
বৃহস্পতিবার, ৮ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ » সুদী বাটপার ইউনুস সুদের ব্যবসা বুঝো। রাষ্ট্র,জনগণ,বিপ্লব ও বিপ্লবীদের রক্ত বোঝো না আবুতৈয়ব হাবিলদার
সুদী বাটপার ইউনুস সুদের ব্যবসা বুঝো। রাষ্ট্র,জনগণ,বিপ্লব ও বিপ্লবীদের রক্ত বোঝো না আবুতৈয়ব হাবিলদার
ফেসবুক পোষ্ট থেকে নেওয়া ঃসুদী বাটপার ইউনুস সুদের ব্যবসা বুঝো। রাষ্ট্র,জনগণ,বিপ্লব ও বিপ্লবীদের রক্ত বোঝো নাআবু তৈয়ব হাবিলদার-একটি নাম, যা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ইতিহাসে সাহস, ত্যাগ ও নেতৃত্বের প্রতীক হয়ে উঠেছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা হিসেবে তিনি ২০২৩ সালের ভোটাধিকার আন্দোলনের অন্যতম পুরোধা ছিলেন। ৪ আগস্ট শহীদ মিনারে অনুষ্ঠিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, “আমরা কেউ শহীদদের চিনতাম না, কিন্তু মনে হচ্ছিল যেন আমাদেরই ভাইদের হত্যা করা হয়েছে”
আবু তৈয়ব হাবিলদার শুধু বক্তৃতায় নয়, বাস্তব কর্মেও নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে সামরিক ও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে বঙ্গভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন। সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য তার দাবিকে যৌক্তিক বলে সমর্থন জানিয়েছিলেন, যা তার নেতৃত্বের প্রতি জনগণের আস্থা ও বিশ্বাসের প্রতিফলন।
বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বিরুদ্ধে তিনি সরব । তিনি অভিযোগ করেন যে, এই সরকার গণহত্যার বিচার করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং দুর্নীতিবাজদের প্রশাসনে প্রোমোশন দিয়েছে। তিনি রক্তপাতবিহীন ক্ষমতা হস্তান্তরের আহ্বান জানিয়ে বলেন, “২৪ জুলাই আগস্ট বিপ্লবের চেতনায় জন আকাঙ্ক্ষার বাংলাদেশ বিনির্মাণে দেশের দেশপ্রেমিক বিপ্লবী জনগণকে সাথে নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে”।
আবু তৈয়ব হাবিলদারের মতো নেতারা আমাদের স্মরণ করিয়ে দেন যে, গণতন্ত্র ও ন্যায়বিচারের জন্য সংগ্রাম কখনো থেমে থাকে না। তাঁর সাহসিকতা ও নেতৃত্ব ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য অনুপ্রেরণার উৎস হয়ে থাকবে
২০২৪ সালের ৪ আগস্ট, ঢাকার শাহবাগে হাজারো মানুষের হৃদয়ে গেঁথে থাকা এক বেদনাবিধুর দিন। এই দিনটি “৩৫ জুলাই” নামে পরিচিত, যা শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদিন পর এবং তার ভারত পালানোর আগের দিন। এই দিনটি বাংলাদেশের ইতিহাসে এক গভীর ক্ষত হয়ে রয়েছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে চারজন শহীদের নিথর দেহ শায়িত ছিল। তাদের মধ্যে ছিলেন ১৬ বছর বয়সী ইসমাইল হোসেন রাব্বি, যার কপালের মাঝখানে গুলি লেগে মাথার পেছন ভেদ করে বেরিয়ে যায়। তার রক্তাক্ত মুখে জমে থাকা রক্ত তখনও শুকায়নি। শহীদ মিনারে জড়ো হওয়া শত শত মানুষ কান্নায় ভেঙে পড়েন এবং স্লোগান দেন, “আমাদের ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।”
সেদিনের ঘটনার নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা আবু তোয়াব হাবিলদার। তিনি শহীদদের জন্য প্রার্থনা শুরু করলে, উপস্থিত সবাই তার সঙ্গে কাঁদতে কাঁদতে প্রার্থনায় অংশ নেন। তিনি বলেন, “আমরা কেউ কাউকে চিনতাম না, কিন্তু সবাই কাঁদছিলাম যেন নিজের ভাইকে হারিয়েছি।”
প্রার্থনা শেষে, হাবিলদার শহীদদের কাঁধে তুলে গণভবনের দিকে মিছিলের আহ্বান জানান। সেদিনের মিছিলের ভিডিও ভাইরাল হয়, যেখানে দেখা যায়, মানুষ স্লোগান দিচ্ছে, “শেখ হাসিনার ফাঁসি চাই” এবং “ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না।” মিছিলে বৃদ্ধ, স্কুলপড়ুয়া, নারী ও দাড়িওয়ালা পুরুষ-সবাই ছিলেন।
সন্ধ্যায়, মিছিলটি শাহবাগে পৌঁছালে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। হাবিলদার বলেন, “আমি দেখেছি, সেদিন শাহবাগে মানুষ গুলিতে আহত হচ্ছিল।”
এই ঘটনার পর, সরকার ৭০৮ জন শহীদের একটি খসড়া তালিকা প্রকাশ করে। তবে, অনেক পরিবার এখনও তাদের প্রিয়জনের ন্যায়বিচার এবং যথাযথ স্বীকৃতি পাননি।
এই দিনটি আমাদের স্মরণ করিয়ে দেয়, স্বাধীনতা ও ন্যায়বিচারের জন্য কত ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে। শহীদদের রক্ত যেন বৃথা না যায়, সেই প্রতিশ্রুতি আমাদের রাখতে হবে।
শফিকুল ইসলাম কাজল লন্ডন থেকে