শিরোনাম:
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২

Daily Pokkhokal
শনিবার, ১৩ জুন ২০১৫
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মঠবাড়িয়ায় আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের অভিযোগ
প্রথম পাতা » জেলার খবর » মঠবাড়িয়ায় আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের অভিযোগ
২৬৭ বার পঠিত
শনিবার, ১৩ জুন ২০১৫
Decrease Font Size Increase Font Size Email this Article Print Friendly Version

মঠবাড়িয়ায় আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের অভিযোগ

---
জুলফিকার আমীন সোহেল, মঠবাড়িয়া : রক্ষক যদি ভক্ষকের ভুমিকায় অভিনয় করে তাহলে সাধারণ মানুষে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা কমে যায় । ঠিক এমনটাই ঘটেছে পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার গুলিসাখালী মৌজার জে এল-৪৮,এস এ খতিয়ান নং-৪৫৯ দাগ নং-৩১৯ এর ১.৩৪ একর জমির ওপর। মঠবাড়িয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) (এসিল্যান্ড)ও এডভোকেট জামাল হোসেন আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে জমি দখলের পায়তারা চালাচ্ছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এঘটনার ভূক্তোভোগী মো. শুক্কুর মিয়া (দুলাল) প্রতিকার চেয়ে মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন। দুলাল গুলিমাখালী গ্রামের মৃতঃ ওয়াজেদ আলী হাওলাদারের পুত্র।
অভিযোগে জানাগেছে, ওই জমি নিয়া মোকাম মঠবাড়িয়া সিনিয়র সহকারী জজ আদালতে দেওয়ানী মোকদ্দমা ১৯/০২ ও ৬২/০২ বিচারাধীন রয়েছে। এছাড়াও আদালতের ওই জমির ওপর গত ২৭ নভেম্বর‘০৮ ও ১৮ এপ্রিল‘০২ তারিখের আদেশে স্থিতিবস্থা বজায় রাখার আদেশ হয় যাহা এখন পর্যন্ত বলবৎ আছে। কিন্তু সবকিছু উপেক্ষা করে সম্প্রতি এসিল্যান্ড ও সার্ভেয়ার ওই জমিতে পিলার বসান এবং এডভোকেট জামাল হোসেন মাটি কাটার চেষ্টা করেন। দুলাল বিষয়টি থানায় লিখিত ভাবে জানালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। এদিকে পিলার বসানোর এক দিনের মাথায় রাতের আঁধারে  কে বা কাহারা পিলারগুলো ভেঙে ফেলেছে।
এব্যপারে এডভোকেট জামাল হোসেন জানান, তিনি দুলালের বোন ও চাচার নিকট থেকে সাড়ে ২৪ শতাংম জমি তিনি ক্রয় করেছেন। জমিতে স্থিতিবস্থা প্রসংগে তিনি বলেন দুটি মামলা খারিজ হয়ে গেছে।
দুলাল জানান, ওই জমির ওপর মোট ৫টি মামলা করা হয়। দুটি মামলা খারিজ হয়ে গিয়াছিলো। সেগুলোকে পুঃণজিবীত করা হয়েছে বলে তিনি দাবী করেন।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান হারুণ আর রশীদ পিলার বসানোর সত্যতা স্বীকার করে বলেন আমার জানা মতে ওই জমি এসিল্যান্ড অফিসের। একই দাগে অনেক সম্পত্তি হয়তো ওই সিমানার পরের জমি দুলালের হবে।
দুলাল দাবী করেন,জমির দাগ খতিয়ান সবই এক। তাহলে তারা সামনের অংশ না নিয়ে পিছনের অংশ নিচ্ছেন না কেন ? তাছাড়া এখন পর্যন্ত ওই জমির ওপর আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞা বলবৎ আছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আহসান হাবীব জানান, ওই দাগে অনেক জমি আমরা সরকারী জমি উদ্ধারের চেষ্টা করছি। দুলালের বিরোধীয় জমিতে এসিল্যান্ড, সার্ভেয়ার কেহই যায়নি। তিনি মনে করেন সরকারী জমি উদ্ধারে সকলের সহযোগিতা করা উচিৎ।
সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সহ ১৬জনের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ



আর্কাইভ

পাঠকের মন্তব্য

(মতামতের জন্যে সম্পাদক দায়ী নয়।)