
শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » জামাতপন্থী উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি ছাত্রদল বামপন্থি ছাত্র- সংগঠনের।।
জামাতপন্থী উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি ছাত্রদল বামপন্থি ছাত্র- সংগঠনের।।
নিজস্ব প্রতিবেদক :
শিক্ষার্থীদের সক্রিয় সব সংগঠন ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদ জানিয়েছে। তবে এ হত্যাকাণ্ড নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনৈতিক বিভক্তি তৈরি হয়েছে। নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারায় উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবি জানিয়েছে ছাত্রদল। একই দাবি বামপন্থি সংগঠন সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, ছাত্র ইউনিয়নের ও ছাত্রলীগ (বিসিএল)। গতকাল সন্ধ্যায় তারা মশাল মিছিল করে ও বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে।। আজ বৃহস্পতিবার ক্যাম্পাসে অবস্থান কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ছাত্রদল।
ইসলামী ছাত্রশিবির এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বিডিএসসি) প্রকাশ্যে পদত্যাগের পক্ষে-বিপক্ষে কিছু না বললেও সংগঠন দুটির নেতারা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উপাচার্যের পদত্যাগের দাবি কেন– সে প্রশ্ন তুলেছেন। শেখ হাসিনার পতন ঘটানো জুলাই অভ্যুত্থানের ছাত্র নেতৃত্বের দল জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) নেতারাও একই অবস্থান নিয়েছেন।
ক্যাম্পাস সূত্রের খবর, উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ খানকে ‘জামায়াতপন্থি’ বলে মনে করে ছাত্রদল ও বাম সংগঠনগুলো। সংগঠনগুলো ‘সংস্কারের আগে’ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন চায় না। তবে উপাচার্যকে সমর্থন করা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ছাত্রশিবির ও বিডিএসসি প্রশাসনে পরিবর্তন চায় না। তাদের ভাষ্য, উপাচার্য বদল হলে ডাকসু নির্বাচন নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেবে।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে সাম্যকে হত্যার খবর ছড়িয়ে পড়ার পর ঢাকা মেডিকেল (ঢামেক) হাসপাতালের জরুরি বিভাগে জড়ো হন তাঁর বন্ধুবান্ধব, সহপাঠী ও ছাত্রদলের নেতাকর্মী। ছাত্রদল নেতাকর্মীর একটি দল সেখান থেকে মিছিল নিয়ে উপাচার্যের বাসভবনের সামনে গিয়ে বিক্ষোভ করে। উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমেদ বের হয়ে এলে শিক্ষার্থীদের তোপের মুখে পড়েন। এক পর্যায়ে তিনি বলেন, ‘তোরা আমাকে মেরে ফেল।’ পরে বিক্ষুব্ধ ছাত্রদল নেতারা উপাচার্যকে সঙ্গে নিয়ে প্রথমে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের কালী মন্দির এলাকায় যান, যেখানে খুন হয়েছেন সাম্য। পরে ঢামেকে যান উপাচার্য।