনতি, হত্যা ও রাহাজানিসহ বীভৎস কার্যকলাপের ফলশ্রুতিতে দেশের ভেতর নানান সশস্ত্র গ্রুপের উদ্ভব হওয়ার অর্থ দেশ গৃহযুদ্ধের মধ্যে নিপতিত হচ্ছে!” এটি হলে তা হবে আত্মপরিচয় হারানো এক রাষ্ট্রের নির্মম আত্মবিনাশী সংঘাত! এতে বিদেশী এক বা একাধিক শক্তিশালী রাষ্ট্রের হস্তক্ষেপে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পর্যন্ত হারিয়ে যেতে পারে! এ অবস্থার পরিপ্রেক্ষিতে সম্ভাব্য গৃহযুদ্ধ এড়াতে দেশের রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দকেই কার্যকরি ভূমিকা পালন করতে হবে। তাঁদেরকে মনে রাখতে হবে, দেশে গৃহযুদ্ধ বেঁধে গেলে দেশবাসীর সাথে যে তাঁরাও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারেন! অতএব দেশের ক্ষমতাসীনগোষ্ঠী ও বিরোধী রাজনৈতিক দলসমূহের নেতৃত্বকে একে-অপরের ওপর আস্থা স্থাপন করে, সম্মিলিতভাবে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের লালন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বিধান, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা ও জনগণের আর্থসামাজিক উন্নয়নের স্বার্থে জরুরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করছি।
মতামত কলাম- আহমেদ ফজলুর রহমান