
বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » এনসিপি’র বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অপরাধের অভিযোগ: রাজনৈতিক নিষিদ্ধকরণের দাবি উঠছে
এনসিপি’র বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অপরাধের অভিযোগ: রাজনৈতিক নিষিদ্ধকরণের দাবি উঠছে
নরসিংদী প্রতিনিধি | ৩১ জুলাই ২০২৫ জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর বিরুদ্ধে রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিসরে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। দলটির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম গতকাল এক সমাবেশে দাবি করেন, ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে পরিচিত দুই ব্যক্তি প্রকৃতপক্ষে এনসিপি-র সদস্য নন, বরং গণঅভ্যুত্থানের প্রতিনিধি। তিনি অভিযোগ করেন, তাঁদের পদত্যাগে বাধ্য করার পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে এবং এ প্রক্রিয়া প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও নাগরিক সমাজের একাংশ মনে করছেন, এই বক্তব্য এনসিপি-র সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও অভিযোগ এড়ানোর অপচেষ্টা মাত্র। দেশের বিভিন্ন স্থানে এনসিপির নাম ব্যবহার করে সংঘটিত হয়েছে:
মব সন্ত্রাস ও ভয়ভীতি প্রদর্শন
চাঁদাবাজি ও অর্থনৈতিক দুর্ব্যবহার
সেনাবাহিনীর সদস্যদের সাথে প্রকাশ্য অপমান ও সংঘর্ষ
অরাজনৈতিক উপদেষ্টা নিয়োগের মাধ্যমে রাজনৈতিক স্বচ্ছতা লঙ্ঘন
নরসিংদীতে শহীদ মিনার চত্বরে আয়োজিত সমাবেশে এনসিপি নেতৃত্বের বিরুদ্ধে পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। একই দিন শহরের অন্য প্রান্তে জেলা বিএনপির সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকে পৃথক বিক্ষোভে দাবি ওঠে ২২ ছাত্রের হত্যার ঘটনার আসামিদের বিচার ও গ্রেপ্তারের।
এই দ্বৈত কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে শহরজুড়ে সামাজিক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে, এবং প্রশাসন অতিরিক্ত বিজিবি ও সেনাবাহিনী মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বাধ্য হয়।
নাগরিক সমাজের উদ্বেগ: সুশীল সমাজ, রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও মানবাধিকারকর্মীরা প্রশ্ন তুলেছেন-একটি অনিবন্ধিত রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম কীভাবে জাতীয় রাজনীতিতে এমন অপকর্ম চালাতে পারে? তাঁরা বলছেন, এনসিপি নামে সংঘটিত অপরাধের দায় এড়ানোর সুযোগ নেই, এবং দলটির রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণের দাবি এখন সময়ের অনিবার্য প্রয়োজন।
প্রস্তাবিত পদক্ষেপ:
দ্রুত দলটির কার্যক্রম খতিয়ে দেখা
প্রমাণিত অপরাধে শাস্তির বিধান
অনিবন্ধিত, অপরাধপ্রবণ প্ল্যাটফর্মের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা
রাজনৈতিক দল নিবন্ধন ও কর্মকাণ্ডের নতুন নিয়ম সংযোজন
এনসিপি যে ‘নতুন বাংলাদেশ’-এর নামে আন্দোলন চালাচ্ছে, তাতে আদৌ গণতন্ত্র ও স্বচ্ছতার জায়গা আছে কিনা, তা নিয়ে সংশয় বাড়ছে। এখন সময় এসেছে প্রশ্ন তোলার: নতুন সংবিধানের দাবি যদি চাঁদাবাজি, সন্ত্রাস আর প্রতারণার ছায়ায় ঢেকে যায়-তবে সেটি আসলে কার “নতুন বাংলাদেশ”?