
সোমবার, ২ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | তথ্য-প্রযুক্তি » সমুদ্রতলদেশের খনিজ সম্পদ: আন্তর্জাতিক আগ্রহের একমাত্র কেন্দ্রবিন্দু
সমুদ্রতলদেশের খনিজ সম্পদ: আন্তর্জাতিক আগ্রহের একমাত্র কেন্দ্রবিন্দু
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং সমুদ্রতলদেশের খনিজ সম্পদ ঘিরে আন্তর্জাতিক আগ্রহের প্রেক্ষাপটে একটি বিশ্লেষণমূলক চিত্র ।
শফিকুল ইসলাম কাজল :
বাংলাদেশের সেন্ট মার্টিন দ্বীপ এবং আশেপাশের সমুদ্রতলদেশে বিরল খনিজ সম্পদের উপস্থিতি রয়েছে, যা আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলির দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। গবেষণায় দেখা গেছে, এই অঞ্চলের বালিতে সেরিয়াম (Ce), ল্যান্থানাম (La), থোরিয়াম (Th), জিরকনিয়াম (Zr), এবং নিওডিমিয়াম (Nd) এর মতো মূল্যবান খনিজ রয়েছে। এই খনিজগুলি প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা শিল্পে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভূরাজনীতি ও কূটনৈতিক সমঝোতা
বাংলাদেশের পুর্ববর্তি সরকার বিভিন্ন দেশের সাথে প্রসঙ্গত আলোচনা করেছিলেন কিনা সেই বিতর্কটি দেশের জনগণের অজানায় রয়ে গিয়েছে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সাম্প্রতিক সময়ে জাপান, চীন, যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, এবং ফ্রান্সসহ বিভিন্ন দেশের সঙ্গে কৌশলগত আলোচনা করেছেন কিনা তাই প্রকাশ্যে আসেনি । আমাদেরকে অবশ্যই আগামী দিনে যেই সরকারি আসুক এই আলোচনা গুলির মাধ্যমে বাংলাদেশ তার কৌশলগত স্বার্থ রক্ষা এবং আন্তর্জাতিক সমর্থন নিশ্চিত করার চেষ্টা করা খুব জরুরি।
তবে, ইতিমধ্যে দেশের সার্বভৌমত্ব বন্দর করি ডন্নি বন্দর করিডোর নিয়ে সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান এবং ড. ইউনুসের মধ্যে নীতিগত পার্থক্য প্রকাশ পেয়েছে, যা দেশের অভ্যন্তরীণ নীতিতে প্রভাব ফেলছে ।
করিডোর ও বন্দর: গোপন সমঝোতা?
বাংলাদেশের করিডোর ও বন্দর সংক্রান্ত বিষয়ে কিছু গোপন সমঝোতার ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। বিশেষ করে, চট্টগ্রাম বন্দর এবং করিডোর ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন এসেছে, যা পূর্বের সরকারের সঙ্গে ভারতের চুক্তির পুনর্মূল্যায়নের ফল হতে পারে ।
রাজনৈতিক দলগুলির ভূমিকা ও জনমতের প্রতিফলন
বিএনপি ও জামায়াতসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলি বর্তমান ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে স্পষ্ট অবস্থান গ্রহণ করেনি। তাদের নীরবতা এবং গোপন সমঝোতার সম্ভাবনা জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
বাংলাদেশের সমুদ্রতলদেশের খনিজ সম্পদ এবং ভূরাজনৈতিক অবস্থান আন্তর্জাতিক পরাশক্তিগুলির আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে। আগামী দিনের নির্বাচিত সরকারের উচিত স্বচ্ছতা বজায় রেখে জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করা এবং জনগণকে সম্পৃক্ত করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা।
কর্তৃত্ব বাদি ফ্যাসিবাদী শাসনের অবসানের পর দেশের জনগণের এখন সবকিছু জানার এবং যারা দায়িত্ব আছে প্রকাশ্যে জনমত গ্রহণ করতে হবে ।
তাই অতি দ্রুতই একটি নির্বাচিত সরকার বাংলাদেশী খুবই জরুরী।
চলবে