
সোমবার, ৪ আগস্ট ২০২৫
প্রথম পাতা » » সরকার বদলেছে, চর্চা নয়: অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
সরকার বদলেছে, চর্চা নয়: অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছর নিয়ে টিআইবির উদ্বেগ
ঢাকা, ৪ আগস্ট ২০২৫ - গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রতিশ্রুতি নিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকার এক বছর পূর্ণ করলেও, মৌলিক প্রতিষ্ঠান গঠনে ব্যর্থতা এবং সংস্কারহীনতার ধারাবাহিকতা বাংলাদেশে কর্তৃত্ববাদী চর্চার অবসান নয়, বরং তার রূপান্তরকেই নির্দেশ করছে-এমনটাই বলছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। সংস্থাটির মতে, তথ্য ও মানবাধিকার কমিশনের অনুপস্থিতি এবং বিতর্কিত আইনের বহাল থাকা প্রমাণ করে, ক্ষমতার পরিবর্তন হলেও শাসনের ধরনে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসেনি।
সংস্কারহীনতা ও আইনি হুমকি
টিআইবির গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, নাগরিক অধিকার ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিতে প্রয়োজনীয় আইনি সংস্কার না হওয়ায় অন্তর্বর্তী সরকার কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয়েছে। বিশেষভাবে, নতুন সাইবার সুরক্ষা আইনের বিতর্কিত ধারা এবং বৈদেশিক অনুদান নিয়ন্ত্রণ আইনের ১৪ নম্বর ধারা এনজিওদের জন্য হুমকি হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান মন্তব্য করেন, “এসব আইন সংস্কারে ব্যর্থতা আসলে পুরোনো কর্তৃত্ববাদী মানসিকতাকেই টিকিয়ে রাখার নামান্তর।”
রাজনৈতিক সংস্কৃতির অবক্ষয়
টিআইবি রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ সংস্কারহীনতা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। ৫ আগস্ট-পরবর্তী সময়ে দলবাজি, চাঁদাবাজি এবং মামলা-বাণিজ্য বেড়েছে বলে সংস্থাটি জানায়। নতুন রাজনৈতিক দলগুলোও একই নেতিবাচক মডেল অনুসরণ করছে, যা দেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যতের জন্য অশনিসংকেত।
জুলাই সনদের অনিশ্চয়তা
সংস্থাটির গবেষণায় আরও বলা হয়, জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেসব সংস্কারে ঐকমত্য হয়েছিল, সেগুলোর সাংবিধানিক ও আইনি বাস্তবায়ন এখনো অনিশ্চিত। এই অনিশ্চয়তা সংস্কার প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করতে পারে এবং রাজনৈতিক সংকটকে আরও ঘনীভূত করার ঝুঁকি তৈরি করছে।
গবেষণা প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করেন টিআইবির সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাহজাদা এম আকরাম ও মো. জুলকারনাইন। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন পরিচালক মুহাম্মদ বদিউজ্জামান, উপদেষ্টা সুমাইয়া খায়ের এবং অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম।