শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২৪ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২

Daily Pokkhokal
সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১
প্রথম পাতা » অপরাধ | জেলার খবর | রাজনীতি »
সোমবার, ২৯ মার্চ ২০২১
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

---
তাণ্ডবের সময় থানা থেকে মাইকিং ‘আমরা আপনাদের সাথে আছি’
পক্ষকাল সংবাদ ডেস্ক -
ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেছেন, ‘গত শুক্রবার থেকে রোববার পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় যেসব সরকারি-বেসরকারি স্থাপনা, আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি ও হিন্দুদের ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে তার সব দায় দায়িত্ব হরতাল আহ্বানকারী হেফাজতে ইসলামকেই নিতে হবে।’
সোমবার (২৯ মার্চ) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, ‘গত ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠানের দিন বিকেল ৩টার পর থেকেই হেফাজতিরা শহরে তাণ্ডব শুরু করে। তারা রেলস্টেশন ভাঙচুর করে কন্ট্রোল প্যানেল জ্বালিয়ে দিয়েছে। এরপর থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় সব ট্রেনের যাত্রা বিরতি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এই প্রথম রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে হামলা করা হয়েছে।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘গত রোববার বেলা ১১টার পর হেফাজতিরা বিনা উস্কানিকে শহরে তাণ্ডব লীলা চালায়। হামলার সময় সদর থানা থেকে মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে যে, ‘বিক্ষোভকারী ভাইয়েরা আপনারা আমাদের ওপর ঢিল ছুঁড়বেন না, আমরা আপনাদের সাথে আছি’ মাইকে এই ঘোষণা শোনার পর হামলাকারীরা বিপুল উৎসাহে একের পর এক সরকারি-বেসরকারি স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে।’
তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এই পর্যন্ত কোনও হরতালে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে হামলা হয়নি। কিন্তু এবারই তারা পর্যায়ক্রমে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকারের বাড়ি, তার শ্বশুরবাড়ি, তার কার্যালয়, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদৎ হোসেন শোভনের বাড়ি, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রবিউল হোসেন রুবেলের বাড়ি, পৌর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক জামাল খানের বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়।’
এছাড়াও তারা এসিল্যান্ডের কার্যালয়, জেলা পরিষদ, পৌরসভা কার্যালয়, জেলা ক্রীড়া সংস্থার কার্যালয়, পৌর মিলনায়তন, জেলা শিল্পকলা একাডেমি, সুরসম্রাট আলাউদ্দিন খাঁ সঙ্গীতাঙ্গন ও শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ভাষা চত্বরে অনুষ্ঠিত জেলা প্রশাসন আয়োজিত দুই দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার প্যান্ডেল ভাঙচুর করে আগুনে জ্বালিয়ে দেয়।
‘হামলাকারীরা বিজিএফসিএলের কার্যালয়, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী মন্টুর বাসভবন, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাব, পৌর মেয়র মিসেস নায়ার কবিরের বাসভবন, সরকারি গণগ্রন্থাগার, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাব, সুহিলপুর ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়, মাতৃসদন, হিন্দু সম্প্রদায়ের সবচেয়ে পুরাতন ও প্রধান মন্দির আনন্দময়ী কালীবাড়িতে হামলা-ভাঙচুর করে। এমনকি তারা বঙ্গবন্ধু স্কয়ারসহ বিভিন্ন স্থানে একাধিক বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালও ভাঙচুর করে।’
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জানান, শুক্রবার তাণ্ডব চালিয়ে তারা সার্কিট হাউসের সামনে রাখা ডিসিপুলের ৯টি গাড়ি, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, জেলা মৎস্য অফিস, সিভিল সার্জনের কার্যালয় ভাঙচুর করে। হামলাকারীরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজউদ্দিন জামিকে হত্যার উদ্দেশে মারধর করে। আরও অনেক সাংবাদিককে নাজেহাল করে বলেও জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে মোকতাদির চৌধুরী এমপি বলেন, হামলা-তাণ্ডবের সময় প্রশাসন নিরব ছিল। ফায়ার সার্ভিসের কোনও ভূমিকা ছিল না। প্রশাসন একটু সক্রিয় হলে ক্ষয়ক্ষতি অনেকটাই কম হতো।
তিনি জানান, হামলার সময় তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর থানার ওসি, পুলিশের আইজিপি, কেবিনেট সেক্রেটারিসহ সরকারের একাধিক মন্ত্রী ও প্রভাবশালী অনেক আমলার সঙ্গে কথা বলেছেন, কিন্তু কোনও সাহায্য পাননি।
হামলার সময় কেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী নিষ্ক্রিয় ছিল এমন প্রশ্নের উত্তরে সংসদ সদস্য মোকতাদির বলেন, সেটা তারাই ভালো বলতে পারবেন। এর আগে ২০১৬ সালের ১২ জানুয়ারি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হওয়া তাণ্ডব এবং নাসিরনগরে সংখ্যালঘুদের ওপর হামলার যদি বিচার হতো তাহলে গত শুক্রবার ও রোববার ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হামলা করতে তারা সাহস পেত না।
মোকতাদির চৌধুরী এমপি আরও বলেন, ‘আমরা যদি দলীয়ভাবে প্রতিরোধের চেষ্টা করতাম, তাহলে অনেক রক্তপাত হতো। আমরা রক্তপাত এড়াতে চেয়েছি। হামলার ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করে প্রশাসন কেন ভূমিকা নিল না, তাদের স্ব-স্ব ডিপার্টমেন্টাল তদন্ত করার দাবি জানান র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল-মামুন সরকার, সহ-সভাপতি তাজ মোহাম্মদ ইয়াছিন, মুজিবুর রহমান বাবুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী মন্টু প্রমুখ।



