আজকের অবরুদ্ধ প্রেস সচিবের আচরণে বাড়াবাড়ি-জনমনে প্রশ্ন
আজ অবরুদ্ধ প্রেস সচিবের আচরণে বাড়াবাড়ি-জনমনে প্রশ্ন
ঢাকা, জুন ২০২৫: বর্তমান সরকারের প্রেস সচিব শফিকুল আলমের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও বক্তব্য নিয়ে জনমনে প্রশ্ন উঠেছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তার একাধিক মন্তব্য এবং সরকারি সুবিধা ব্যবহারের ধরনকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় উঠেছে।
সম্প্রতি ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি নিজের দায়িত্বপালনের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন এবং জানান, পদত্যাগের পর তিনি একাকিত্বে ভুগতে পারেন। তবে তার বক্তব্যের ভঙ্গি ও কিছু মন্তব্যকে অনেকেই “অহংকারপূর্ণ” এবং “ক্ষমতার অপব্যবহারের ইঙ্গিতপূর্ণ” বলে মনে করছেন।
এদিকে, প্রধানমন্ত্রীর প্রেস উইংয়ে আইফোন বরাদ্দ নিয়ে বিতর্কও নতুন মাত্রা পেয়েছে। সাবেক প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান মন্তব্য করেছেন, “প্রেস অফিসারদের প্রযুক্তিগত সক্ষমতা বাড়ানো জরুরি হলেও, রাষ্ট্রের অর্থের অপচয় যেন না হয়, সেটাও নিশ্চিত করতে হবে।”
জনগণের একাংশ মনে করছেন, বর্তমান প্রেস সচিবের আচরণ ও বক্তব্যে দায়িত্বশীলতার অভাব স্পষ্ট। কেউ কেউ বলছেন, “সরকারি পদে থেকে ব্যক্তিগত অনুভূতি প্রকাশের নামে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা অনুচিত।”
বিশ্লেষকদের মতে, প্রেস সচিবের মতো গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা ব্যক্তির কাছ থেকে আরও সংযত ও দায়িত্বশীল আচরণ প্রত্যাশিত। কারণ, তার প্রতিটি বক্তব্য ও পদক্ষেপ সরকারের ভাবমূর্তির সঙ্গে সরাসরি সম্পর্কিত।
প্রেস সচিব শফিকুল আলম খুলনায় অবরুদ্ধ
খুলনা প্রতিনিধি
কেএমপি কমিশনার মো. জুলফিকার আলী হায়দারের পদত্যাগের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব মো. শফিকুল আলমকে অবরুদ্ধ করে রেখেছেন আন্দোলনকারীরা।
আজ শনিবার (২৮ জুন) বিকেলে প্রেস সচিব সাংবাদিকদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে খুলনা প্রেসক্লাবে এলে এ ঘটনার সূত্রপাত হয়।
জানা গেছে, প্রেস সচিবের আগমনের খবর পেয়ে প্রেসক্লাবের সামনে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। এতে প্রেসক্লাবে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন প্রেস সচিব। এ সময় আন্দোলনকারীরা কমিশনারের পদত্যাগ না হওয়া পর্যন্ত প্রেস সচিবকে সেখান থেকে বের হতে না দেওয়ার ঘোষণা দেন। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রেস সচিব প্রেসক্লাবে অবরুদ্ধ ছিলেন।
গণমাধ্যম কর্মী মোস্তফা জামাল বলেন, প্রেস সচিব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খুলনার সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা শেষে বিকেল ৫টার দিকে খুলনা প্রেসক্লাব পরিদর্শনে করতে আসেন। এ সময় ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একটি অংশ প্রেসক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেয়। ফলে ক্লাব থেকে কেউই বের হতে পারেননি।
তিনি আরও বলেন, এ অবস্থায় প্রেস সচিবও অবরুদ্ধ হন। আন্দোলনকারীরা একপর্যায়ে বলতে থাকেন কেএমপি কমিশনারের পদত্যাগ নিয়ে ঘোষণা না দিলে প্রেস সচিবও বের হতে পারবেন না।