
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | বিশ্ব সংবাদ | রাজনীতি » গাজায় অপুষ্টির সংকট যুদ্ধের পরেও থাকবে, বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
গাজায় অপুষ্টির সংকট যুদ্ধের পরেও থাকবে, বিশেষজ্ঞদের সতর্কবার্তা
গাজায় অপুষ্টির সংকট যুদ্ধের পরেও থাকবে, বিশেষজ্ঞরা বলছেন তারিখ: ৩০ জুলাই ২০২৫ স্থান: গাজা সিটি
গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধের মধ্যেও একটি ভয়াবহ মানবিক সংকট ক্রমশ গভীর হচ্ছে-অপুষ্টি। আন্তর্জাতিক বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, যুদ্ধ শেষ হলেও অপুষ্টিজনিত ক্ষতি একটি প্রজন্মকে স্থায়ীভাবে প্রভাবিত করবে।
শিশুদের অবস্থা ভয়াবহ শেখ রেদওয়ানে বসবাসকারী এনাস আলওহাইদির ২০ মাস বয়সী ছেলে, তাইম, গত আট মাসে ওজন বাড়াতে পারেনি-মাত্র ৯ কেজি। প্রতিদিন মাত্র তিনটি রুটি তৈরি হয়, যার মধ্যে একটিতে বাবা, অর্ধেকটিতে মা, আর দেড়টি রুটিতে তাইমের দিন কাটে। “তাইম ক্ষুধার্ত অবস্থায় ঘুমায়,” বলেন এনাস। “ওর জন্য দুধও নেই।”
সংখ্যা ও পরিসংখ্যান
IPC (Integrated Food Security Phase Classification) অনুযায়ী, গাজার প্রায় ৫ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষসদৃশ অবস্থায় রয়েছে
UNRWA জানায়, গাজা সিটিতে প্রতি পাঁচজন শিশুর একজন এখন অপুষ্টিতে ভুগছে
মে মাসে ৫,০০০+ শিশু অপুষ্টির জন্য চিকিৎসা নিয়েছে
জানুয়ারি থেকে প্রতিদিন গড়ে ১১২ শিশু অপুষ্টির চিকিৎসায় ভর্তি হচ্ছে
স্থায়ী ক্ষতির আশঙ্কা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জন্ম থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত অপুষ্টি শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা, ও শারীরিক বৃদ্ধি স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে।
Stunting (বিকাশে স্থবিরতা) দুই বছর বয়সের পর অপরিবর্তনীয় হয়ে যায়
অপুষ্ট শিশুরা IQ হ্রাস, শেখার সমস্যা, ও আচরণগত জটিলতায় ভুগতে পারে
৮৯ শিশু অক্টোবর ২০২৩ থেকে অপুষ্টিজনিত কারণে মারা গেছে
আন্তর্জাতিক চাপ ও প্রতিক্রিয়া বিশ্বজুড়ে চাপ বাড়ছে যাতে ইসরায়েল খাদ্য ও চিকিৎসা সহায়তার প্রবাহে বাধা না দেয়।
WHO ও UN সতর্ক করেছে যে গাজায় “worst-case famine scenario” ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে
UK সহ ২৭টি দেশ ইসরায়েলের “drip-feeding” নীতিকে “অমানবিক” বলে নিন্দা জানিয়েছে
উপসংহার যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞের বাইরে, গাজার শিশুদের ভবিষ্যৎ এখন অপুষ্টির ছায়ায় ঢাকা। যুদ্ধ থেমে গেলেও, এই সংকটের প্রভাব দশকব্যাপী থাকবে। মানবিক সহায়তা অবিলম্বে বাড়ানো না হলে, একটি প্রজন্ম স্থায়ীভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
সূত্র: TIME প্রতিবেদন