এ পাতার আরও খবর

কক্সবাজারে সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক মাফিয়া  স্বামী-স্ত্রী দুইজন কক্সবাজারে সবচেয়ে বড় প্রশাসনিক মাফিয়া স্বামী-স্ত্রী দুইজন
সমালোচনার মুখে থানায় যাওয়ার কারণ বললেন হান্নান মাসউদ সমালোচনার মুখে থানায় যাওয়ার কারণ বললেন হান্নান মাসউদ
অবসরে যাওয়া দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর পারিবারিক সম্পত্তির দাবিদারকে? অবসরে যাওয়া দুর্নীতিবাজ আহমদ আলীর পারিবারিক সম্পত্তির দাবিদারকে?
বগুড়ায় ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার বগুড়ায় ফেন্সিডিলসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেপ্তার
কর পরিদর্শক মনির হোসেন’র হাতে আলাদিনের চেরাগ কর পরিদর্শক মনির হোসেন’র হাতে আলাদিনের চেরাগ
সরকারি বই কেজি দরে বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন সরকারি বই কেজি দরে বিক্রির প্রতিবাদে মানববন্ধন
আমার ছেলেকে তার দুইজন সহপাঠী ডেকে নিয়ে গিয়েছিলো আমার ছেলেকে তার দুইজন সহপাঠী ডেকে নিয়ে গিয়েছিলো
বেনজির ও মেয়ের নামে থাকা দুবাই এ একটি ফ্লাট দুটি ব্যাংক হিসাব জব্দ বেনজির ও মেয়ের নামে থাকা দুবাই এ একটি ফ্লাট দুটি ব্যাংক হিসাব জব্দ
গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতকে সংগঠনগত বিচারের আওতায় আনা উচিত -বাংলাদেশ জাসদ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতকে সংগঠনগত বিচারের আওতায় আনা উচিত -বাংলাদেশ জাসদ
আমু নানক’র অস্ত্রধারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী মিলন কি আইনের ঊর্ধ্বে আমু নানক’র অস্ত্রধারী বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী মিলন কি আইনের ঊর্ধ্বে

আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)