
শনিবার, ১০ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » অপরাধ » শেখ সেলিম ও শেখ পরশ’র বিশ্বস্ত সহযোগী আমির এখন নব্যজাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক
শেখ সেলিম ও শেখ পরশ’র বিশ্বস্ত সহযোগী আমির এখন নব্যজাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক
শেখ সেলিম ও শেখ পরশ’র বিশ্বস্ত সহযোগী আমির এখন নব্যজাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক (পর্ব-১)
বিশেষ প্রতিনিধিঃ
৫ ই আগস্ট-০২৪ ইং তারিখে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আওয়ামীলীগ সরকারের পতনের পর যশোরের প্রয়াত এমপি টিপু সুলতান,আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম ও যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ’র বিশ্বস্ত সহযোগী আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরাচালান’র সক্রিয় সদস্য ও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার উপর হামলাকারী যুবলীগ নেতা আমির হোসেন এখন নব্য জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক।
অনুসন্ধানে গিয়ে জানা যায়,নব্য জাতীয়তাবাদ ধারক যুবলীগ নেতা আমির হোসেন একসময় যশোরে প্রয়াত এমপি টিপু সুলতানের বিশ্বস্ত সহযোগী হিসাবে যশোর জেলার বিভিন্ন স্থানে মাদক ব্যবসা চোরা চালান সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে লিপ্ত ছিলেন। উল্লেখ্য যশোরের এমপি টিপু সুলতান জীবিত থাকা অবস্থায় আমির হোসেন কে সাথে নিয়ে প্রায়ই শেখ ফজলুল করিম সেলিমের বনানীর বাসায় যাতায়াত ছিলো,পরবর্তীতে এমপি টিপু সুলতান মারা যাওয়ার পর নব্য জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক যুবলীগ নেতা আমির হোসেন নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন কৌশলে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিমের আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন।শেখ সেলিমের আস্থাভাজান হয়ে ওঠার পর থেকে সুচতুর আমির হোসেন আন্তর্জাতিক স্বর্ণ চোরা চালান টেন্ডারবাজি দখল সহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পরবর্তীতে তৈরি করেন যশোর ও ঢাকা শহরে নিজস্ব সিন্ডিকেট।এখানে উল্লেখ থাকে যে ২০১৪/১৪ সাল থেকে বিএনপি সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলো আওয়ামী লীগ সরকারের পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন সময়ে হরতাল অবরোধ সহ আন্দোলন কর্মসূচিতে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার নেতৃত্বে বিএনপি’র নেতা কর্মীদের উপর হামলা চালানোর বহু অভিযোগ রয়েছে নব্য জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক আমির হোসেন’র বিরুদ্ধে। অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,শেখ ফজলুল করিম সেলিমের আশীর্বাদে আমির হোসেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ’র আস্থাভাজন হয়ে ওঠেন। যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও শেখ সেলিমের আস্থাভাজন হয়ে আমির কমলাপুর কাস্টমস (আইসিডি)ও পানগাও কাস্টমস হাউজ’র নিলাম প্রক্রিয়ায় আধিপত্য বিস্তার কারার জন্য পরবর্তীতে হাত মিলান আরেক কুখ্যাত চাঁদাবাজ রাজধানী সুপার মার্কেটে চাঁদাবাজির অভিযোগে র্যাবের ১০ এর হাতে গ্রেফতারের পরে তৎকালীন যুবলীগ চেয়ারম্যান ওমর ফারুক ও ক্যাসিনো সম্রাট এর হস্তক্ষেপে মুক্তি পাওয়া বিএনপি নেতাকর্মীদের উপর নির্বিচারে হামলাকারী দুর্নীতিবাজ ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম রেজার সাথে।