
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » তিন পাকিস্তানী ব্রিগেডিয়ার ঢাকায় পৌঁছেছেন, - গন্তব্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন সদর দফতর
তিন পাকিস্তানী ব্রিগেডিয়ার ঢাকায় পৌঁছেছেন, - গন্তব্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন সদর দফতর
পক্ষকাল সংবাদ ডেস্ক-সুত্র নর্থ ইষ্ট নিউজ
আজ বিকাল ৫:২৭টায় এমিরেটস ফ্লাইট (নং ৫৮৬) ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করে। তিনজন পরিপাটি পোশাকে, দাড়ি-গোঁফে সজ্জিত পুরুষ বিমান থেকে নেমে নিরিবিলি ও উৎসুকতার মিশ্রণ নিয়ে অপেক্ষমাণ বাসটির দিকে এগিয়ে যান। অন্যান্য যাত্রীদের সাথে তারা বাসের ভেতরে ওঠেন, যা তাদের ইমিগ্রেশন ও নিরাপত্তা চেক পয়েন্টের কাছে অবতরণ ঘটায়। পাসপোর্ট সমূহ-যাদের সবকটিরই দাবিত করা হয়েছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী মেডিক্যাল কর্পসের-নিয়মমাফিক স্ট্যাম্প করা হয় এবং এরপর তাঁদের স্বাগত জানান বাংলাদেশি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ ও ঢাকায় অবস্থানরত পাকিস্তানি কূটনীতিকেরা, যারা দেয়ালে গিয়ে দ্রুত কর্মী গাড়িতে তুলে নেন।
২. উপস্থিত পাকিস্তানি ব্রিগেডিয়ারদের নাম ও পদবী: • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল নাদিম আহমেদ • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুহাম্মদ তালহা • ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৌদ আহমেদ রাও
৩. ‘নর্থইস্ট নিউজ’-এর কাছে আসা ভ্রমণ ডকুমেন্ট অনুসারে, নাদিম আহমেদের পাসপোর্ট ৩০ এপ্রিল ২০২৫-এ ইস্যু, তালহার পাসপোর্ট ২৬ মে এবং সৌদের পাসপোর্ট ২৯ মে একই বছরের ইস্যুকৃত। প্রত্যেকটি নতুন মেশিন-রিডেবল পাসপোর্ট যে কোনো ছাপ বা স্ট্যাম্পবিহীন এবং মেয়াদ মাত্র এক বছর-ইঙ্গিত দেয় এগুলো হয়তো বিশেষ কোনও উদ্দেশ্যে ইস্যু করা হয়েছে।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ন তথ্য: এই তিন ব্রিগেডিয়ার পরবর্তী গন্তব্য রামু, কক্সবাজার নিকটবর্তী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ম ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশন সদর দপ্তর পরিদর্শন।
“এঁরা নিঃসন্দেহে আড়ালে কাজ করছেন, নাহলে কেন রামু ক্যান্টনমেন্টে?”-এলাকায় একজন অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল মন্তব্য করেছেন।
উল্লেখ্য, এ বছরের এপ্রিল থেকে রামু ক্যান্টনমেন্টকে অত্যন্ত সংবেদনশীল সামরিক কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। এটি আরাকান সেনাবাহিনীর জন্য লজিস্টিক ও সরবরাহ সহায়তার প্রধান হাব হিসেবে ব্যবহৃত হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
৫ জুলাই, দুবাই হয়ে পাকিস্তানে ফেরার আগে, তিন ব্রিগেডিয়ার বাংলাদেশের সিনিয়র সেনা কর্মকর্তাদের সাথেও বৈঠক করবেন, যার মধ্যে থাকবেন মেডিকেল সার্ভিসেস বিভাগ ও অ্যাডজুট্যান্ট জেনারেলের কার্যালয়ের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।
এই সামরিক সফর থেকে উদ্ভূত প্রধান প্রভাবগুলো নিম্নরূপ:
১. কৌশলগত পুনর্মণ্ডন ইতোমধ্যে ঢাকা তার দীর্ঘদিনের ভারতভিত্তিক নীতিশৈলী থেকে সরে এসে পাকিস্তানের সামরিক ও গোয়েন্দা সংস্থার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে। উচ্চ পর্যায়ের ঘন ঘন সফর, প্রশিক্ষণ কার্যক্রম পুনরায় চালু এবং বাণিজ্য-যাত্রাবিচারে সফটেনিং স্বাভাবিকভাবেই দূরদৃষ্টির কৌশলগত বিকল্প তৈরির দিক নির্দেশ করছে।
ভারতের নিরাপত্তার জন্য চ্যালেঞ্জ নবায়িত সামরিক সংযোগ এবং সম্ভাব্য প্রশিক্ষণ-গোপন তথ্যভান্ডার বিনিময় ভারতের উত্তর-পূর্ব সীমান্তে সন্ত্রাসী কার্যক্রমের পুনরুজ্জীবনের আশঙ্কা বাড়ায়। বিশেষ করে সিলিগুড়ি করিডোরে ভারত ইতোমধ্যে নজরদারি বাড়াচ্ছে।
চীন-পাকিস্তান-বাংলাদেশ অক্ষের জোরদারকরণ এখন পর্যন্ত চীনই বাংলাদেশের সামরিক সরবরাহের প্রধান উৎস। পাকিস্তান-বাংলাদেশ জোটের অন্তর্ভুক্তিতে বেইজিংয়ের প্রভাব আরও নিবিড় হয়ে যাবে, যা বঙ্গোপসাগরে ভারতীয় নৌকৌশল এবং সমগ্র ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় ভারসাম্যে বিবৃতি বাড়াবে।
আরাকান আর্মির সমর্থন সম্ভাবনা রামু সেন্টার এখন মায়ানমারের রাখাইনে আরাকান আর্মির জন্য লজিস্টিক হাব হিসেবে কাজ করছে বলেই সঙ্কেত। পাকিস্তানি মেডিকেল কর্পসের কর্মকর্তা supply-chain পরামর্শকারী বা পর্যবেক্ষক হিসেবে যুক্ত হলে সীমান্তীয় অস্থিরতা এবং কক্সবাজার শরণার্থী শিবিরে বিরূপ প্রভাব দেখা দিতে পারে।
প্রতিরক্ষা আধুনিকীকরণ ত্বরান্বিত ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ অনুযায়ী আধুনিক, স্বল্পমূল্যের প্ল্যাটফর্মে বিনিয়োগ করছে ঢাকা। পাকিস্তানের JF-17 লড়াকু বিমানসহ অন্য প্রযুক্তি বাংলাদেশকে পশ্চিমা বিক্রেতাদের বিকল্প হিসেবে দেবে। যৌথ অনুশীলন ও প্রযুক্তি স্থানান্তর বাংলাদেশের বাহিনীকে পাক-চীন মডেলের সঙ্গে আরও খাপ খাইয়ে নেবে।
বহিঃচাপের বিরুদ্ধে অটল সম্পর্ক দু’দেশের সামরিক সূত্র উল্লেখ করছে, এই সহযোগিতা “বহিরাগত প্রভাব” থেকে মুক্ত থাকতে হবে। এমন মনোভাব সরকারি অঙ্গনে এক রাজনৈতিক সংকল্পের প্রতিফলন-ভিন্ন কোনো দেশে চাপে মাথা না নেড়ে নতুন দক্ষিণ এশীয় কৌশলগত ব্লক প্রতিষ্ঠা।