
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ | রাজনীতি » শাহবাগে ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো’ আন্দোলন: মুখোশের আড়ালে জঙ্গিবাদী উত্থান
শাহবাগে ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো’ আন্দোলন: মুখোশের আড়ালে জঙ্গিবাদী উত্থান
লোকাল ডেক্স সংবাদ :
আওয়ামীলীগ নিষিদ্ধের দাবী নিয়ে সম্প্রতি ঢাকার শাহবাগে চলমান বিক্ষোভ, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করো’ দাবিতে মাদ্রাসা ছাত্রদের নিয়ে আয়োজিত এই কর্মসূচি শুধু একটি রাজনৈতিক বক্তব্য নয়, বরং এর ভেতরে লুকিয়ে আছে উগ্র মৌলবাদ ও আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদের ছায়া।
বিক্ষোভকারীদের হাতে ISIS-এর পতাকা, আরবী ভাষায় স্লোগান এবং শরীয়াহভিত্তিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার দাবি—এই সবকিছুই প্রমাণ করে, এটি একটি সুপরিকল্পিত জঙ্গিবাদী এজেন্ডার বহিঃপ্রকাশ।
কেন এখন এই আন্দোলন?
পাকিস্তান সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে একটি সংঘর্ষে চরমভাবে পরাজিত হয়েছে। এই পরাজয় শুধু সামরিক নয়, আদর্শিক। বাংলাদেশে এখনো সক্রিয় পাকিস্তানপন্থী গোষ্ঠীগুলো, বিশেষ করে রাজাকার-আদর্শে বিশ্বাসীরা, এই পরাজয়ে আতঙ্কিত। কারণ, তারা ভালো করেই জানে—পাকিস্তানের এই পরাজয়ের কারনে যেকোনো সময় আওয়ামী লীগ এবং মুক্তিযুদ্ধপন্থী প্রগতিশীল শক্তির পুনরোত্থান ঘটতে পারে, যা এই জঙ্গী ভাবধারার রাজনীতিকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করে দিতে পারে।
এই ভয় থেকেই তারা মরিয়া হয়ে উঠেছে। শাহবাগে বিক্ষোভ আয়োজন, ছাত্রদের সামনে রেখে আইএস পতাকা বহন, সব মিলিয়ে এক ভয়ঙ্কর জঙ্গি রাষ্ট্র গঠনের প্রচেষ্টা আমাদের চোখের সামনে বাস্তব হয়ে উঠছে।
আওয়ামী লীগ কেন টার্গেট?
আওয়ামী লীগ শুধু একটি রাজনৈতিক দল নয়—এটি মুক্তিযুদ্ধ, অসাম্প্রদায়িকতা ও গণতন্ত্রের প্রতীক। পাকিস্তানপন্থীদের চোখে এই দল হলো তাদের আদর্শিক শত্রু। তাই আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আন্দোলনের নামে তারা আসলে ১৯৭১-এর অর্জন, জাতীয় পরিচয় এবং রাষ্ট্রীয় আদর্শের বিরুদ্ধেই যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
বাংলাদেশ সাংবিধানিকভাবে একটি গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে, রাজনৈতিক বিরোধিতার অধিকারও থাকবে। কিন্তু সেই স্বাধীনতার সুযোগ নিয়ে যদি কেউ আন্তর্জাতিক জঙ্গিবাদকে প্রশ্রয় দেয়, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির পুনরুত্থানের চেষ্টা করে—তাহলে তা প্রতিহত করাই জাতীয় দায়িত্ব।
এই আন্দোলনকে হালকাভাবে দেখার সুযোগ নেই। যারা আজ আইএস পতাকা হাতে শাহবাগে দাঁড়িয়েছে, তারা আগামীকাল রাস্তায় রক্ত ঝরাতেও পিছপা হবে না—ইতিহাস আমাদের তাই বলে।
এই মুহূর্তে দরকার জাতীয় ঐক্য, সতর্কতা ও সোচ্চার অবস্থান। দল-মত-ধর্ম নির্বিশেষে সবাইকে বুঝতে হবে—এ লড়াই কেবল আওয়ামী লীগ বা কোনো নির্দিষ্ট দলের নয়, এ লড়াই বাংলাদেশের অস্তিত্ব ও ভবিষ্যতের।