
সোমবার, ১১ মে ২০১৫
প্রথম পাতা » » প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বরখাস্ত আরও ২ জন
প্রধানমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভ্রাট, বরখাস্ত আরও ২ জন
গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে দুদিন আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অনুষ্ঠানের সময় বিদ্যুৎ সরবরাহ বিঘ্নিত হওয়ার ঘটনায় দুই কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কাজী আব্দুল খালিক জানান, দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে এই শঅস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
এ দুই কর্মকর্তা হলেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান প্রকৌশলী মো. ইকরামুল হক এবং নির্বাহী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) মো. আবুল হাসেম।
এদের মধ্যে ইকরামুলকে শনিবার সন্ধ্যার দিকে এবং হাসেমকে রোববার বরখাস্ত করা হয়।
এর আগে ঘটনার দিন বিকেলে গাজীপুর পল্লীবিদ্যুৎ সমিতির ব্যবস্থাপক মো. জহিরুল ইসলাম এবং উপ-মহাব্যবস্থাপক (টেকনিক্যাল) খান মো. বোরহান উদ্দিনকে সাময়িক বরখাস্তের নির্দেশ দেন পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মঈন উদ্দিন।
গাজীপুরের পল্লী বিদ্যুৎ সামিতির ছায়াবিথী জোনাল অফিসের উপ-মহাব্যবস্থাপক নূর মোহাম্মদকে ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপকের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
শনিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ষোড়শ প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছে কয়েকটি স্থাপনা উদ্বোধনের সময় সকাল সোয়া ১০টার দিকে বিদ্যুৎ চলে যায়। প্রায় ১০ মিনিট বিদ্যুৎহীন থাকায় অনুষ্ঠানও থমকে থাকে।
ভারপ্রাপ্ত মহাব্যবস্থাপক নূর মোহাম্মদ ঘটনার দিনই বিদ্যুৎ বিভ্রাটের বিষয়ে সাংবাদিকদের বলেন, “অতিরিক্ত লোডের কারণে সার্কিট ব্রেকার পুড়ে গিয়ে হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। বাইপাস সংযোগ দিয়ে বিদ্যুৎ লাইন আবার সচল করা হয়।”
তিন তদন্ত কমিটির কাজ শুরু
বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ওই ঘটনায় পল্লী বিদ্যুৎ, গাজীপুর জেলা প্রশাসন ও বিশ্ববিদ্যায় কর্তৃপক্ষ থেকে তিনটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন কমিটির কর্মকর্তরা রোববার বিকেল থেকেই তদন্ত কাজ শুরু করেছেন।
পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্যরা রোববার বিকেলে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলেন। তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটির নেতৃত্ব দিচ্ছেন বোর্ডের সদস্য (পবিস ব্যবস্থাপনা) আব্দুস সাত্তার বিশ্বাস।
অন্য সদস্যরা হলেন প্রধান প্রকৌশলী মোস্তাফিজুল হক চৌধুরী ও পরিচালক (সিস্টেম অপারেশন কেন্ত্রীয় অঞ্চল) অঞ্জন কান্তি দাস।
অন্যদিকে গাজীপুর জেলা প্রশাসন থেকে গঠিত ছয় সদস্যের তদন্ত কমিটিতে প্রধান করা হয়েছে অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হোসেনকে।
এ কমিটির অন্য সদস্যদের মধ্যে একজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, জেলা গণপূর্ত উপ-সহকারী প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী (পূর্ব) ও নির্বাহী প্রকৌশলী (পশ্চিম) এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর রয়েছেন।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে অধ্যাপক মোফাজ্জল হোসেনকে প্রধান করে আরও একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিও রোববার থেকে তদন্ত কাজ শুরু করেছে।