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ৫ই আগস্ট-০২৪ ইং তারিখে পট পরিবর্তনের পর পলাতক আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ সেলিম,যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক পলাতক রেজাউল করিম রেজার দিকনির্দেশনায় যুবলীগ নেতা আমির হোসেন আওয়ামী লীগের গোপন এজেন্ডা বাস্তবায়ন ও বিএনপির রাজনৈতিক বিভিন্ন কর্মকান্ডের তথ্য পলাতক নেতাদের কাছে আগাম পৌঁছিয়ে দেওয়ার জন্য নব্যজাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক হয়ে ছদ্মবেশে কাজ করে যাচ্ছেন বলে বিশ্বস্ত কয়েকটি সূত্র থেকে জানা যায়।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায় যশোরের এক সময়ে প্রয়াত এমপি টিপু সুলতানের বিশ্বস্ত সহযোগী ও পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক কমলাপুর কাস্টমস হাউজের একক নিয়ন্ত্রক রেজাউল করিম রেজার বিশ্বস্ত সহযোগী যুবলীগ নেতা আমির হোসেন ৫ই আগস্ট পট পরিবর্তনের পর নব্য জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক হিসাবে নিজের প্রচার প্রচারণা চালানোর কারণে ১৭ বছর ধরে যারা আওয়ামী লীগ সরকারের জেল জুলুম হামলা মামলা অত্যাচার নির্যাতন নিপীড়ন সহ্য করেছিল সেই সকল নেতাকর্মীদের মাঝে নিরব ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক শাজাহানপুর আমতলা ও বাগিচা এলাকার বিএনপি যুবদল ও শ্রমিক দল ছাত্রদলের বেশ কয়েক জন নির্যাতিত নেতাকর্মী নব্যজাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক যুবলীগ নেতা আমির হোসেন এর বিষয়ে এই প্রতিবেদককে জানান,সাংবাদিক ভাই কষ্টে বুকটা ফেটে যাচ্ছে আমরা বিগত সতের বৎসর জেল জুলুম আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের হাতে অত্যাচার নির্যাতন সহ্য করেছি আমরা আর ৫ ই আগস্ট এর পর হঠাৎ করে যুবলীগ নেতা আমির হোসেন বিএনপি নেতা হয়ে আমাদের জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাসী নেতাকর্মীদের ভিতরে বিভেদ সৃষ্টি করছে।যার উদাহরণ ৭ই মে-০২৫ইং তারিখে কমলাপুর কাস্টমস হাউজ’র ভিতরে নব্য জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক যুবলীগ নেতা আমির হোসেন অতীতের ন্যায় তার আওয়ামী ফ্যাসিবাদের স্বরূপ প্রকাশিত করে আমাদের দলের নির্যাতিত নেতাকর্মীদের উপর হামলা চালায়।তারা আরো বলেন যুবলীগ নেতা আমির হোসেন এর মতো নব্য জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক গংদের কারণে এক দিকে আমাদের নেতা মির্জা আব্বাস ভাই এর ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে,তাই আমরা চাই যুবলীগ নেতা আমির হোসেনের মত যারা আমাদের নেতা মির্জা আব্বাস ভাই ও মির্জা পরিবারের নাম ভাঙ্গিয়ে নব্য জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক হিসাবে বিভিন্ন জায়গায় অপকর্ম করছে তাদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা নিয়ে জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির ভিতর থেকে নব্য জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক আওয়ামী দোসর মুক্ত করবেন ইনশাআল্লাহ।
যুবলীগ নেতা ও নব্য জাতীয়তাবাদী চেতনার ধারক আমির হোসেনের ৭ই মে-০২৫ ইং তারিখে ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পরবর্তীতে কমলাপুর কাস্টমস হাউজে কর্মরত বেশ কয়েক জন শ্রমিক এর সাথে কথা বলে ৭ই মে ঘটে যাওয়া ঘটনার সত্যতা পাওয়া যায়।কমলাপুর কাস্টমস হাউসে উক্ত ঘটনার সময় উপস্থিত থাকা কয়েক জন প্রত্যক্ষদর্শী প্রতিবেদককে জানান যুবলীগ নেতা আমির হোসেন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে কমলাপুর কাস্টম হাউজে শেখ সেলিম শেখ পরশ নাম ভাঙ্গিয়ে ঢাকা মহানগর যুবলীগ নেতা রেজাউল করিম রেজাকে নিয়ে কমলাপুর কাস্টম হাউজের নিলাম ক্ষমতার অপব্যবহার করে সরকারের কয়েক শত কোটি টাকার মালামাল নামমাত্র মূল্যে নিয়ে গেছেন। যুবলীগ নেতা আমির হোসেন আওয়ামী লীগের রাজনীতি করলেও ৫ই আগস্টের পর তিনি এখন বিএনপি হয়ে গেছেন যাহা দেখে আমরা নিজেরাই অবাক।এহেন দুর্নীতিবাজ দলবাজ দেশ ও জাতির শত্রু।