
সোমবার, ৩০ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আসিফ মাহমুদের ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন, উপদেষ্টা দাবি ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’
হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে আসিফ মাহমুদের ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন, উপদেষ্টা দাবি ‘অনিচ্ছাকৃত ভুল’
ঢাকা, ২৯ জুন ২০২৫ - মঙ্গলবার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগ স্ক্যানিংয়ের সময় একটি গুলির ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়। বিষয়টি নিয়ে প্রচারিত “নিউজ সরানোর” অভিযোগকে তিনি সম্পূর্ণ মিথ্যা বলে উড়িয়ে দিয়েছেন।
সজীব ভুঁইয়ার সাথে যুক্ত প্রোটোকল অফিসার রদবদল করে যাত্রার সময় ভুলবশত ম্যাগাজিনটি পিছনের ব্যাগে থেকে যায়, যা নিরাপত্তা চেকপোস্টে ধরা পড়লে তিনি তা অফিসারদের কাছে হস্তান্তর করেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে তিনি জানান, “নিরাপত্তার স্বার্থে আমার লাইসেন্সকৃত অস্ত্র আছে। ইন্টেনশন থাকলে অবশ্যই অস্ত্রই সাথে থাকত, শুধুমাত্র ম্যাগাজিন দিয়ে আমি কী করব?”2
উপদেষ্টার ফেসবুক পোস্টে আরও বলা হয়েছে, ব্যাংকক হয়ে মরাক্কোর মারাকেশে “ওআইসি ইয়ুথ ক্যাপিটাল” প্রোগ্রামে অংশগ্রহণ করতে গিয়ে প্যাকিংয়ের তৎপরতায় ম্যাগাজিনটি ভুলক্রমে স্বাভাবিক ব্যাগেই ঢুকে পড়ে। পরে তিনি সেটি গেট অফিসে হস্তান্তর করলেও “চাপ দিয়ে নিউজ সরানোর” কোনো ঘটনা ঘটেনি। তিনি আট ঘণ্টার ফ্লাইট ও ট্রানজিটে ব্যস্ততার কারণে বিষয়টি অনলাইনে জানতে পেরেছেন বলে উল্লেখ করেন।
আস্তিত্ব - The Daily Star: “ব্যাগে ম্যাগাজিন থাকা অনিচ্ছাকৃত, চাপ দিয়ে নিউজ সরানোর অভিযোগ মিথ্যা” শিরোনামে প্রতিবেদন প্রকাশ করে। - The Business Standard: ঘটনাটি নিয়ে বিস্তারিত জানিয়ে “ইন্টেনশন না থাকলে অস্ত্রই রাখতে পারতাম” যুব উপদেষ্টার বক্তব্য তুলে ধরা হয়েছে। - আমাদের সময়: লাইসেন্সধারী হিসেবে নিরাপত্তার স্বার্থেই অস্ত্র ও ম্যাগাজিন বহন করেন বলে ব্যাখ্যা করেছেন। - Risingbd: “চাপ দিয়ে ভুল সংবাদ সরানোর” অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই উল্লেখ করে পর্যালোচনা করেছে। - Banglanews24: নিরাপত্তা প্রধান জানিয়েছে, প্রটোকল অফিসারের মাধ্যমে আনইনটেনশনাল বিপত্তি মোকাবিলা করা হয়েছে।
আইনি সম্ভাব্য পরিণতি অবৈধ ম্যাগাজিন বহন না করেই ভুলক্রমে সেটি ডিক্লিয়ার না করা হলেও বিমানবন্দর নিরাপত্তা বিধি লঙ্ঘনের কারণ হতে পারে। আইন বিশেষজ্ঞরা বলছেন,
প্রথমবার এ ধরনের oversight এ সাধারণত জরিমানা ও সতর্কতা প্রয়োগ করে বিষয়টি মেটানো হয়।
যদি শর্ত ভঙ্গের ইঙ্গিত পাওয়া যায়, তবে লাইসেন্স স্থগিত বা শর্তাবলী কঠোর করার আশঙ্কা থাকছে।
পরবর্তী তদন্তে কোনো অনৈতিক উদ্দেশ্য পাওয়া না গেলে ঘটনাটি প্রশাসনিক পর্যায়ে নিষ্পত্তি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া: ‘মিসটেক’ নয়, অবিলম্বে পদত্যাগ চাই
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগে গুলির ম্যাগাজিন পাওয়ার ঘটনায় শুরু হয়েছে বিরূপ রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া। Opposition-ruling দলের মধ্য দিয়ে সরব হচ্ছে পদত্যাগের ডাক।
বিএনপি: অবিলম্বে বরখাস্ত - “একটা ম্যাগাজিনের কথা অনিচ্ছাকৃত ভুল বলা অগ্রহণযোগ্য,” বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, “সরকারি প্রটোকল থাকা অবস্থায় এমন উদ্বেগাজনক দায়িত্বজ্ঞানহীনতার স্বার্থে উপদেষ্টাকে এখনই সরাতে হবে।”
