শিরোনাম:
ঢাকা, মঙ্গলবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৫, ১৬ বৈশাখ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
প্রথম পাতা » জেলার খবর » বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল
প্রথম পাতা » জেলার খবর » বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল
৩৪৫ বার পঠিত
শনিবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৬
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বৃষ্টি উপেক্ষা করে শিমুলিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের ঢল

---
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ঘুরি ঘুরি বৃষ্টি উপেক্ষা করে মুন্সীগঞ্জ জেলার লৌহজং উপজেলার শিমুলিয়া কাওড়াকান্দি নৌ-রুটের শিমুলিয়া ঘাটে এখন ঘরমুখো মানুষের ঢল নেমেছে।
টানা ৬ দিনের ছুটিতে দক্ষিন-পশ্চিম বঙ্গের ২১ জেলার প্রবেশদ্বার শিমুলিয়া ঘাট দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ফেরী, ল  ও সীবোটে পাড়ি দিচ্ছেন পদ্মা নদী। ঘাটে পারাপারের অপেক্ষার রয়েছে ২ শতাধিক যানবাহন এর মধ্যে ছোট প্রাইভেট কারের সংখ্যাই বেশি। ঈদুল আজহা সামনে রেখে মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে নেমেছে ঘরমুখো মানুষের ঢল। রবিবার ভোরের আগেই যাত্রীবাহী বাস, প্রাইভেটকার, মাইক্রোবাসে করে যাত্রীরা যেতে থাকেন শিমুলিয়া ফেরিঘাটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শিমুলিয়া ঘাট থেকে ১৭টি ফেরি দিয়ে পারাপার হচ্ছে যানবাহন। পারাপারের অপেক্ষায় আছে নয় শতাধিক ছোট-বড় গাড়ি। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে গাড়ির সারিও দীর্ঘ হচ্ছে। ছোট প্রাইভেটকারের সংখ্যাও কম নয়। অতিরিক্ত ভাড়া ও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ল  আর স্পিডবোটে পাড়ি জমাচ্ছেন যাত্রীরা।
মাওয়া নৌ পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মোশাররফ হোসেন জানান, গাড়ির চাপ রয়েছে। সারিবদ্ধভাবে পারাপার হচ্ছে। তবে ফেরিতে উঠতে একটু অপেক্ষা করতে হচ্ছে। বরিশালগামী যাত্রী মো. রহিম মিয়া বলেন, তিনি গুলিস্তান থেকে সকালে রওনা হয়েছেন। গাড়ি ছিল অনেক। তবে ভাড়া ২০ টাকা বেশি নিয়েছে।
ঢাকার মো. করিম শেখ বলেন, ‘পরিবার নিয়ে রওনা হয়েছি যশোর যাব। ভোররাতে ঘাট এলাকায় আইসি। পাঁচ ঘণ্টা হয়েছে। এখনো ফেরিতে উঠতে পারি নাই। খারাপ লাগছে না। ঈদ করব সবার সাথে। মা-বাবা আছে।’
ঘাটে অতিরিক্ত যাত্রী বোঝাই করে ল  ছাড়তে দেখা গেছে। তবে ঘাট এলাকায় পুলিশ টহলের কারণে সঠিক সময়ে লা  ছাড়তে বাধ্য হচ্ছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়া ঘাটের ব্যবস্থাপক গিয়াসউদ্দিন পাটোয়ারী বলেন, নয় শতাধিক গাড়ি পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। অতিরিক্ত যাত্রী বহনের জন্য প্রায় সব ফেরিতে কম গাড়ি ওঠানো হচ্ছে। তবে গাড়ির এই দীর্ঘ লাইন দ্রুত কমে আসবে। ১৭টি ফেরি দিয়ে গাড়ি পারাপার হচ্ছে।
গিয়াসউদ্দিন বলেন, মধ্যরাত থেকে মাওয়া ঘাটে পারাপারের জন্য চাপ বাড়তে থাকে। নদীতে স্রোত ও ঢেউ থাকায় ফেরি পারাপারে আগের চেয়ে এক থেকে দেড় ঘণ্টা সময় বেশি নিচ্ছে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)