
সোমবার, ২৩ জুন ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ » যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক হামলার পরই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইরান
যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক হামলার পরই পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে বসছে ইরান
আন্তর্জাতিক ডেস্কঃ
যুক্তরাষ্ট্র আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে যে তারা ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালিয়েছে। যদিও ইরান দাবি করেছে-সেখানে আর কোনো পারমাণবিক উপকরণ নেই, আগেই সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
এই হামলার আগে থেকেই ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েছিল। ইসরায়েলও অভিযোগের ভিত্তিতে নিজে থেকে কিছু ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়, দাবি করে তাদের লক্ষ্য ছিল পারমাণবিক অস্ত্র।
তেহরান মার্কিন এই হামলাকে “একটি বিপজ্জনক যুদ্ধের সূচনা” বলে উল্লেখ করে এবং তাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রী আব্বাস আরাঘচি ঘোষণা করেন, এখন কূটনীতি নয়-”ইরানের আত্মরক্ষার অধিকার রয়েছে”।
তিনি আরও বলেন, ওয়াশিংটনের এই উসকানিমূলক পদক্ষেপের পুরো দায় তাদেরই নিতে হবে এবং তারা এখন কোনো “রেড লাইন” মানছে না। একইসঙ্গে তিনি জানান, রবিবারই তিনি রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে দেখা করতে মস্কো যাবেন, কারণ এই যুদ্ধ এখন কেবল মার্কিন-ইরান নয়, মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে।
হামলার ফলাফল ও প্রতিক্রিয়া:
ইরানের ফোর্দো, ইসফাহান ও নাতাঞ্জ স্থাপনায় হামলার কথা ইরান স্বীকার করেছে।
পারমাণবিক কার্যক্রম বন্ধের কোনো পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে তারা।
জাতিসংঘের পরমাণু সংস্থা (IAEA) বলেছে, এখন পর্যন্ত তেজস্ক্রিয় বিকিরণের কোনো প্রমাণ মেলেনি।
ব্যবহৃত অস্ত্র:
যুক্তরাষ্ট্র ব্যবহার করেছে “Buster Bunker” ক্ষেপণাস্ত্র, যা মাটির নিচের সুড়ঙ্গ বা বাংকার ধ্বংস করতে সক্ষম। এগুলো একাধিক বিস্ফোরণের মাধ্যমে পাহাড় কেটে ভূগর্ভস্থ অংশে আঘাত করে।
স্যাটেলাইট ছবি অনুসারে, ফোর্দো স্থাপনায় বিস্ফোরণের পর সুড়ঙ্গ বন্ধ হয়ে গেছে বলে মনে হচ্ছে, এবং ভেতরের অংশে পৌঁছাতে হলে নতুন করে খনন করতে হবে।
এই ঘটনার প্রেক্ষিতে ইরান-রাশিয়ার সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হতে পারে, এবং আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে উত্তেজনা বাড়তেই পারে।