
বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » অর্থনীতি | রাজনীতি » বিদেশিদের হাতে বন্দরের ভবিষ্যৎ? - দেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে, ড ইউনূস নয়
বিদেশিদের হাতে বন্দরের ভবিষ্যৎ? - দেশের মানুষই সিদ্ধান্ত নেবে, ড ইউনূস নয়
শফিকুল ইসলাম কাজল
বাংলাদেশের বন্দরের ভবিষ্যৎ, করিডোর ব্যবস্থাপনা কিংবা জাতীয় নিরাপত্তা-এই সব সিদ্ধান্ত দেশের জনগণ নেবে, কোনো অনির্বাচিত ব্যক্তি নয়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস যখন দেশের সর্বোচ্চ অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সম্পদ, যেমন চট্টগ্রাম বা পায়রা বন্দরের নিয়ন্ত্রণ আন্তর্জাতিক কোম্পানি বা বিদেশি অপারেটরের হাতে তুলে দেওয়ার আলোচনা শুরু করেন, তখন জনগণের ঘোর আপত্তি স্বাভাবিক।
জাতীয় সম্পদ বেচাকেনা নয়, জাতির ভবিষ্যৎ প্রশ্ন
ইউনূস সাহেব ভুলে গেছেন, তিনি কোনো নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি নন। তার সরকার জনগণের ভোটে আসেনি। অতএব তিনি কীভাবে এমন অতি গুরুত্বপূর্ণ, দীর্ঘমেয়াদি সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার পান? চট্টগ্রাম বন্দর বা করিডোর ব্যবস্থাপনা শুধু অর্থনৈতিক বিষয় নয়-এটা সরাসরি দেশের সার্বভৌমত্ব, নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক স্বাতন্ত্র্যের সঙ্গে জড়িত।
জনগণ পরিষ্কার বার্তা দিচ্ছে
বাংলাদেশের জনগণ পরিষ্কার করে দিতে চায়-বিদেশি চাপ বা গোপন চুক্তির ফাঁদে ফেলে কেউ যেন দেশের মাটি বা সমুদ্র বন্দর কাউকে দিতে না পারে। “বিকাশের নামে বিক্রি” আর হবে না। দেশ বিক্রি করার ষড়যন্ত্র জাতি আগেও দেখেছে, এবার আর সহ্য করবে না।
সাফ কথা,
যা কিছু করতে হবে দেশের মানুষই করবে। বিদেশিদের হাতে দেশের বন্দর, করিডোর বা নিরাপত্তা তুলে দেওয়ার অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি, দিতেও প্রস্তুত নয়। এটি ইতিহাসের দায়, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের অস্তিত্বের প্রশ্ন। ইউনূস সাহেবের উচিত এখনই পিছু হটা। নয়তো জাতির কঠোর প্রতিবাদ এবং ইতিহাসের কাঠগড়ায় তার স্থান অস্বস্তিকরই হবে।
এই জাতি রক্ত দিয়ে দেশ স্বাধীন করেছে, বন্দর বিক্রি করে স্বাধীনতা বিসর্জন দেবে না।