
শুক্রবার, ৩০ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » » ডা:ওহিদা মুসলিম ধর্ম ত্যাগ না করেইবিয়ে করলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের অপুর্ব রায়কে বিয়ে করলেম
ডা:ওহিদা মুসলিম ধর্ম ত্যাগ না করেইবিয়ে করলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের অপুর্ব রায়কে বিয়ে করলেম
বরিশাল শেবাচিমের ডাঃ ওহিদা মুসলিম ধর্ম ত্যাগ না করেই বিয়ে করলেন হিন্দু সম্প্রদায়ের অপুর্ব রায়কে : ডাঃ ওহিদা সুলতানার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার অভিযোগ………….
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (বরিশাল) এর ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. ওহিদা সুলতানার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার অভিযোগ উঠেছে। এছাড়া তিনি মুসলিম হলেও ইসলাম ধর্ম ত্যাগ না করে হিন্দু সম্প্রদায়ের অপুর্ব রায়কে বিয়ে করেছেন সম্প্রতি।বিয়ের সত্যতা স্বিকার করে অপুর্ব রায় বলেন আমরা পুরাব পরিচিত। পাচঁ মাস আগে আমরা ঢাকায় বসে বিয়ে করেছি বিশেষ এ্যাক্টে। বাচ্চা জন্ম হলে কোন ধর্মের হবে তা বলতে পারেন নি।
অপুর্ব রায়ের সাথে বিয়ের আগে ডা: ওহিদা সুলতানার বিয়ে হয়েছিল দুটি মুসলিম পরিবারে । এক সংসারে একটি পুত্র সন্তান ও দ্বিতীয় সংসারে একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
ডাঃ ওহিদা সুলতানার আগের এক স্বামী অভিযোগ করে বলেন, ডাঃ ওহিদা সুলতানা একজন বিকৃত রুচি ও ইসলাম ধর্ম বিদ্বেষী। হিন্দু সম্প্রদায়ের অপুর্ব রায়ের সাথে পরকিয়ার কারনে আমাদের সংসারটা ভেঙ্গে যায়। এ ব্যাপারে ডাঃ ওহিদা সুলতানা বলেন, অপুর্ব রায় হিন্দু হলেও আমার স্বামী।আমি ইসলাম ধর্ম ত্যাগ করিনাই।
ইসলাম ধর্ম অবমাননার বিষয়ে ও কুটুক্তির ব্যাপারে প্রশ্ন করা হলে তিনি কল কেটে দেন।
সম্প্রতি SBMC INSAIDERS নামক একটি পেজে ডাঃ ওহিদা সুলতানার ব্যাপারে একটি লেখা পোস্ট করেন ।লেখটাটি হুবহু দেয়া হলো ।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ (বরিশাল) এর ফিজিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. ওহিদা সুলতানার বিরুদ্ধে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনার অভিযোগ উঠেছে।
বিভিন্ন সময় ইসলামের বিভিন্ন ফরজ বিধানকে কটাক্ষ করে মন্তব্য করেন তিনি। নারীদের পর্দাকে কটাক্ষ করেন হরহামেশাই। মাদ্রাসার শিক্ষার প্রসারকে মৌলবাদ প্রসার বলে সাম্প্রতিক ফেসবুক পোস্টে কমেন্ট করতে দেখা যায় ডা. ওহীদাকে। ফিজিওলজি বিভাগের প্রধানের এহেন ধর্মীয় বিদ্বেষমূলক কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।ওহীদা সুলতানার ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের প্রেক্ষিতে যথাযথ পদক্ষেপ চেয়ে আজ একজন শিক্ষার্থী কলেজ প্রশাসনের নিকট আবেদনপত্র জমা দিয়েছে। শেবাচিম ৫৪ ব্যাচের এক নারী শিক্ষার্থীকে পরীক্ষার সময় ওহীদা সুলতানা বলেন, “তুমি হিজাব না খুললে কীভাবে বুঝবো তুমি আমার ছাত্রী? এতো সমস্যা হলে মাদ্রাসায় ভর্তি হতা। ‘ শেবাচিম ৫১ ব্যাচের শিক্ষার্থী তাহেরা বলেন, আমি নিকাব পরিহিত থাকতাম দেখে তিনি আমাকে পার্সেন্টেজ দিতেন না। তখন আমার রোল ছিল ৬৬। জোর করে উনি নেকাব খোলাতেন ও ইসলাম নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করতেন। যার কারণে আমাদের অনেক পর্দানশীল ব্যাচমেট আসলে ভীত ছিল এবং আমাদের বিশ্বাস অনুযায়ী যথাযথ পর্দা করে প্রফ এপিয়ার করতে পারি নাই। ” ৫০ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী জাবের তানিম বলেন, “উনি আমাকে ফার্স্ট প্রফে এক্সটার্নালসহ অনেক কথা শুনাইছে আল্লাহ,হজ্ব,মুসলিমদের নিয়ে…..এরপরের ব্যাচগুলাতেও উনার এই চরিত্র চেঞ্জ হয় নাই। যদিও উনি ভালো শিক্ষক, কিন্তু উনার এই নিকৃষ্ট আইডিওলজি স্প্রেড করতে উনি সবসময় ছাত্রছাত্রীদের মাঝে স্লো পয়জনিং করেন,মাঝেমধ্যে বিভিন্ন কথা শোনান।”
গতবছর তার একটা ফেসবুক পোস্টকে কেন্দ্র করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ দেখা দিয়েছিলো। অফলাইনে সার্বক্ষণিক সুযোগ পেলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিতে থাকা ওহীদা সুলতানা অনলাইনেও মাঝে মাঝে ধর্মীয় বিধানকে হেয় করে কমেন্ট করে থাকেন। কেউ তার কমেন্টে যৌক্তিক জবাব দিলে তিনি তাকে ব্লক করে দেন।