
শনিবার, ২৪ মে ২০২৫
প্রথম পাতা » বিশ্ব সংবাদ | ব্রেকিং নিউজ » জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো বিদেশে স্থায়ীভাবে একটি সামরিক ব্রিগেড মোতায়েন করেছে
জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো বিদেশে স্থায়ীভাবে একটি সামরিক ব্রিগেড মোতায়েন করেছে
আন্তর্জাতিক সংবাদ পক্ষকাল :জার্মানি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর প্রথমবারের মতো বিদেশে স্থায়ীভাবে একটি সামরিক ব্রিগেড মোতায়েন করেছে। লিথুয়ানিয়ায় ৪৫তম প্যানজার ব্রিগেডের এই মোতায়েন ২০২৫ সালের ১ এপ্রিল আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়। এই ব্রিগেডে প্রায় ৪,৮০০ সেনা এবং ২০০ বেসামরিক কর্মী অন্তর্ভুক্ত থাকবে, যা ২০২৭ সালের মধ্যে পূর্ণ সক্ষমতা অর্জন করবে। এই পদক্ষেপটি রাশিয়ার আগ্রাসনের প্রতিক্রিয়ায় ন্যাটোর পূর্ব ফ্ল্যাঙ্ককে শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্জ এই মোতায়েনের সময় বলেন, “ভিলনিয়াসকে রক্ষা করা মানে বার্লিনকে রক্ষা করা।” তিনি ইউরোপীয় মিত্রদের প্রতিরক্ষা ব্যয় বাড়ানোর আহ্বান জানান এবং জার্মানির প্রতিরক্ষা ব্যয় ২০৩২ সালের মধ্যে জিডিপির ৫% পর্যন্ত বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন। [1]
লিথুয়ানিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রী ডোভিলে শাকালিয়েন এই মোতায়েনকে “ঐতিহাসিক নেতৃত্বের প্রদর্শন” হিসেবে অভিহিত করেন। তিনি বলেন, এটি রাশিয়ার সম্ভাব্য আগ্রাসনের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী প্রতিরোধ গড়ে তুলবে।
এই ব্রিগেডটি লিথুয়ানিয়ার রুডনিনকাই প্রশিক্ষণ এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে, যেখানে বর্তমানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণের কাজ চলছে। জার্মান সেনারা তাদের পরিবারসহ সেখানে অবস্থান করবে, যার ফলে স্কুল, কিন্ডারগার্টেন এবং মোতায়েন জার্মানির প্রতিরক্ষা নীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নির্দেশ করে, যা ইউরোপীয় নিরাপত্তা ও ন্যাটোর প্রতিরক্ষা কৌশলে জার্মানির ভূমিকা বাড়াবে।