কুড়িগ্রাম জেলায় স্বাস্থ্য প্রশাসনে হযবরল অবস্থা
কুড়িগ্রাম থেকে মোঃ রফিকুল ইসলামঃ
কুড়িগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য প্রশাসনের দায়িত্বহীনতার কারণে ভেঙ্গে পড়েছে স্বাস্থ্য প্রশাসন। জেলা জুড়ে ভূয়া ডাক্তার কবিরাজের ছড়াছড়ি, যেন দেখার কেউ নেই।
কুড়িগ্রাম জেলায় বর্তমান সময়ে হাতুড়ে ডাক্তার, কবিরাজ ও ভূয়া ডাক্তারের কারণে সাধারণ মানুষজন স্বাস্থ্য সেবা পেতে গিয়ে নানা রকম হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে কয়েকদিনের ট্রেনিং নিয়েই ডাক্তার সেজে প্রাইভেট চেম্বার খুলে সাইনবোর্ড টাঙ্গিয়ে রোগী দেখছেন অনেকেই। বিগত সময়ে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমান মাঝে মধ্যেই হাতুড়ে দন্ত চিকিৎসকদের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও তাদের অনেকেই কয়েকদিন জেল খেটে জরিমানার টাকা জমা দিয়ে পুনরায় চেম্বারে রোগী দেখছেন। এদের বিরুদ্ধে শুধুমাত্র আইনী ব্যবস্থা নয়, স্বাস্থ্য সেবার নামে যারাই অপকর্ম করছে তাদের বিরুদ্ধেই প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া জরুরী হয়ে পড়েছে। কুড়িগ্রাম জেলায় কোন প্রকার সনদ ছাড়াই অনেকে হোমিও ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ভূয়া কাগজপত্রের মাধ্যমে অপকর্ম চালাচ্ছেন। অথচ ডিএইচএমএস ও এলএইচএমপি পাশ করেও ওই সকল অপচিকিৎসকদের সাথে পাল্লা দিতে পাচ্ছে না তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে হাতুরে ডাক্তাররা অবস্থান করায় নিজেদের পরিচিতি ব্যাপক হওয়ায় অপকর্ম চালানে তারা সুযোগ পাচ্ছে। শুধু মাত্র সিভিল সার্জন কার্যালয়ে কাগজে কলমে ক্লিনিক অনুমোদনের কাগজপত্র জমা করেই ডাক্তার নার্স ছাড়াই বিভিন্ন উপজেলায় ক্লিনিক ব্যবসা জমজমাট ভাবে চলছে। নাগেশ্বরীর একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে এবং উলিপুরের একটি প্রাইভেট ক্লিনিকে এধরনের অপকর্ম সবচেয়ে বেশি হয় বলে বিভিন্ন সুত্র জানিয়েছে।
সরেজমিন অনুসন্ধানেও বিষয়টির সত্যতা পাওয়া গেছে। আবার অনেকেই শুধুমাত্র ড্রাগ লাইসেন্স নিয়েই নিয়মনীতিমালা তোয়াক্কা না করে হোমিও চেম্বারে ¯িপরিট বা এ্যালকোহোল দেদাচ্ছে বিক্রি করছে। কুড়িগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস সব কিছু দেখেও না দেখার ভান করে চলছে। অনেকের অভিযোগ জেলায় স্বাস্থ্য সেবার নামে যে পরিমাণ দুর্নীতি হয়, তার কিছু কমিশন স্থানীয় স্বাস্থ্য প্রশাসন বখরা হিসেবে পেয়ে থাকেন।