শনিবার, ৩ জানুয়ারী ২০১৫
প্রথম পাতা » » রাজনৈতিক দৃষ্টি এখন মার্শিয়ার দিকে
রাজনৈতিক দৃষ্টি এখন মার্শিয়ার দিকে
পক্ষকাল ডেস্ক, ওয়াশিংটন : সম্প্রতি বাংলাদেশে নবনিযুক্ত হয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন রাষ্ট্রদূত মার্শিয়া স্টিফেন্স ব্লুম বারনিক্যাট। নবনিযুক্ত এই রাষ্ট্রদূতকে নিয়ে দেশের রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক মহলে শুরু হয়ে গেছে নানা জল্পনা-কল্পনা।
জানা গেছে, এ মাসের শেষ সপ্তাহেই নতুন এ কূটনীতিক বাংলাদেশে আসছেন। আর মার্কিন কূটনীতিকের দৃষ্টিভঙ্গিকে প্রভাবান্বিত করতে রাজনৈতিক মহলে শুুরু হয়ে গেছে নানা তৎপরতা।
গত৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে আগেই নেতিবাচক মনোভাব প্রকাশ করেছিলেন তিনি। আর এ বিষয়টিকেই কাজে লাগাতে চায় বিএনপি। এ কারণে মার্শিয়া বাংলাদেশে যোগদানের আগেই চলতি জানুয়ারি মাসটিতে বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে মাঠ গরম রাখতে চায় গত৫ জানুয়ারি নির্বাচন থেকে বেরিয়ে আসা দেশের বৃহৎ এ রাজনৈতিক দলটি।
অন্যদিকে ক্ষমতাসীনদের নজরও রয়েছে এ বিষয়টি। তারাও চাইছে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের আগেই মার্শিয়ার কাছে সরকার ও৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরতে। তাই এ নিয়ে সরকারের কূটনৈতিক তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। পাশাপাশি বিএনপি’র কর্মসূচির ওপরও নিয়ন্ত্রন রাখতে চায় ক্ষমতাসীনরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র গত ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে এখন অনেকটাই নমনীয়। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরো জোরদারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। নতুন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অবশ্যই তার ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখবে।
তবে সদ্য বিদায়ী মার্কিন কূটনীতিক ড্যান ডব্লিউ মোজেনা যাওয়ার আগেও বলে গেছেন যে, বাংলাদেশে নির্বাচন নিয়ে মার্কিন অবস্থান এখনও অপরিবর্তিত। তাই বিষয়টা এখনো ধোয়াশায়ই রয়েছে। সবার দৃষ্টি এখন তাই মার্শিয়ার আগমনের দিকে।
এ বিষয়ে কূটনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ৫ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র কৌশলী ভূমিকা নিয়েছে। সরাসরি কোনো বক্তব্য তারা দিচ্ছে না। মার্শিয়াও হয়তো সেটাই করবেন। তিনি তার সরকারের প্রতিনিধিত্ব করবেন। তবে আমাদেরকে নিজেদের স্বার্থটা ভাবতে হবে। সবচেয়ে বড় স্বার্থের জায়গা হলো যুক্তরাষ্ট্রেরবাজারে আমাদের শুল্কমুক্ত সুবিধার বিষয়টি। সেখানে রাজনৈতিক এবং কূটনৈতিক সম্পর্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
আমেরিকান সেন্টার সূত্র জানিয়েছে, গত বছরের মে মাসেই মার্শিয়া বারনিক্যাটকে বাংলাদেশের পরবর্তী রাষ্ট্রদূত হিসাবে নিয়োগ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা। মে মাস থেকেই বাংলাদেশের রাজনৈতিক অবস্থা, সরকারের মনোভাব এবং যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বি-পাক্ষিক সম্পর্কসহ বিভিন্ন দিক পর্যবেক্ষণ করছেন বারনিক্যাট। বারনিক্যাট একজন দক্ষ কূটনীতিক। পেশা জীবনের শুরু থেকেই কূটনৈতিক কোরে যুক্ত হন তিনি। শুরুর দিকে তিনি যুক্তরাষ্ট্রেরপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও ফ্রান্স এর মার্সেইতে কন্স্যুলার অফিসার জন হোয়াইটহেড এর বিশেষ সহকারী হিসাবে কাজ করেন। এরপর মালির বামাকোতে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের রাজনৈতিক অফিসার ও কনস্যুলার হিসাবে কাজ করেছেন।
জানা যায়, ২০০৮ থেকে ২০১১ পর্যন্ত মার্শিয়া সেনেগাল ও গিনি-বিসাউ এর রাষ্ট্রদূত হিসাবে কাজ করেছেন। ২০০৬ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রেরপররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক অফিস পরিচালক হিসাবে মার্শিয়া ভারত, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপ এবং ভুটানে কাজ করেছেন তিনি।




বেতন-বোনাস’র টাকায় তিতাস গ্যাস পিয়ন হেলাল’র কয়েক কোটি টাকার সম্পদ
“সাম্রাজ্যবাদের পুতুল নয়, প্রকৃত জনগণের সরকার চাই”-বামপন্থী নেতা মোশরেফা মিশু
ভূমি সেবা সত্যিকারার্থে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছেছে: ভূমি সচিব
জরিপ এলাকা গরীব”" সিদ্ধিরগঞ্জে বিডিএস জরিপ’র রেকর্ড হস্তান্তরে সার্ভেয়ার হাফিজ-মারুফ গংদের ঘূষ বাণিজ্য রুখবে কে?
খাগড়াছড়িতে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা ও স্বাধীনতা নিশ্চিতের দাবিতে মানববন্ধন ও কর্মবিরতি
বিএনপি নেতা হাবিবুল্লাহ রানার চাঁদাবাজি ও মামলা বাণিজ্যে অতিষ্ঠ দীঘিনালা উপজেলাবাসী
নেপালের কমিউনিস্ট পার্টি (মাওবাদী কেন্দ্র) কেন্দ্রীয় কমিটি ভেঙে দিল
সেন্ট মার্টিন : পরিবেশ না মানুষ—কাকে বেছে নেবে রাষ্ট্র?
আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট এবং বাংলাদেশে সম্ভাব্য চ্যালেঞ্জ