জাতীয় পার্টি: আইনি-নৈতিক লঙ্ঘন - দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শরফ উদ উল্লাহ তৌফিক বলেন, “সরকারি দায়িত্বে থাকা ব্যক্তির ব্যাগে অবৈধ সামগ্রীর উপস্থিতি সম্পূর্ণ নিরাপত্তা দুর্বলতাই রেটে তোলে। তাই পদত্যাগই একমাত্র সঠিক সমাধান।”
সরকারি দলের অবস্থান - আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি একজন শর্তসাপেক্ষে অনুসন্ধান কমিশন গঠন ও “প্রয়োজনে টিমের দায়িত্বে পরিবর্তন” দাবি করেছেন, তবে সরাসরি বরখাস্তের নির্দেশ দেননি। শুধু বলেন, “অভিযোগ প্রতিষ্ঠিত হলে তড়িৎ ব্যবস্থা নেয়া হবে।”
নাগরিক আন্দোলন ও ব্যক্তিগত মত - নিরাপত্তা-আইনি বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বিষয়টি “সতর্কতামূলক ঘটনা” নয়, বরং “পদদূষণী”-পদে থেকে যাবার আরেকটি বড় কারণ। গণতান্ত্রিক গণমঞ্চের এক মুখপাত্র শ্রীমতী রায় বলেন, “এই ধরনের দায়িত্বজ্ঞানহীনতা মানে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি।”
একদিকে উপদেষ্টা নিজে “অনিচ্ছাকৃত ভুল” দাবি করলেও, রাজনৈতিক মহলের এই স্পষ্ট সঙ্কেত যে-”এই ভুলে নিচ্ছেন না, পদ থেকেই অবিলম্বে সরতে হবে”।
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া: আসিফ মাহমুদকে অবিলম্বে পদত্যাগের দাবি
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদের ব্যাগে অবৈধ গুলির ম্যাগাজিন পাওয়ার ঘটনায় প্রধান দুই রাজনৈতিক দল, বিরোধী জনতা ও নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা তাকে সরিয়ে ফেলার আওয়াজ তুলেছেন।
বিএনপি নেতা মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, “সরকারি সুরক্ষা প্রটোকল থাকা সত্ত্বেও এই অবহেলার কোনো ব্যাখ্যা হতে পারে না। উপদেষ্টাকে অবিলম্বে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিতে হবে।”
জাতীয় পার্টির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব শরফ উদ-উল্লাহ তৌফিক দাবি করেন, “এ ধরনের নিরাপত্তা হৃদয়বিদারক দৃশ্যে ফেসবুক পোস্ট দেওয়ার পূর্বে সবার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা উচিত ছিল। এটা কোনো ‘ভুলক্রমে’ বিনিময় নয়-একটি গুরুতর নিরাপত্তা অবহেলা। উপরন্তু, এই ঘটনায় মানহানির আশঙ্কা ছড়িয়েছে, সেজন্য পদত্যাগ ছাড়া অন্য বিকল্প নেই।”
অনুবিভাগীয় নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এ ঘটনায় সরকারের ঘোষণা ছাড়া বাকি দলগুলো রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের চেষ্টা করছে, তবে “ইয়ৎ আড়াল রাখার আপ্যায়ন নেই; অবিলম্বে পদক্ষেপ ছাড়া ভবিষ্যতে আরও বড় নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ দেখা দেবে”।
নাগরিক অধিকারকর্মী ও বিশ্লেষকরা even stricter রুখে দাঁড়িয়েছেন। “যদি কেউ দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকেও, পদে থেকে যাওয়ার মানেই এখানে রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার স্বীকার করা,”-একজন নিরাপত্তা বিশ্লেষক মন্তব্য করেন।
সরকারি পর্যায় থেকে এখনও আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া আসেনি; তবে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় গঠন করতে যাচ্ছে তদন্ত কমিটি, প্রমাণ পাওয়া গেলে শাসকালীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।