
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ | রাজনীতি » চীন সফর ঘিরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও কূটনৈতিক বার্তা খলিল ইন সেনাপ্রধান আউট
চীন সফর ঘিরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও কূটনৈতিক বার্তা খলিল ইন সেনাপ্রধান আউট
চীন সফর ঘিরে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও কূটনৈতিক বার্তা খলিল ইন সেনাপ্রধান আউট
শফিকুল ইসলাম কাজলঃ বাংলাদেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (NSA) খলিলুর রহমান এবং প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব সিরাজ উদ্দিন মিয়ার চীন সফর এমন এক সময়ে হচ্ছে, যখন সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানের পূর্বনির্ধারিত বেইজিং সফর বাতিল করা হয়েছে। এই ঘটনাপ্রবাহ শুধু কূটনৈতিক নয়, বরং অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিভাজনের প্রতিফলনও বটে।
সফরের সময়কাল ও প্রেক্ষাপট
খলিলুর রহমান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন এবং ২৭-২৯ জুন চীনে থাকবেন। সফরটি শুরু হবে সাংহাই কো-অপারেশন অর্গানাইজেশন (SCO) সম্মেলনের পরপরই। সফরের সময় তিনি চীনা কর্মকর্তাদের সঙ্গে ঢাকা-বেইজিং সহযোগিতা এবং পূর্বে বাতিল হওয়া “হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর” ইস্যুতে আলোচনা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সেনাপ্রধানের সফর বাতিল: বার্তা কী?
জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামানকে চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মি (PLA) আমন্ত্রণ জানালেও তার সফর হঠাৎ বাতিল হয়েছে। বিশ্লেষকদের মতে, এটি কেবল সময়সূচির পরিবর্তন নয়-বরং সেনাবাহিনী ও ইউনূস সরকারের মধ্যে আস্থার সংকটের ইঙ্গিত। সেনাবাহিনী আগেই “হিউম্যানিটারিয়ান করিডোর” পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছিল, যা NSA খলিলুর রহমান সমর্থন করেছিলেন।
অভ্যন্তরীণ বিভাজন ও কৌশলগত বার্তা
NSA খলিলুর রহমানের চীন সফরকে অনেকেই সেনাবাহিনীকে পাশ কাটিয়ে কূটনৈতিক বার্তা দেওয়ার প্রচেষ্টা হিসেবে দেখছেন। বিশেষ করে যখন সেনাপ্রধানের সফর বাতিল হয়, তখন NSA-এর সফর চালু থাকা একটি স্পষ্ট বার্তা বহন করে-সরকারের ভেতরে ক্ষমতার ভারসাম্য কোথায় যাচ্ছে।
চীন ও আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া
চীন এই সফরকে কীভাবে দেখছে, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও সেনাবাহিনীর সঙ্গে সরকারের দূরত্ব চীনের জন্যও উদ্বেগের বিষয় হতে পারে। ভারতও এই পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছে, বিশেষ করে করিডর ও বন্দর ইস্যুতে চীনের সম্পৃক্ততা নিয়ে।
NSA খলিলুর রহমানের চীন সফর এবং সেনাপ্রধানের সফর বাতিল-এই দুইটি ঘটনা বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক বিভাজন, কূটনৈতিক ভারসাম্য এবং ভবিষ্যতের ক্ষমতার কাঠামো নিয়ে নতুন প্রশ্ন তুলছে। এই সফর শুধু একটি রাষ্ট্রীয় সফর নয়, বরং একটি কৌশলগত বার্তা-কে সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, কে বাদ পড়ছে, এবং কে ভবিষ্যতের পথ নির্ধারণ করছে।