শিরোনাম:
ঢাকা, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৭ আষাঢ় ১৪৩২

Daily Pokkhokal
রবিবার, ২ এপ্রিল ২০১৭
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » উখিয়ায় ঝুকি নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সাঁকো পারাপার
প্রথম পাতা » জেলার খবর | ব্রেকিং নিউজ » উখিয়ায় ঝুকি নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সাঁকো পারাপার
৩০৫ বার পঠিত
রবিবার, ২ এপ্রিল ২০১৭
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

উখিয়ায় ঝুকি নিয়ে ছাত্র ছাত্রীদের সাঁকো পারাপার

---কনক বড়ুয়া, উখিয়া (কক্সবাজার)
উখিয়া উপজেলার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের উত্তরকূল পাতাবাড়ীস্থ রেজু খালের ওপর একটি এক বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করেছে গ্রামবাসী। যাতে ওপারের সঙ্গে সহজে যোগাযোগ বা যাতায়াত করা যায়। ওই গ্রামটিতে প্রায় ৫হাজারের অধিক জনসংখ্যা রয়েছে। খালটির পূর্বদিকে অবস্থিত পার্বত্য বান্দরবান জেলার নাইক্ষ্যংছড়ি ওয়ালাডং পাহাড়। পশ্চিমে উখিয়ার সোনারপাড়া রেজুনদী। খালে উত্তর পাশের পাতাবাড়ী উত্তরকূল গ্রামটিতে নেই কোন সরকারী-বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্টান। তাই তাদেরকে পড়ালেখা জন্য আসতে হয় দক্ষিণে পাশের্^র পাগলির বিল, দক্ষিণপাতাবাড়ী শিক্ষা প্রতিষ্টানে। এসব বিদ্যালয়ের বেশিরভাগ শিশু উত্তরকূল থেকে। কারণ বিদ্যালয় গুলো নিকটবর্তী হলেও খালটি কারণে বড় বাধা। উত্তরকূল গ্রামের শিশুরা বিদ্যালয়ে যেমন নিয়মিত পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে ঠিক তেমনি বিদ্যালয়ে যাতায়াতের ক্ষেত্রেও প্রতিদিন তাদেরকে আরেকটি পরীক্ষা দিতে হয়। বিদ্যালয়ের পরীক্ষায় ফেল করলে পরবর্তীতে পাসের সুযোগ থাকে। কিন্তু যাতায়াতের ক্ষেত্রে ফেল করলে জীবন নিয়ে টানাটানি। এই বাঁশের সাঁকোটি শিশুদের কাছ থেকে এ পরীক্ষা নিচ্ছে। পাতাবাড়ী উত্তরকূল গ্রামের জাহেদ (৩০) বলেন, বিগত সময়ে উখিয়ায় যতোগুলো নির্বাচন হয়েছে তার প্রত্যেকটিতে প্রার্থীরা এখানে এসে খালের ওপর সাঁকোর স্থলে একটি সেতু নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। কিন্তু কেউ কথা রাখেননি। বর্ষাকালে আমাদের গ্রামের শিশুরা ওই সাঁকো দিয়ে বিদ্যালয়ে যেতে পারে না। সে সময়টা তাদের লেখাপড়া বন্ধ থাকে। এসব শিশুদের কথা চিন্তা করে কক্সবাজারস্থ একটি সেচ্ছাসেবী সংগঠন উপকূলীয় এনজিও সংস্থার প্রধান নির্বাহী নুরুল আমিন ছিদ্দিক স্ব-উদ্যোগে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেছেন বিদ্যালয়টির নাম দিয়েছেন গ্রামীন শিশু বান্ধব পাঠশালা। এই বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টার কারনে সেখানকার অসহায় হতদরিদ্র শিক্ষা বঞ্চিত অন্তত শতাধিক ছাত্র/ছাত্রীদের পড়ালেখার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। যাহা ইতিমধ্যে উপজেলা শিক্ষা অফিসার সুব্রত কুমার ধর বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন। এলাকাবাসী বিদ্যালয়টি প্রতিষ্টা হওয়ায় অনেক খুশি।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপ-সহকারি প্রকৌশলী সোহারাব হোসেন বলেন, এলাকাটি জনবহুল হলে অবশ্যই পরিদর্শন করে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট সাকোঁর উপর একটি সেতু নির্মাণের আবেদন পাঠানো হবে।



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)