
সোমবার, ৭ জুলাই ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ » ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, ইরানের সঙ্গে চুক্তির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
ওয়াশিংটনে নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ, ইরানের সঙ্গে চুক্তির ইঙ্গিত ট্রাম্পের
আন্তর্জাতিক ডেস্ক
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর যুক্তরাষ্ট্র সফরকে কেন্দ্র করে ওয়াশিংটনে ব্যাপক বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার হোয়াইট হাউসের বাইরে ফিলিস্তিনপন্থি বিভিন্ন গোষ্ঠী এই বিক্ষোভে অংশ নেয়। সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে নেতানিয়াহুর বৈঠকের কথা রয়েছে। গত ছয় মাসের মধ্যে এটি নেতানিয়াহুর তৃতীয় যুক্তরাষ্ট্র সফর।
pro palestinian activists hold noise protestনেতানিয়াহুর সফরের প্রতিবাদে হোয়াইট হাউসের বাইরে ফিলিস্তিনপন্থী সমর্থকদের বিক্ষোভ
বিক্ষোভকারীরা ফিলিস্তিনের পতাকা উড়িয়ে ‘ফিলিস্তিন মুক্ত কর, মুক্ত কর’ বলে স্লোগান দেন। তাদের হাতে থাকা প্ল্যাকার্ডে ‘ইসরায়েলকে অস্ত্র দেওয়া বন্ধ কর’, ‘ফিলিস্তিন দীর্ঘজীবী হোক’ এবং ‘নেতানিয়াহু অভিযুক্ত’ এ ধরনের বার্তা লেখা ছিল।
এদিকে, আমেরিকান মুসলিমস ফর প্যালেস্টাইনসহ (এএমপি) কয়েকটি সংগঠন নেতানিয়াহুর এই সফরের নিন্দা জানাতে সোমবার একটি সংবাদ সম্মেলন করবে বলে জানিয়েছে। তারা গাজা উপত্যকায় চলমান যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধেরও দাবি জানাবে।
এর আগে রবিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান, চলতি সপ্তাহে ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে জিম্মি মুক্তি ও যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে পৌঁছানোর ‘একটি ভালো সম্ভাবনা’ রয়েছে। সোমবার নেতানিয়াহুকে তিনি কী বার্তা দেবেন-এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা ইসরায়েলের সঙ্গে অনেক কিছু নিয়ে কাজ করছি এবং তার মধ্যে একটি সম্ভবত ইরানের সঙ্গে একটি স্থায়ী চুক্তি।’
ওয়াশিংটন সফরকালে নেতানিয়াহু মার্কিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং কংগ্রেসের উভয় দলের জ্যেষ্ঠ সদস্যদের সঙ্গেও বৈঠক করবেন বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, যুদ্ধবিরতির জন্য আন্তর্জাতিক আহ্বান উপেক্ষা করে ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় একটি গণহত্যামূলক যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত সেখানে ৫৭,৪০০ জনেরও বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু।
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গত নভেম্বরে গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের জন্য নেতানিয়াহু এবং তার সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্টের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এছাড়া, এই উপত্যকায় যুদ্ধের জন্য ইসরায়েল আন্তর্জাতিক বিচার আদালতেও (আইসিজে) গণহত্যার মামলার মুখোমুখি হয়েছে।