বছরজুড়ে জি-সিরিজের দখলে অডিও বাজার
![]()
ফাহিম ফয়সাল: অডিও বাজারকে ঘিরে সঙ্গীত সংশ্লিষ্টদের নিকট ২০১৪ সালটি ছিলো অনেক আশা-আকাঙ্খার একটি বছর। কিন্তু শিল্পী, গীতিকার, সুরকার, সঙ্গীতপরিচালক ও অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে মতানৈক্যের কারনে এ বছরেও অডিও বাজারের খরা কাটেনি।
বরাবরের মত এ বছরও বিভিন্ন উৎসবকে ঘিরে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাঝে অ্যালবাম প্রকাশের প্রতিযোগিতা লক্ষ্য করা গেছে। এই মন্দা সময়েও অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো কিভাবে শত-শত অ্যালবাম প্রকাশ করেছে; এটি অনেকের কাছে বড় প্রশ্ন।
এ বিষয়ে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বত্ত্বাধিকারীদের প্রশ্ন করা হলে, তারা এর কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। তবে সংশ্লিষ্টরা জানায়, মেধাবী ও জেষ্ঠ্য শিল্পীরা শুরুতে নিজের পকেটের টাকা খরচ করে অ্যালবাম নির্মাণ করলেও অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের অ্যালবামের চাহিদা নেই বলে; অনেকটা বিনামূল্যে অ্যালবাম দিয়ে দিতে বলেন। আর তাতেই শিল্পীরা অ্যালবাম নির্মাণ করেও প্রকাশ থেকে বিরত থাকেন।
তাহলে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো টিকে আছে কিভাবে, অ্যালবামগুলোই প্রকাশ করছে সেগুলোর শিল্পী কারা এ বিষয়ে অনুসন্ধানে বেড়িয়ে আসে।
জানা যায়, এ বছর প্রকাশিত অ্যালবামগুলোর মধ্যে পরীক্ষিত ও মেধাবী শিল্পীদের অংশগ্রহণ ছিলো খুবই কম। কিন্তু প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো যেসব অ্যালবাম প্রকাশ করেছে, এর মধ্যে অধিকাংশ অ্যালবামই ছিলো নতুন ও সখের বসে গান গাইতে আসা শিল্পীদের। তাই অ্যালবামগুলোর অধিকাংশই মুখ থুবড়ে পড়ে।
আর এরকম শিল্পীদের নিয়ে অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর আগ্রহ বেশী থাকার কারন হচ্ছে, নতুন ও সখের বসে গান গাইতে আসা শিল্পীরা নিজেদের পকেটের টাকা খরচ করেই অ্যালবাম প্রকাশ করে। আর তাতেই প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলো কোন প্রকার বিনিয়োগ করা ছাড়াই নতুন নতুন সব অ্যালবাম পেয়ে যাচ্ছে।তবে এসব অ্যালবামের মাঝে মানসম্পন্ন শিল্পী, গান ও অ্যালবাম থাকলেও মানহীন শিল্পী, গান ও অ্যালবামের কারনে শেষ পর্যন্ত সেগুলো আলোর মুখ দেখতে পায়নি।
এদিকে নতুনদের মাঝে অনেক মেধাবী শিল্পী থাকলেও শুধুমাত্র পৃষ্ঠাপোষকতার কারনেই তারা সঙ্গীতের ভূবনে আলো ছড়াতে সক্ষম হচ্ছে না।
এর পাশাাপাশি ‘পাইরেসি’র কালো থাবাতো রয়েছেই। এ কারনে অনেক ভালো গানও অডিও বাজারে ব্যবসা সফল হতে পারেনি। পাইরেসি রোধে বরাবরের মত অনেক পদক্ষেপ নেয়া হলেও ‘শর্ষের ভেতর ভুত’ এর মতই অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানগুলোর দিকেই অভিযোগের তীর।
![]()
এবছর অডিও বাজারের শীর্ষস্থানটি দখলে রেখেছিলো ‘জি-সিরিজ’ ও এর অঙ্গপ্রতিষ্ঠান ‘অগ্নিবীণা’। মূলত ব্যান্ডের অ্যালবামই বেশি প্রকাশ করে এ প্রতিষ্ঠানটি। কিন্তু এ বছর ব্যান্ডের পাশাপাশি শিল্পীদের একক অ্যালবাম প্রকাশেও তারা বেশ মনোযোগী ছিলো।এই প্রতিষ্ঠানটি ব্যবসা ও নিজস্ব দক্ষতার বলে সারা দেশের অডিও বাজার দখলে রাখে। কিন্তু মানসম্পন্ন সম্মানী ও রয়্যালিটি থেকে শিল্পীদের বঞ্চিত করে এমন অভিযোগও রয়েছে।
জি-সিরিজের পর অ্যালাবাম প্রকাশের দিকে এগিয়ে ছিলো ‘লেজার ভিশন’, ‘সিডি চয়েস’ ও ‘সংগীতা’। এছাড়া অন্যান্য অডিও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অ্যালবাম প্রকাশের ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখলেও তেমন সুবিধা করতে পারেনি।
এই প্রতিষ্ঠানগুলো এখন গানের অ্যালবামের পাশাপাশি বিভিন্ন টিভি নাটক, টেলিফিল্ম, সিনেমার ডিভিডি প্রকাশেও বেশ মনযোগী।
তবে প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের ব্যবসা অব্যাহত রাখলেও শিল্পী, গীতিকার, সুরকার ও সঙ্গীতপরিচালকদের যথাযথ সম্মানী না দেয়ায় অডিও বাজার দখল করছে মানহীন অ্যালবাম ও গান।





‘দ্য বেঙ্গল ফাইলস’ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার আশঙ্কা
সেনা সদরের চিঠির অপব্যাখ্যা করা হয়েছে : আইএসপিআর
চরপাড়া টাইমস প্রকাশিত: প্রতিবেদক: কলমচোর কুদ্দুস
সম্পাদকীয় নিবন্ধ “সামাজিক ব্যবসা” রাষ্ট্রের বিকল্প নয়, গণতন্ত্রের বিকল্প নয় বরং এটি অপশাসনের নতুন মুখোশ
ইউক্রেনে রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় নিহত ১৭- ইউক্রেনের হামলায়রাশিয়ার ব্ল্যাক সি ফ্লিটের জাহাজ ধ্বংস
সাবেক এমপি শিল্পী মমতাজ গ্রেপ্তার
শিল্পের গলায় শিকল, ন্যায়বিচার কি এখনো চরিত্রভিত্তিক নির্বাচিত হয়?
‘স্বর্গ নয়, নরক’, পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পর কাশ্মীরিদের জন্য কী লিখলেন সলমন খান?
ইসরায়েলি অভিনেত্রী থাকায় সিনেমা নিষিদ্ধ
শাওনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি