
মঙ্গলবার, ৫ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » রাজনীতি | শিক্ষা ও ক্যারিয়ার » জুলাই উদযাপন কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা: ছাত্র ফেডারেশন ও ইনকিলাব পার্টির প্রতীকী প্রতিরোধ
জুলাই উদযাপন কর্মসূচি বর্জনের ঘোষণা: ছাত্র ফেডারেশন ও ইনকিলাব পার্টির প্রতীকী প্রতিরোধ
নিজস্ব প্রতিনিধিঃ ৫ই আগষ্ট ২০২৪ -আগামীকাল ৫ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের আয়োজিত ‘জুলাই উদযাপন ও ঘোষণাপত্র প্রদান’ অনুষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রতীকী প্রতিরোধ গড়ে তুলেছে বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ও বাংলাদেশ ইনকিলাব পার্টি। উভয় সংগঠনই এই কর্মসূচিকে “আত্মত্যাগের চেতনার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা” হিসেবে আখ্যায়িত করে বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, তারা সাংগঠনিকভাবে এই কর্মসূচি বর্জনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংগঠনটির মতে, অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও সরকার শহীদদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করতে ব্যর্থ হয়েছে, আহত ও শহীদ পরিবারগুলোর যথাযথ সম্মান ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে পারেনি। তারা অভিযোগ করে, সরকার জুলাইয়ের আত্মত্যাগকে ব্যবহার করে বিভ্রান্তিকর প্রতীকায়নের মাধ্যমে নিজেদের কর্তৃত্ববাদী অবস্থানকে বৈধতা দিতে চাইছে।
ছাত্র ফেডারেশন বিবৃতিতে বলেছে, “জুলাই অভ্যুত্থান ছিল একটি গণতান্ত্রিক ও জবাবদিহিতামূলক রাষ্ট্রের স্বপ্ন বাস্তবায়নের পদক্ষেপ। যারা আজ সেই স্পিরিটের বিপরীত পথে হাঁটছে, তারা মূলত পুরনো শোষণমূলক ব্যবস্থাকেই ফিরিয়ে আনতে চাইছে।”
অন্যদিকে, বাংলাদেশ ইনকিলাব পার্টির আহ্বায়ক আহম্মেদ শাকিল আজ এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, “বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে ব্যর্থ হয়েছে।” তিনি অভিযোগ করেন, সরকার বর্বর হত্যাকাণ্ডের বিচার করতে উদাসীন, শহীদদের তালিকা প্রস্তুত করতে ব্যর্থ, এবং আহতদের চিকিৎসা ও পুনর্বাসনে অক্ষম।
শাকিল আরও বলেন, “সরকার গণহত্যাকারী সংগঠনকে নির্বাচনে আনার পায়তারা করছে, জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দিতে আন্তরিক নয়, এবং ইতিহাস বিকৃত করে জাতির আত্মপরিচয় সংকটে ফেলছে।”
উভয় সংগঠনই মনে করে, এই উদযাপন কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ মানে হবে শহীদদের আত্মত্যাগের প্রতি অবমাননা এবং গণআকাঙ্ক্ষার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা। তারা সকল গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল শক্তিকে এই প্রতীকী প্রতিরোধে শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ও ইনকিলাব পার্টির এই অবস্থান বর্তমান সরকারের গণতান্ত্রিক ব্যর্থতা, জবাবদিহিতার অভাব এবং ইতিহাস বিকৃতির বিরুদ্ধে একটি স্পষ্ট বার্তা হিসেবে দেখা যাচ্ছে।