শিরোনাম:
ঢাকা, রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫, ১২ শ্রাবণ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি » বাংলাদেশ সরকার বোয়িং থেকে ২৫টি বিমান কিনার অর্ডার দিয়েছেন, কমিশন বানিজ্য
প্রথম পাতা » অপরাধ | অর্থনীতি » বাংলাদেশ সরকার বোয়িং থেকে ২৫টি বিমান কিনার অর্ডার দিয়েছেন, কমিশন বানিজ্য
১৭ বার পঠিত
রবিবার, ২৭ জুলাই ২০২৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

বাংলাদেশ সরকার বোয়িং থেকে ২৫টি বিমান কিনার অর্ডার দিয়েছেন, কমিশন বানিজ্য

বাংলাদেশ সরকার বোয়িং থেকে ২৫টি বিমান কিনার অর্ডার দিয়েছেন, বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে

---

ডেস্ক ২৭ শে জুলাই ঢাকা,  - সরকারি বাণিজ্য সচিব মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িংয়ের সঙ্গে চুক্তি করে বাংলাদেশ সরকার ২৫টি বিমান কেনার আনুষ্ঠানিক অর্ডার দিয়েছে।
এ বিষয়ে সচিব বলেন, “বোয়িং কোম্পানি নিজেই বাণিজ্যিক ভিত্তিতে এই সরবরাহ করে; যুক্তরাষ্ট্র সরকার নয়। আমরা ২৫টি বিমান অর্ডার করেছি, যা তাদের উৎপাদন সক্ষমতার ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ১২-২৪ মাসে হাতে পেতে পারবো।”
তবে সিদ্ধান্তটি কেন্দ্র করে ঊর্ধ্বতন পর্যায়ে সরগরম বিতর্ক শুরু হয়েছে। বিরোধীদের দাবি, ক্ষমতাসীন শাসকদল নিজের দুর্নীতি আড়াল করতে চেয়ে এই বহুল-মাত্রিক ক্রয়ে এগিয়ে এসেছে। বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গোলাম রব্বানী বলেন, “সরকার শাসনহীনতার দোষ ঢাকতে বয়স্ক বিমান কেনার কৌশল নিয়েছে, যা রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয় ছাড়া আর কিছু নয়।”
অন্যদিকে কূটনৈতিক সূত্রে জানা যায়, মার্কিন প্রশাসন শুল্ক আলোচনা ও বাণিজ্য ছাড়পত্রে ‘উন্নত সহযোগিতা’ না করলে কঠোর পদক্ষেপের হুমকি দিয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানালেন, “আমেরিকার এই চাপটা অনেকটাই ব্ল্যাকমেইলের স্বভাববশত।”
বাণিজ্যবিষয়ক বিশ্লেষক অধ্যাপক এম. এ. মইন উদ্দীন মনে করেন, “২৫টি বিমান সরবরাহের অর্থনৈতিকভাবে সরকারের ওপর ঋণভার আরও বাড়িয়ে দেবে। শুল্ক আলোচনায় নিজেদের অবস্থান শক্ত করতে এমন বড় অর্ডার আদৌ যুক্তিযুক্ত কি না, তা প্রশ্নবিদ্ধ।”
সরকার এ প্রশ্নের জবাবে জানিয়েছে, বহর সম্প্রসারণ ও অর্থনৈতিক স্বায়ত্তশাসন নিশ্চিত করতে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বিমান সংস্থাগুলোতে প্রতিযোগিতা বৃদ্ধি পেতে, ভোক্তা সেবা উন্নত করতে এবং আমদানি-রফতানিতে ভারসাম্য ফিরিয়ে আনতেও সাহায্য করবে-এর ফলে ট্যাক্স রাজস্ব বাড়বে বলেও প্রত্যাশা।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, চুক্তি স্বাক্ষরের পর বোয়িংয়ের প্রথম চালান আসবে আগামী একবছরের মধ্যে। শেষ দিকে ঋণপাতি কাঠামো চূড়ান্ত করতে সরকারি ব্যাংক ও মাল্টিলেটারাল এজেন্সির সঙ্গে সমন্বয় চলছে।
সরকারি এই সিদ্ধান্তকে ঘিরে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক লেনদেনে প্রশ্ন ও সমালোচনা চলছে। পরিবহন আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সব পক্ষকে স্বচ্ছতার চর্চা বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)